×

অর্থনীতি

শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর একটা অংশ স্বেচ্ছায় বেকার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০১:২৫ পিএম

শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর একটা  অংশ স্বেচ্ছায় বেকার

রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে গতকাল বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেম আয়োজিত চতুর্থ বার্ষিক অর্থনীতিবিদ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান

দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর একটা অংশ স্বেচ্ছায় বেকার রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, অধিক উৎপাদনে আমরা কৃষি থেকে শিল্পে ঢুকছি। শিক্ষা ঢুকে গেছে আমাদের গ্রামে। যেটা শ্রমের প্রধান উৎস। প্রযুক্তিও সমান তালে ঢুকে যাচ্ছে। বেশি সচেতন হওয়ায় তারা (গ্রামের শিক্ষিত জনগোষ্ঠী) কৃষিতে থাকছে না। রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে গতকাল বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেম আয়োজিত চতুর্থ বার্ষিক অর্থনীতিবিদ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে এবারের প্রতিপাদ্য ‘সুশাসনের নতুন চ্যালেঞ্জ : অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, বাণিজ্য ও অর্থব্যবস্থা’। সম্মেলনের সাতটি প্যানেলে ৩০টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন গবেষকরা। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের শিক্ষিত জনগোষ্ঠী এখন শহরমুখী হচ্ছে। কিন্তু শহরের কাজের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ফলে গ্রাম থেকে শহরে এসে সবাই কাজ পাচ্ছে না। যারা কাজ পাচ্ছে না তারা বেকার থাকছে। তিনি বলেন, আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে কিছু লোক আছে, তারা স্বেচ্ছায় বেকার থাকছে। তারা গ্রামে ফিরতে চায় না, যে চাকরিটা তাকে দেয়া হচ্ছে এটাও সে করবে না। সে চায়, চেয়ার দুলিয়ে কাজ-করা না-করার একটা আধা-কাজের মানসিকতা। এটা এখন সম্ভব নয়। এখন আমাদের কাজ করতে হবে হাতে-কলমে। বাজারে যেটার চাহিদা আছে। এ জন্য কিছু লোক বেকার। এম এ মান্নান বলেন, দেশের শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে বিদেশে পাড়ি জমানোর মানসিকতা রয়েছে। তরুণ বয়সী কিছু আছে যারা অন্য কোথাও, অন্য কোনোখানে পশ্চিমে-উত্তরে যেতে চায়। সেটারও ব্যাখ্যা আছে। আমাদের দেশের বাজারে তারা যথেষ্ট জায়গা পাচ্ছে না। বিদেশে গেলে তারা এমন কিছু বাড়তি সুবিধা পাবে যা আমাদের সমাজ নানা সাংস্কৃতিক, ঐতিহ্যগত কারণে দিচ্ছে না। সুতরাং এসব হাজার হাজার তরুণ-যুবক ওই জীবনের খোঁজে যেতে চায়। পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের অর্থনীতির বড় অংশ কিছুদিন আগেও আর্থিক খাতের বাইরে ছিল। সরাসরি বিনিময় হতো মানুষের হাতে। ব্যাংকগুলোকে আমরা নির্দেশ দিয়েছি গ্রামে শাখা খুলতে হবে। শহরে, গ্রামে-গঞ্জে বিকাশ, ডাচ্-বাংলার মতো ব্যাংকিং খাত জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই খাতে গ্রামীণসহ সব ধরনের মানুষের অংশগ্রহণ আরো বাড়ানোর জন্য আয়োজন করা হয়েছে প্রথমবারের মতো ‘২০১৯ ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুসিভ সামিট।’ তিনি বলেন, আমরা পাওনা, বেতনভাতা ইত্যাদি বিকাশ, ডাচ্-বাংলাসহ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আমরা গ্রামে পাঠাই। এ ছাড়া আমরা যে সহায়তাগুলো দিই, গ্রামীণ কৃষক, মৎস্যজীবী বা অন্যদের সেগুলো আমরা ক্যাশের মাধ্যমে দিই। এই যে আমাদের ইনক্লুশন বা অন্তর্ভুক্তিকরণ করা; আমি মনে করি, এই সম্মেলন এই অন্তর্ভুক্তিকরণে সহায়তা করবে। আরো অনেক উপায় আছে। যত দিন যাচ্ছে, ততই এ রকম আইডিয়া আসতে থাকবে। সানেম চেয়ারম্যান বজলুল হক খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসকাপ-এসএসডবি্লউর (নয়াদিল্লি) পরিচালক ড. নাগেশ কুমার ও বিআইডিএস গবেষণা পরিচালক ড. বিনায়েক সেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App