×

জাতীয়

ঝিনাইগাতীতে ব্রীজের অভাবে ১০ গ্রামের মানুষের দূর্ভোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৩:০২ পিএম

ঝিনাইগাতীতে ব্রীজের অভাবে ১০ গ্রামের মানুষের দূর্ভোগ
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মহারশি নদীর ডাকাবরে আজও নির্মিত হয়নি ব্রীজ। আর এ ব্রীজটি নির্মানের অভাবে ১০ গ্রামের মানুষের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মানের দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু আজও তা নির্মান করা হয়নি। ডাকাবর গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা আমিরুল ইসলাম, মোসলেম উদ্দিন, শহিদুল ইসলামসহ গ্রাম বাসীরা জানান, নির্বাচনের সময় এ নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মানের আশ্বাস দিয়ে প্রার্থীরা শুধু গ্রামবাসীদের কাছ থেকে ভোট নেয়। কিন্তু নির্বাচনের পর কোন জনপ্রতিনিধিরাই আর তাদের খোঁজ খবর নেয় না। ফলে আশ্বাসও পাওয়া গেলেও আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এছাড়া এ ব্রীজের পূর্বপাশে রাস্তাটির বেহালদশা। জানা যায়, ডাকাবর থেকে মরিয়মনগর, ভারুয়া, বাঐবাধা, মানিককুড়া, ধোপাকুড়া হয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলার মধুটিলা ইকোপার্ক পর্যন্ত ৯কিলোমিটার রাস্তা। জানা গেছে, বিভিন্ন সময় এ নদীর উপর একটি ব্রীজ ও রাস্তা নির্মাণের প্রস্তুতিও নেয় স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু স্থানীয় রাজনীতিবিদদের আধিপত্য বিস্তারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজও তা নির্মিত হয়নি। ফলে স্কুল, কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উৎপাদিত কৃষিপণ্য ও গবাদিপশু পারাপারে নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে কৃষকদের। ডাকাবর গ্রামের সেলিম শাহী জানান, নদীর উপর একটি ব্রীজ না থাকায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে উপজেলা সদর বাজার ও স্কুল কলেজে যাতায়াত করতে হচ্ছে শিক্ষার্থী ও পথচারীদের। তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি কাঁদা, পানি আর শুষ্ক মৌসুমে ধুলোবালিতে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ সময় পথচারীদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। ব্রীজের অভাবে অনেক সময় নৌকা যোগে পারাপার হতে হয়। আবার কোন কোন সময় গ্রামবাসীদের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরী করে যাতায়াত করে থাকে গ্রামবাসীরা। এ সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় পথচারীদের। এ নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মাণ ও রাস্তাটি পাকাকরণ করা হলে পথচারীদের দুর্ভোগ লাঘব হবে। হবে মধুটিলা ইকোপার্কে দর্শনার্থীদের আগমন বৃদ্ধি। সরকারের ঘরে আসবে বিপুল পরিমানে রাজস্ব। এ রাস্তাটির বেহাল দশা ও ব্রীজ নির্মাণের অভাবে জন দুর্ভোগের কথা স্বীকার করেছেন নলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফর্সা। তিনি বলেন, এ ব্রীজ ও রাস্তাটি নির্মানের বিষয়ে উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় বিভিন্ন সময় আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কোন কাজে আসেনি। উপজেলা প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, এ নদীর উপর একটি ব্রীজ ও রাস্তাটি নির্মাণের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিতও করা হয়েছে। বরাদ্দ এলে নির্মান করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App