×

বিনোদন

রোমান্টিক জুটির প্রিয় ভালোবাসার নাটক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০২:১৭ পিএম

রোমান্টিক জুটির প্রিয় ভালোবাসার নাটক

আফজাল-সুবর্ণা

গত বৃহস্পতিবার ফেলে এসেছি ভালোবাসা দিবস। ফেলা আসা দিনের রোমান্টিক জুটি আফজাল-সুবর্ণা। এই জুটি কখনোই পুরনো হওয়ার নয়। টেলিভিশনের ইতিহাসে সবচেয়ে রোমান্টিক জুটির সেরা নাটকগুলোর আলোচনাও ফুরানোর নয়। এই জুটির কোন ভালোবাসার নাটকগুলো আফজাল হোসেনের সবচেয়ে প্রিয়? জেনে নিন আফজাল হোসেনের বয়ানে...
চেহারা রচনা আনিস চৌধুরী প্রযোজনা আতিকুল হক চৌধুরী বিটিভিতে নাটকটি প্রচারিত হয়েছিল ১৯৭৬ সালে। আমি মফস্বলের ছেলে। পড়াশোনা করার জন্য শহরে এসেছি। এখানে এক ধনী আত্মীয়ের বাড়িতে এসে আশ্রয় নিই। এ বাড়ির মেয়ের সঙ্গে আমার একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। খুব সাদামাটা গল্প। কিন্তু এই গল্পের একটা জায়গার সঙ্গে আমার চমৎকার মিল রয়েছে। আমিও মফস্বল থেকে পড়াশোনার জন্য ঢাকায় আসি। আর এ কারণে চরিত্রটির সঙ্গে সহজেই মিশে যেতে পেরেছিলাম। অভিনয়ও হয়েছিল সে রকম। ওই সময় নাটকটি বেশ প্রশংসিত হয়েছিল। রক্তের আঙুরলতা রচনা সেলিম আল দীন প্রযোজনা মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম আল দীন যে সব সময় ভাবনায়-চিন্তায় একটু আলাদা ছিলেন, এই নাটকটি সেদিক থেকে অন্যতম। পুরোপুরি প্রেমের গল্প। বিটিভিতে নাটকটি প্রচারিত হয়েছিল ১৯৮০ সালে। ওই সময় এটি টিভি নাটকে নতুন ধারা তৈরি করেছিল; আমরা সাধারণত যেভাবে ভাবি না, মানে অন্যরকম ভাবনা। অনেকের কাছে প্রিয় হয়েছিল নাটকটি। আর আমারও টার্নিং পয়েন্ট ছিল। কারণ আমাকে যে ধরনের চরিত্রে দর্শক দেখেছেন, তা থেকে একেবারেই আলাদা ছিল এটি। স্বাধীনতা-উত্তর সময়ে এক অস্থির তরুণের গল্প, যে অসম্ভব জেদি ও রাগী। আসলে ওই সময়টা যে রকম ছিল, সেটাই সেলিম আল দীন তুলে ধরেছিলেন এই নাটকে। পারলে না রুমকি রচনা আফজাল হোসেন প্রযোজনা মোস্তাফিজুর রহমান নানা কারণে পারলে না রুমকিকে বিটিভির নাটকের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক বলা হয়। বিটিভির নাটকে ওই সময় আমরা এর মধ্য দিয়ে অনেক কিছু ভেঙেছিলাম। যেমন, নাটকে সুবর্ণা ও আমি একে অন্যকে ‘তুই’ বলে সম্বোধন করেছিলাম। আমরা একে অপরকে ভালোবাসি। আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সম্পর্কটা একেবারেই পাল্টে যায়। বিয়ের আগে ও পরের সম্পর্কের মধ্যে একটা পার্থক্য তৈরি হয়। এটা আমরা কেউই চাইনি। এক সময় আমরা বৈবাহিক সম্পর্কের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিই। নাটকের শেষ ৩০ সেকেন্ড আগেও কেউ ভাবতে পারেনি, আসলেই কী ঘটতে যাচ্ছে। আরো মজার ব্যাপার হলো, এই ব্যাপারটা কিন্তু চিত্রনাট্যের লেখা ছিল না। শুটিংয়ের সময় আমরা নিজেরা সংলাপগুলো চ‚ড়ান্ত করে নিয়েছিলাম। ওই সময় এ ধরনের ঘটনা মোটেও স্বাভাবিক ছিল না। শেষ পর্যন্ত আমাদের সম্পর্কটা ভাঙেনি। ক‍‍ূল নাই কিনার নাই নাট্যরূপ মমতাজউদ্দীন আহমদ প্রযোজনা মোস্তফা কামাল সৈয়দ এখন যেমন নাটকে স্টুডিওর ব্যবহার দেখাই যায় না, পুরো নাটকের কাজই হয় বাইরে; আশির দশকে কিন্তু এমনটা ভাবা যেত না। প্রায় পুরো নাটকের কাজই হতো বিটিভির স্টুডিওতে। বাইরে যাওয়া মানে ছিল অনেক ঝক্কি-ঝামেলার ব্যাপার। কিন্তু এই নাটকের গল্পটাই চিরায়ত গ্রামবাংলার চেহারা নিয়ে। অবশ্যই প্রেমের গল্প। গল্পের কারণেই নাটকটির অসংখ্য বহির্দৃশ্য ছিল। আর এ ধরনের নাটকে দর্শক তখন তেমন অভ্যস্ত ছিলেন না। যেহেতু একটু ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা, তাই কাজটা করেও আমরা সবাই খুব আনন্দ পেয়েছিলাম। ওই সময় তা এতটাই আলাদা হয়েছিল যে, জাপান টিভি এই নাটকটির ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে। সাবটাইটেল করে জাপান টিভিতে অনেকবার নাটকটি প্রচারিত হয়েছিল।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App