×

জাতীয়

রামগঞ্জে নির্মানাধীন রাস্তাকাজ চার মাস ধরে বন্ধ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০২:৩৪ পিএম

রামগঞ্জে নির্মানাধীন রাস্তাকাজ চার মাস ধরে বন্ধ
রামগঞ্জ উপজেলার সমেষপুর ও দরবেশপুর গ্রামে নির্মানাধীন তিনটি রাস্তায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কতৃক চার মাস পূর্বে বালু ফেলে কাজ বন্ধ রাখায় জনদূর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। ভাদুর ইউনিয়নের সমেষপুর এবাদ উল্যা মিঝি বাড়ী থেকে পঁচা মার্কেট, দরবেশপুর ইউনিয়নের মধ্য দরবেশপুর চকিদার বাড়ি থেকে পাঠান বাড়ি ও সাহার বাড়ি থেকে জগতপুর গ্রামের পাঠান বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাগুলোর নির্মান কাজ গত চার মাস বন্ধ রয়েছে। হাটু সমান বালুর কারনে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় গ্রামবাসীদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দরবেশপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ক্রীড়া সম্পাদক নুর হোসেনসহ বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, গত দশ বছর বিভিন্ন দফতরে চেষ্টা তদবির চালিয়ে রাস্তাটি পাকা করনের টেন্ডার আহবান করা হলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স গুলশান এন্টারপ্রাইজ ২০১৮ইং সনের নভেম্বর মাসে কাজ শুরু করেন। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন পুরো রাস্তাজুড়ে বালু ফেলে হটাৎ লাপাত্তা হয়ে যান। বেশ কয়েকবার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিকের সাথে কথা বলার পরও তিনি সদুত্তোর দেয়নি কেন কাজ বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় কৃষক আবদুস সালাম, টুকা মিয়া জানান, নির্মানাধীন রাস্তায় প্রচূর পরিমানে বালুর কারনে স্কুল, মাদ্রাসায় ছাত্রছাত্রীসহ সাধারন মানুষ ও যানচলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। বার বার সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে জানানোর পরও তারা কোন কর্ণপাত না করায় হতাশ এলাকার মানুষ। উপজেলা প্রকৌশলী অফিস (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, সমেষপুর এবাদ উল্যাহ মিজি বাড়ি থেকে পঁচা মার্কেট পর্যন্ত ১২শ মিটার রাস্তা গত বছরের শুরুতে ৫৬ লাখ, মধ্য দরবেশপুর চকিদার বাড়ি থেকে পাঠান বাড়ি ও সাহার বাড়ি থেকে জগতপুর পাঠান বাড়ি পর্যন্ত ৮শ ও ১১শ মিটার রাস্তা দু’টি ২০১৮ সালের জুন মাসে ৬৪ লক্ষ ও ৭৬ লক্ষ টাকায় টেন্ডার হয়। তিনটি রাস্তারই টেন্ডার পায় মের্সাস গুলশান এন্টারপ্রাইজের মালিক হাবিবুর রহমান স্বপন। এ ব্যপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সান গুলশান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধীকারী হাবিবুর রহমান লোকবলের সংকট জানিয়ে বলেন, নির্বাচনের সময় কাজ শুরু হয়েছে। এ সপ্তাহের ভিতরে কাজ শুরু হবে। তাছাড়া ধীরে কাজ শুরু করলে কাজের মান ভালো হয়। দরবেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, রাস্তাগুলি কেটে এভাবে বালু ফেলে রাখায় স্থানীয় জনগন কয়েকবার আমাকে জানিয়েছে। আমি ঠিকাদারকে বার বার তাগিদ দেয়ার পরও কেন কাজ বন্ধ বলতে পারবো না। রামগঞ্জ উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী তহির উদ্দিন জানান, উক্ত রাস্তার বক্স কাটার ব্যপারে স্থানীয়রা অভিযোগ দেয়ায় কাজ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। স্যার (নির্বাহী প্রকৌশলী) সরেজমিনে তদন্ত করে কাজ শুরুর ব্যবস্থা নিবেন। উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী শিফাত আহম্মেদ জানান, রাস্তার কাজ বন্ধের ব্যপারে কেউ আমাকে জানায়নি। এ ব্যপারে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App