×

পুরনো খবর

শীতের রাজ্যে কাতুকুতু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৪:৪৬ পিএম

অকবার ক্লাসে এক শিক্ষক ছাত্রদের প্রশ্ন করেছেন, ঋতু কত প্রকার ও কী কী? এক ছাত্র ঝটপট বলে দিল। ঋতু ছয় প্রকার। যথা- গ্রীষ্ম, মা, বাবা, কাকা, শীত ও মামা! যদি তাই হয় তাহলে দেখা যায় গ্রীষ্ম ও শীত বাদে সবগুলোই আপন রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ! কারণ, বর্ষা তার মা, শরৎ তার বাবা, হেমন্ত তার কাকা আর বসন্ত তার মামা! বেচারা গ্রীষ্মের মেজাজ গরম হয়ে গেল। ঠিক আছে আমি যখন কেউ নই তাহলে দেখ কেমন মজা দেখাই! তখন হতে গ্রীষ্ম তার গরম মেজাজ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ডিগ্রিতে দেখিয়ে যাচ্ছে! আর শীত! প্রথমেই ‘শি’! ইংরেজি শির মতো শিং বাঁকিয়ে দশ মাস তাকিয়ে থাকে কখন তার খেলা শুরু করবে! ‘শীত পায় ভীত তায়’! কবি কি এমনি এমনি লিখেছেন? মোটেই না! একবার এক রসিকজন আরেক রসিকজনকে প্রশ্ন করেছে। আচ্ছা বল তো মূলধন কাকে বলে? তো রসিকজন রসিকতাপূর্ণ জবাব দিলেন। তীব্র শীতের সময় বেলা ওঠার আগে যদি কোনো পুরুষ পুকুরের পানিতে গোসল করতে নামে, পাঁচ মিনিটের মধ্যে তার যে রূপ আকার ধারণ করে তাহাকে ‘মূলধন’ বলা হয়! শীতকালে অনেক সুবিধা ভোগ করা যায়। বিশেষত এই সময়টা বিবাহ করার সময়। শাক-সবজির সময় ফুলের মৌসুমও বটে। এই সময় গাছ ন্যাড়া হয়ে যায়, মানুষের চেহারায় শুকনা শুকনা ভাব আসে। আবার কাকের চেহারার তেলতেলা ভাব আসে। তো কাকের কথাই যখন আসলো, তখন একটা জোকস উগরাইয়া দেই। একবার এক কাক গাছের উঁচু ডালে বসে আরাম পোহাচ্ছিল। ওই সময় গাছের নিচ দিয়ে এক খরগোশ যাচ্ছিল। কাকের এই মহা আরাম আরামভাব দেখে বলল, তুমি আরাম করতে পারলে আমি পারব না কেন? কাক বলল, অবশ্যই পারবে। তুমি ইচ্ছামতো আরাম করো না কেন? কেউ তোমাকে কিচ্ছুটি বলিবে না। তো খরগোশ কাকের কথায় সাহস করে গাছের গোড়ায় হেলান দিয়ে বসে আরাম পোহাতে থাকে। এদিকে চালাক শিয়াল সুযোগ মতো খরগোশকে খপ করে কামড় দিয়ে ধরে ফেললে, করুণভাবে খরগোশ কাককে বলতে থাকে, এটা কী হলো? তোমার কথায় একটু আরাম করতে গিয়ে এখন দেখি আমার জীবন যায়। চালাক কাক তখন দার্শনিক বাণী দিয়ে বলল, ‘আরে বেটা যারা উপরে থাকে তারাই কেবল আরাম করতে পারে’! এই শীতে একজন মানবদরদী আহবান জানিয়েছে। সেটা আপনাদের জানানো আমার কর্তব্য। ‘এই তীব্র শীতে আসুন নিজে বিবাহ করি, নিজে গরম থাকি এবং অন্যকে গরম রাখতে সাহায্য করি’। যারা অলস তারা শীতকালে গোসলের ধার ধারে না। তারা বডি স্প্রে করে চালিয়ে যায়। তো এমন এক অলস ছিল যে স্প্রে তো করতোই না ভুলেও পানির কাছে কিনারে যেতো না। শরীরের গন্ধের জন্য পরিবার হতে বহিষ্কার হয়েছে। সে বট গাছের নিচে এক খুপরিতে থাকে। একদিন এক বাউন্ডেলে পাঁঠা ঐ ডেরায় শীত হতে বাঁচার জন্য আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু দেখা গেল দশ মিনিটের মধ্যে ওই পাঁঠা ডেরা হতে বের হয়ে ভোঁ দৌড়! নিজের বোটকা গন্ধ ওই অলসের গন্ধের কাছে হার মেনেছে! আমাদের দেশের শীত আসলে তেমন ভয়ঙ্কর সুন্দর শীত নামে না। ইউরোপে কোনো কোনো দেশে মাইনাস শীত কোনো বিষয় না। শীতের সময় বরফপাতের কারণে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যায়। বাতাস জমে যায়। তো জমা নিয়ে একটা জোকস গলে এসেছে। একবার গায়ক হেমন্তকুমার হিমালয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে বন্ধুরা ছিল। যেখানে হেমন্ত সেখানেই গান। তিনি বেশ কয়েকটি গান গেয়েছিলেন, কিন্তু কেউ সে গান শুনতে পারেনি। কারণ? মুখ হতে কথা বের হতে না হতেই কথা ও সুর জমে গিয়েছিল! হেমন্তবাবুরা তিনদিন পর হাওড়া রেল স্টেশনে নামার পর সেই গানের কথা ও সুর জমাটাবস্থা হতে গরমের আঁচে আস্তে আস্তে মুক্ত হয়ে সরব হয়ে হাওড়াবাসীদের বিনাটাকায় গান শোনার বিরল সৌভাগ্য বিতরণ করেছিল। বিয়ে করতে যেমন সাহস লাগে তেমনি শীতকালে গোসল করতেও সাহস লাগে। এক সাহসী ডায়লগ, ‘ঐ ঠাণ্ডা তুই আমার দেহ পাবি, মন পাবি না’! অনেকে রাতে টয়লেটে যাবার ভয়ে পানি পান হতে বিরত থাকে! তো একবার এক যুবক চাকরির জন্য নির্বাচনী বোর্ডের সামনে হাজির হয়েছে। বোর্ডের চেয়ারম্যানের প্রশ্ন একটাই নিজের ওপর কন্ট্রোল কতটা? এক চালাকেরবাজি বলল, ‘স্যার শীতের রাতে আমার হিসু আসলে রাতে না উঠে একবারে সকালে করি। আমার নিজের ওপরে সাংঘাতিক কন্ট্রোল!’ চালাকেরবাজির চাকরি হয়েছিল বলে জানা গেছে। যারা একটু আদুরের তারা এই শীতে অতি সাবধান কারণ, ‘আপনি চোখের জল মোছার জন্য অনেককেই পাবেন, কিন্তু নাকের জল মোছার জন্য কাউকে পাবেন না! কাজেই ঠাণ্ডা হতে সাবধান, সর্দি হতে ঠাণ্ডা’! শীতের দিনে সুবিধা যেমন আছে অসুবিধাও আছে। পিকপকেটারের জন্য অসুবিধা, কারণ, লোকেরা সব সময় পকেটে হাত দিয়ে রাখেন। শীত-বস্ত্র ব্যবসা বেশ জমে। টাটকা সবজি সহজ লভ্য হয়। মুলার চাষ হয়। তাতে আবার সমস্যার সৃষ্টি হয়। ঘরে ঘরে গ্যাস কারখানা বৃদ্ধির আশঙ্কা বাড়তে পারে। শীতকালে মনে রাখবেন, এইকালে অনেকজনে ম্লান করার আগে ‘সাইলেন্ট মুড’ থাকে, স্নান করার সময় ‘লাউড মুডে’ আর করার পরে ‘বাইব্রেট মুডে’ থাকে। একজন বলছে যাই বলেন তাই বলেন, শীতকাল বড়ই ভালো কাল, লেপের নিচে ফোন ঘাঁটাঘাঁটির মজাই আলাদা! হাত ঠাণ্ডা হয়ে আসছে। চিন্তাও জমে যাচ্ছে। তাই আর চালাই না। তারচেয়ে চলুন লেপের নিচেই পালাই না! তবে কথা শেষ করার আগে একটা বাস্তব কথা বলে শেষ করি। এক ফাঁকিবাজ বলছে, ‘শীতকালে আমার গোসল করতে মাত্র এক মিনিট লাগে, কিন্তু গোসল করব কি করব না এটা ভাবতে ভাবতেই দেড় ঘণ্টা সময় লেগে যায় আর কি! আমার একটা সমস্যা দেখা দিয়াছে। হঠাৎ করে জোকস চাগান লাগান। শীতের সময় কিন্তু পাগলের সংখ্যা বেশি দেখা যায়। আমি ছোটবেলায়, ১৯৬৫/৬৬ সালের দিকে হবে, আমাদের গ্রামে এবং আশপাশের গ্রামে পাগলের উপদ্রব বেড়ে যেত। সারা বছর বেশ শান্তশিষ্ট। যেই না শীতকাল এসেছে অমনি পাগলা হয়ে সব আগলা করে দৌড়! বিরামদির এক পাগল ছিল, সে শীতকালে তিন মাইল দূর হতে আমাদের গ্রামে বেড়াতে আসতো। তার একটা বুলি মনে আছে। ‘দুনিয়ার সব মইরা ধইরা শ্যাষ হইয়া যাইগ্যা, আমি আর পিন্সিপালের সুন্দরী মাইয়াডা বাঁইচা থাকলিই হবে”! আমার গ্রামের এক দাদি শীতকালে পাগল হবেই। মাথা গরম হলে সে শরীরের কাপড় খুইলা ফালাইতো। তাকে দাদা আর তার ছেলেমেয়েরা দড়ি দিয়ে ঘরে বাইন্ধা রাখতো। আমাদের আওয়াজ পেলে বলতেন, ওই গেদারা ওই ডেহররা আমার বান্ধনডা খুইলা দে, তেলের পিঠা আর মুইঠা পিডা খাওয়ামুনি। পাশের গ্রামের এক শীতকালীন পাগল পরিবার ছিল। স্বামী-স্ত্রী, ছেলেমেয়ে সবাই পাগল! একদিন বড়মেয়ে তার মাকে বলছে, ‘মা তোমার পেডে কত পাগল রাখছিলা গো? কেন? কয়ডা পাগল হিসাব করলি? কেন? আমি পাগল ভাই দুইডা পাগল, বোন তিনডা আর বাবাও পাগল, তুমি পাগল’! সবইতো তোমার পেডে হইতে অইছে! অহন বোঝেন পাগলের কেমুন পালগা বুজ! অনেক পাগলের চিকিৎসা ছিল পৌষ মাসের শীতের দিনে বিহানবেলায় পানিতে পাগলরে জোর করে গোসল করানো। তাতে পাগলামি অনেকটাই কমে যেত! পাগলের জোকসতো থামতেই চাচ্ছে না! আচ্ছা পড়তে যখন চাচ্ছেন তখন আরো দুয়েকটা হয়ে যাক। একবন্ধু হঠাৎ উধাও। তিন বছর পর এলাকায় আসলে ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর সঙ্গে এক হেটেলে দেখা। চা সিঙ্গারা খাবার পর কুশলাদি বিনিময়। এক সময় এলাকার বন্ধু এমন এককথা বলেছে, তাতে ওই বন্ধু বলে উঠেছে, কী পাগলের মতন কথা কস! এইটা শুনে জবাব এলো, আরে বেটা আমি পাগলের মতন কইছি না তুই কইছস। এই কথা নিয়ে হেভি তর্ক। একজন আরেকজনকে পাগল পাগল বলে গলা ফাটাচ্ছে। আশপাশের লোকজন হাজির হয়ে মজা দেখছে। এক পর্যায়ে হারানো বন্ধু বলে উঠে, এই ব্যাটা বোকাচোদা, তুই যে পাগল না তার কোনো সার্টিফিকেট আছে? কিন্তু আমার কাছে আছে। পকেট হতে একটা কাগজ বের করে সবাইকে দেখালো। সবাই স্বীকার করলো হা, সে পাগল হয়েছিল, চিকিৎসার পর ভালো হয়ে ডিসচার্জ সার্টিফিকেট নিয়ে ফিরে এসেছে। ওই বন্ধুটি টাসকি খাইয়া পাগল পাগল হয়ে ছাগল ধরতে বের হয়ে গেল! আছে? আপনারা যারা সুস্থ থাকার কথা বলছেন, তাদের কাছে এমন সুস্থতার সার্টিফিকেট আছে? জানি নাই! আমি এটাও জানি পাগলের ডাক্তার, কথাসাহিত্যিক, এবারের বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক মোহিত কামালের কাছেও নেই! কিন্তু অনেকের এমনটা আছে। ডা. মোহিত কামালের আন্ডারে অনেক পাগল চিকিৎসাধীন আছেন। দীর্ঘদিন চিকিৎসা করার পর তিন পাগলকে ভালো হয়ে গেছে মর্মে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত হলো। ছোটখাটো ডাক্তারা তিনজনকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরত যাবার জন্য সুপারিশ করেছেন। এবার বোর্ড। বোর্ডের চেয়ারম্যান, মোহিত কামাল। সঙ্গে আছেন আরো তিনজন। সারিবদ্ধভাবে টেবিল ঘেষে তিন পাগল খাড়াইয়া আছে। সবাইকে একটা প্রশ্নই করা হলো। প্রশ্নটা হলো, ৩ পূরণ ৩ = কত? ১ম পাগল বলে ৪২০! ২য় পাগল বলল, শুক্রবার! এরা যে পুরাই পাগল আছে তাতে সন্দেহ নেই! কাছেই ৩য় জনের কাছে যাওয়া হলো। সে উত্তর সঠিক দিলো। গুণফল ৯ বলেছে। এটাকে মনে হয় পাগলা গারদ হতে বহিষ্কার করা যায়। বোর্ডের সদস্যরা একমত। কিন্তু ড. মোহিত বললেন এবার বলোতো, তুমি কীভাবে হিসাব বের করেছ? কেন? খুব সোজা। ৪২০ হতে শুক্রবার বাদ দিয়াছি! এবার বুঝুন! ডাক্তার যে পাগল হয়নি এটাই যথেষ্ট! কিন্তু বিশ্ব-গল্পের ইতিহাসে কিন্তু পাগলের চিকিৎসা করতে গিয়ে পাগল ভালো করতে গিয়ে তার সঙ্গে সহাবস্থান করে নিজেও পাগল হয়ে গিয়েছিল! শহরের তথাকথিত জনগণ ওই সুস্থ ডাক্তারকেও পাগল বলে আখ্যায়িত করেছিল! সমাজ কিন্তু খুব ভয়ানক জন্তু! তীব্র শীতের রাত। বাতাসও জমে জমে ভাব। গভীর রাত। এক মহা ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে রাত ২টায় ফোন দিয়ে বাসায় আসার জন্য বিনীত অনুরোধ জানালো। তো সেই বন্ধু বলল, কাল সকালে আসি। সে বলে এখন যদি না আসস, তাহলে তুই আমার বন্ধুই না! জানিয়া দোস্ত বলে কথা! শেষ পর্যন্ত অনেক চিন্তাভাবনা করে গরম কাপড় পরে, মোজা কম্বল নিয়ে বেশ কষ্ট করে বন্ধুটি বাসায় এলো। দরজা খোলা! রুমে ঢুকে দেখে বন্ধুটি লেপের নিচে শুয়ে আছে। কী ব্যাপার দোস্ত? আরে ব্যাপার তেমন গুরুতর না! টিভির সুইচটা আর লাইটের সুইচটা অফ করার জন্য তোকে ডেকেছি। দেখতেই পাচ্ছিস কত শীত! লেপের নিচ হতে উঠতে ইচ্ছা করছে না বলেই তোকে আসার জন্য অনুরোধ করেছি! বলেন, কেমুন লাগে, চুদির ভাইরে একটা রাম চদই লাগান দরকার না?!! আবার তিন বন্ধু, বারে পান পর্ব শেষ করে বাসার কাছে এসে মনে হলো, রাত কয়টারে? কারো হাতে ঘড়ি নাই। একজন বলল, এইডা কোনো ব্যাপার? একটা ঢিল দে। ঢিল নিয়ে এক বুড়ির টিনের চালে ছুড়ে দিলে, বুড়ি ঘর হতে বলে উঠল, ‘রাইত তিনডা বাজে হারামজাদারা এহনও ঘুমায় নাই? বুদ্ধি থাকলে সমস্যা নাই! এই শীতের দিনেও যারা বিয়ে করতে চাচ্ছে না, তাদের একটাই গর্বিত ঘোষণা, সারা জীবন সিংগেল থাকাটাও একটা ক্রেডিট! আরো একটা কথা পৃথিবীর মূল্যবান জিনিসগুলোই সব সময় সিংগেলই থাকে। যেমন, সূর্য, চাঁদ এবং চিরকুমার! তবে এইরকম চিরকুমারকেও একজনই চুমু খেতে পারে! কে? কে? জানতে চান? সে হলো অনেক সুন্দরী পরি। যার নাম মশা! হুগা! হা হা হা !! এক ভবঘুরে বলছে, শীতের মধ্যে সরকার গরিবদের কম্বল দিয়ে সাহায্য করে, যাদের বউ নাই তাদের বউ দিলে ভালো হতো না? সরকারি খরচে বিয়া! মজাই আলাদা। আরেকজন বলছে, শীতের সময় কম্বল দিতে পারলে গরমের সময় এসি দিবে না কেন?? শীত আসবে, বিয়ে হবে, আবার তালাকও হবে, যৌতুক দিবে নিবে তাই না? এক ছেলের যৌতুক হিসেবে দাবি হলো শুধু ‘টর’! তো হবু শাশুড়ি জানতে চায়, ‘টর’? মানে বুঝাইয়া কহেন! এই ‘টর’ বুঝলাইন না? এই যেমন, জেনারেটর, রেফ্রিজেটর, মোটর, ভেনটিলেটর, হেলিকপ্টর ইত্যাদি। তো হবু শাশুড়িও কম না, তিনি বললেন, আমরাও তাই দেবো, যেমন কটর-মটর, ফটর-ফটর, ভটর-ভটর বুঝিয়াছ বান্দর! পাশ হতে কে যেন বইলা গেল জমে নাই, জমে নাই! তো জমানোর জন্য শেষ চেষ্টা করা যাক। বেশ স্মার্ট শিক্ষিত, ধনীরপুত্র বিবাহ করিবে আরেক ধনীর সুন্দরী দুলালীকে। পাত্রের দাবি অদ্ভুত। একটা আধুনিক টয়লেট বানিয়ে দিতে হবে। শেষে তাই হলো। তো বাসররাতে নববধূর প্রথম প্রশ্ন, এত এত দাবি করার বিষয় থাকতে এই সামান্য টয়লেট কেন? জবাবে সে বলল, ‘আরে বুঝিলে না, তোমার সঙ্গে একসময় ঝগড়া লাগিবেই, লাগিবেই। ঝগড়ার এক পর্যায়ে তুমি যৌতুকের খোটা দিবেই। তখন আমি খুব গর্ব করে, তুচ্ছ ভাবে বলবো, তোমার বাপের দেয়া যৌতুকের মধ্যে আমি মুতু আর হাগু করি’! হা হা হা হা ! প্রিয় পাঠক-পাঠিকা, অনেকেই অনেক কিছু আলোচনা করি থাকি, তাই না? যে কক্ষে দুইটা এসি থাকে তারা কি আলোচনা করে তা কি জানেন? আমি জানি! একজন আরেকজনকে দার্শনিক কায়দায় বলে থাকে, ‘ আরে শোন শোন একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা কই, কাউকে ঠাণ্ডা করতে হলে নিজেকে গরম করতে হয়’! এই তথ্যটা একটু পরীক্ষা করে দেখিতে পারেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App