×

জাতীয়

গাইবান্ধায় বিরল প্রজাতির “তক্ষক” উদ্ধার,

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৫:৪৬ পিএম

গাইবান্ধায় বিরল প্রজাতির “তক্ষক” উদ্ধার,
গাইবান্ধায় বিরল প্রজাতির একটি “তক্ষক” প্রাণি উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ভোর ৬টার দিকে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের তুলশিঘাট এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে গাইবান্ধাগামী একটি যাত্রিবাহী বাসে অভিযান চালিয়ে তক্ষকটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে আব্দুর রশিদ(৪৮) ও একই গ্রামের শমেস উদ্দীনের ছেলে সেকেন্দার আলী(৫২) চট্টগ্রাম থেকে গাইবান্ধা আসছিল। তাদের সাথে ছিল খাগরাছড়ি জেলার কালাপানি গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দীনের ছেলে পলাশ মিয়া(৪৫) ও চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার সৈদাবাস গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম(৩১)। আজ সোমবার ভোর ৬টার দিকে পুলিশ ওই বাসে তল্যাশির সময় তাদের কাছে থাকা চটের ব্যাগ থেকে একটি বিরল প্রজাতির প্রাণি উদ্ধার করা হয়। পরে প্রাণিটিসহ ওই চার ব্যক্তিকে আটক করে সদর থানায় নিয়ে আসা হয়। এটি বন্য প্রাণি হওয়ায় বন বিভাগের কর্মকর্তাদের খবর দেওয়া হয়। বন বিভাগের কর্মকর্তারা এসে প্রাণিটিকে তক্ষক হিসেবে সনাক্ত করে। ধারণা করা হচ্ছে তক্ষকটি পাচারের উদ্দেশ্যে গাইবান্ধা নিয়ে আসা হচ্ছিল। আটককৃতদের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা সদর থানায় বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গাইবান্ধা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাহাত গাওহারী বলেন, এই বিরল প্রজাতির তক্ষক প্রাণিটির মুল্য প্রায় দেড় থেকে দুই কোটি টাকা। এই তক্ষকটি ১২ ইঞ্চি। এটি যত বড় হবে দাম তত বেশী হবে। তক্ষক ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য প্রয়োনীয় উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণি বিদ্যা বিভাগের একজন অধ্যাপাকের সাথে যোগাযোগ করে প্রাণিটি বাঁচিয়ে রাখার সব ধরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এটি আদালতের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে পৌছে দেওয়া হবে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App