×

বিশেষ সংখ্যা

অর্থনীতিতে নতুন রূপান্তর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৩:৫৭ পিএম

অর্থনীতিতে নতুন রূপান্তর
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, গ্রাম হবে শহর। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮-তে একটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার রয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ : আমরা নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে প্রতিটি গ্রামকে শহরে উন্নীত করার কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবো। শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেবো। আগামী পাঁচ বছরে দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে। পাকা সড়কের মাধ্যমে সকল গ্রামকে জেলা-উপজেলা শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। ছেলেমেয়েদের উন্নত পরিবেশে লেখাপড়ার সুযোগ তৈরি করা হবে। সুপেয় পানি এবং উন্নত মানের পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। সুস্থ বিনোদন এবং খেলাধুলার জন্য অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে। কর্মসংস্থানের জন্য জেলা-উপজেলায় কলকারখানা গড়ে তোলা হবে। ইন্টারনেট, তথ্যপ্রযুক্তি সর্বত্র পৌঁছে যাবে।’ এই অঙ্গীকারের মাধ্যমে আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতি এবং অবকাঠামো উন্নয়নের ইতিবাচক চিন্তাভাবনার প্রকাশ ঘটেছে। সবচেয়ে ইতিবাচক বিষয়টি হলো, উন্নয়ন চিন্তার মধ্যে গ্রামকে প্রাধান্য দেয়া। নাগরিক আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা এবং নাগরিক অধিকার গ্রামেও নিশ্চিত করা। গ্রামে শহরের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত হোক, আমরা সবাই মনেপ্রাণে চাই। গ্রামীণ জীবনযাত্রা, অর্থনৈতিক, সামাজিক কাঠামো রাজনৈতিক পরিবেশ উন্নত আধুনিক এবং মানসম্মত হোক, এটা আমাদের প্রত্যাশা। আমাদের দাবি, উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতি, জীবনযাপন, অবকাঠামো ইত্যাদির উন্নয়ন ঘটলেও গ্রামের স্বকীয়তা যেন বজায় থাকে। গ্রামীণ পরিবেশ, প্রাকৃতিক ভারসাম্য, জীববৈচিত্র্য ধ্বংসকারী কোনো ব্যাপার যেন না ঘটে সেখানে। আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতিতে পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। দিনে দিনে দ্রুত গ্রামীণ অর্থনীতিতে চেহারা বেমালুম পাল্টে যাচ্ছে। এক দশক আগেও বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতির অবস্থা এখনকার মতো ততটা চাঙ্গা ছিল না। তখন শহরের অর্থনীতি এবং গ্রামীণ অর্থনীতির মধ্যে বিরাট পার্থক্য ছিল। অভাব, দুঃখ, দারিদ্র্য, অশিক্ষা, কুসংস্কার, অজ্ঞতা, পশ্চাৎমুখী সংস্কৃতির প্রভাব আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতিতে এক ধরনের অচলায়তন সৃষ্টি করে রেখেছিল। বর্তমানে গ্রামীণ অর্থনীতিতে এক ধরনের গা ঝাড়া মনোভাব লক্ষ করা যায় খুব সহজেই। বলা যায়, গ্রামীণ অর্থনীতিতে নবজাগরণ এসেছে। যার ফলশ্রুতিতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। এতে করে উৎপাদনের পরিমাণ বেড়ে গেছে আগের তুলনায়। বিশেষ করে কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রামের সাধারণ কৃষক শ্রেণির ভাগ্য বদলে যাচ্ছে খুব দ্রুত। গ্রামীণ অর্থনীতি বর্তমানে খুবই চাঙ্গা অবস্থায় রয়েছে। কৃষি খাতে তো অবস্থা ভালোই, এমনকি কৃষির বাইরেও গ্রামীণ অর্থনীতি বর্তমানে চমৎকার ভালো অবস্থায় রয়েছে। গ্রামীণ জনগণের মধ্যে এখন কৃষির পাশাপাশি ছোট ছোট শিল্প স্থাপনের প্রতি আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে। গ্রামে-গঞ্জে ব্যবসায়িক কার্যক্রম সম্প্রসারিত হচ্ছে। হাঁস-মুরগির পোল্ট্রি ফার্ম থেকে শুরু করে মৎস্য চাষ এমনকি গাড়ির বডি পর্যন্ত এখন গ্রামে তৈরি হচ্ছে। গ্রামীণ কৃষি ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে গত কয়েক দশকে। গ্রামের কৃষি এখন আর সেই সনাতনী অবস্থায় পড়ে নেই। গ্রামীণ কৃষি ব্যবস্থায় আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ হচ্ছে। আগে যেখানে অনেক জমি চাষাবাদের আওতার বাইরে থেকে যেত, বছরে একটি মাত্র ফসল উৎপাদনের পর বাকি সময়টা অব্যবহৃত অবস্থায় রয়ে যেত এখন সেখানে বছরজুড়ে পালাক্রমে বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ হচ্ছে। অব্যবহৃত অবস্থায় কোনো জমিই খালি পড়ে থাকছে না। ফসল উৎপাদনের পরিমাণ বাড়াতে এখন প্রতিটি কৃষক নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ ব্যবহার থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সার, কীটনাশক প্রয়োগ, আধুনিক যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদনের পরিমাণ আগের তুলনায় অনেকগুণ বাড়িয়ে তুলেছেন গ্রামের কৃষক। এক দুই দশক আগেও গ্রামীণ কৃষিজমিতে গরু-মহিষের দ্বারা হাল চাষের ব্যবস্থা করতেন যে কৃষক, এখন সেই কৃষক অনায়াসেই ট্রাক্টর দিয়ে কৃষি জমিতে কর্ষণ করছেন, বীজ বুনছেন, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। গতানুগতিক পুরনো চাষাবাদ পদ্ধতিতে কৃষি উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব নয় এ যুগে, এটা গভীরভাবে উপলব্ধির পর এখন বেশিরভাগ গ্রামের কৃষক যুগোপযোগী বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে চাষাবাদের প্রতি ঝুঁকে পড়েছেন। অতীতে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে কৃষিকাজে সেচ ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল ছিল। প্রকৃতির ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল থাকতে হতো। বৃষ্টির পানি নয়তো খাল বিল নদীর পানি জমিতে প্রয়োগের মাধ্যমে চাষাবাদ করতে হতো। অথচ এখন প্রতিটি গ্রামেই রয়েছে বৈদ্যুতিক গভীর নলক‚পের মাধ্যমে ভ‚গর্ভস্থ পানি উত্তোলন করে চাষাবাদের চমৎকার সুযোগ। এটা যদিও ব্যয়বহুল, তারপরেও কৃষি উৎপাদনে ধারাবাহিকতা, নিরবচ্ছিন্ন ভাব বজায় রাখতে কৃষিজমিতে প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে সেচ স্কিমের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছেন গ্রামের মানুষ। এভাবেই গ্রামীণ কৃষি ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে নানা প্রতিষ্ঠান। সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকাণ্ড ও বেড়ে গেছে। সরকারি কৃষি কর্মকর্তারা আগে অনেকটা অলস সময় কাটালেও এখন তাদের গ্রামে গ্রামে কৃষকের কাছে নিয়মিত ছুটে যেতে দেখা যাচ্ছে। তাদের বুদ্ধি, পরামর্শ এবং গঠনমূলক উপদেশ গ্রামের কৃষকদের নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করছে আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি অনুসরণে। স্রেফ কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন নয়, এর পাশাপাশি হাঁস-মুরগি পালন, মৎস্য চাষের মাধ্যমে গ্রামের মানুষ তাদের ভাগ্য উন্নয়নে পুরোপুরি সচেষ্ট বলা যায়। আজকাল প্রায় প্রতিটি গ্রামেই হাঁস-মুরগির খামার, দুগ্ধ উৎপাদনকারী ডেইরি ফার্ম, মৎস্য চাষ প্রকল্পের ছড়াছড়ি লক্ষ করা যায়। এসবের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন গ্রামের অনেক নারী-পুরুষ। আগে স্রেফ ধান পাট শাক সবজি শস্য উৎপাদনের মধ্যেই গ্রামের মানুষ তার কর্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ রাখতেন। এর বাইরে অন্য কোনো কাজের কথা তারা ভাবতে পারতেন না। কৃষিকাজের পর বাকি সময়টা তারা অলস বেকার বসে কাটাতেন। এখন তারা তাদের প্রতিটি মুহূর্ত নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের কাজে ব্যয় করছেন। মাঠে কৃষিকাজের পাশাপাশি গ্রামের মানুষ পোল্ট্রি ফার্ম ও ডেইরি ফার্মেও প্রয়োজনীয় সময় দিচ্ছেন। এর মাধ্যমে উপার্জনের নতুন ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে গ্রামাঞ্চলে। গ্রামের পোল্ট্রি ফার্মে উৎপাদিত হাঁস-মুরগি ও ডিম বাজারজাত করতে তেমন বেগ পেতে হচ্ছে না। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে এখন প্রত্যন্ত অনেক গ্রামের উৎপাদিত কৃষিজাত পণ্য, পোল্ট্রি শিল্পের উৎপাদিত ডিম, হাঁস-মুরগি এবং ডেইরি ফার্মে উৎপাদিত দুধ খুব দ্রুতই শহরে পৌঁছে যাচ্ছে। উৎপাদনকারী কৃষক ও খামারি তাদের উৎপাদিত পণ্যের মূল্য পেয়ে যাচ্ছেন সহজেই, খুব কম সময়ের মধ্যেই। মধ্যস্বত্বভোগী দালাল ফড়িয়াদের দৌরাত্ম্য আগের মতো না থাকায় এখন উৎপাদনকারী কৃষক, খামারিরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের উপযুক্ত মূল্য পাচ্ছেন। অতীতে তারা কৃষিপণ্যের ন্যায্য মূল্য পেতেন না কোনোভাবেই। নানা বঞ্চনা আর শোষণের বেড়াজালে তাদের আজীবন বন্দি থাকতে হতো। স্বাধীনতা-পরবর্তী কয়েক দশক ধরে শহরের অর্থনীতি ও গ্রামীণ অর্থনীতির মধ্যে বিরাট ব্যবধান খুব সহজেই চোখে পড়তো। তখনও গ্রামের মানুষের জীবনযাপন ছিল নিতান্তই দারিদ্র্য অভাব আর অসচ্ছলতার সমন্বিত প্রকাশ। তখন গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ দারুণ অর্থ সংকট এবং চরম দারিদ্র্যের মধ্যে দিনাতিপাত করতেন। নিত্য অভাব-অনটনের মধ্যে তাদের জীবন কাটতো। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষের প্রধান জীবিকা কৃষি হওয়ার কারণে অতিবৃষ্টি, খরা, বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে তাদের ফসলের মারাত্মক ক্ষতি হতো। এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা তাদের জন্য সহজসাধ্য ব্যাপার ছিল না। কৃষি উৎপাদনের পরিমাণ কম হওয়ায় কৃষক সবসময় দুঃখ দৈন্যের দুষ্টচক্রের মধ্যে বন্দি থাকতো। কিন্তু এখন বাংলাদেশের বেশিরভাগ গ্রামের চিত্র পাল্টে গেছে। উন্নত আধুনিক প্রযুক্তি এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের ফলে ফসল উৎপাদনের পরিমাণ বেড়েছে অনেক। বন্যা, খরা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ কম হওয়ায় ফসলের তেমন ক্ষতি হচ্ছে না। বন্যা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করায় আগের মতো বন্যা ততটা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারছে না গ্রামের মানুষকে। সব কিছুই মিলিয়ে গ্রামের কৃষক ও অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত মানুষদের জন্য অনুক‚ল পরিবেশ বজায় থাকায় তাদের আর্থিক সচ্ছলতা ক্রমেই বাড়ছে। এখন আর তাদের তেমন অর্থকষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে না। গত এক দশকে বিভিন্ন এনজিওর উদ্যোগে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামে নানা ধরনের প্রকল্প চালু হওয়ায় গ্রামের শিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা নানা কাজে সম্পৃক্ত হয়ে গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন জোয়ার সৃষ্টি করেছে। আজকাল গ্রামাঞ্চলে তরুণ যুবক যুবতিরা নিজস্ব উদ্যোগে বিভিন্ন প্রকল্প চালু করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করছে। তাদের এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে মুরগির খামার, কৃষি খামার, উন্নতজাতের গাভী পালনের মাধ্যমে দুগ্ধ উৎপাদন খামার, মৎস্য খামার, মৌমাছি চাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদন, ফুল ও ফলের বাগানসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ। এর মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে এ কথা না মেনে উপায় নেই। চাকরির আশায় বসে না থেকে নিজস্ব উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে তাদের অনেকেই সংসারের জন্য উপার্জন করছে। তাদের উপার্জনে সংসার চলছে এমন তরুণ তরুণী উদ্যোক্তার সংখ্যাও কম নয়। তারা শিক্ষিত এবং আধুনিক বাজার ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতন হওয়ায় গ্রামে মধ্যস্বত্বভোগী দালাল মজুদদারদের কাছে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি না করে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে শহরে নিয়ে বিক্রি করছেন। এতে তারা ভালো দাম পাচ্ছে এবং আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। এক্ষেত্রে যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্রমোন্নতি বিরাট ভ‚মিকা পালন করছে। গ্রামের সঙ্গে শহরের যোগাযোগ আজকাল সহজসাধ্য হওয়ায় গ্রামে উৎপাদিত কৃষিজাত ও শিল্পজাত পণ্য শহরের ক্রেতাদের কাছে সরাসরি পৌঁছে দেয়া যাচ্ছে খুব সহজে কম সময়ের মধ্যে। এখন এনজিও এবং অন্যান্য দেশি-বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় গ্রামাঞ্চলে স্বল্প পুঁজির নারী উদ্যোক্তা শ্রেণি গড়ে উঠেছে। তারা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে গ্রামের কর্মহীন নারীদের স্বাবলম্বী করে তুলছেন। গ্রামের মহিলারা এসব উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাড়তি আয়ের মাধ্যমে সংসারের সচ্ছলতা আনছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চাকরি নিয়ে যাওয়ার সুযোগ গ্রহণ করে গ্রামের অনেক মানুষ এখন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে উপার্জন করছেন। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থে গ্রামীণ অর্থনীতি গত কয়েক দশকে বেশ চাঙ্গা হয়েছে এটা না মেনে উপায় নেই। এখন গ্রামে গ্রামে নির্মিত হচ্ছে কয়েকতলা পাকা ভবন। যেখানে বৈদ্যুতিক সংযোগ থেকে শুরু করে শহুরে জীবনের মতো উন্নত নানা সুযোগ-সুবিধা থাকছে। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থে গ্রামীণ জীবনযাপনে আধুনিকতার ছাপ ক্রমেই সুস্পষ্ট হচ্ছে। এর মাধ্যমে গ্রামীণ জীবনের চেহারাটাই বদলে যাচ্ছে খুব দ্রুত। এখন গ্রামের ছেলেমেয়েরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে মেধা ও যোগ্যতার বলে জীবনে ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। তারা শহরের বড় বড় পদে চাকরি করছে। বড় বড় ব্যবসায় নিয়োজিত হচ্ছে। তারাও গ্রামীণ অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব বিস্তার করছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App