×

জাতীয়

বাঁশের সাঁকো পারাপারে গুনতে হচ্ছে টাকা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৩:০৪ পিএম

বাঁশের সাঁকো পারাপারে গুনতে হচ্ছে টাকা

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মিরাট ইউনিয়নে শ্রীমতখালী খালের উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো -ভোরের কাগজ

বাঁশের সাঁকো পারাপারে গুনতে হচ্ছে টাকা
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের শ্রীমতখালী খালের উপর নির্মিত ব্রিজটির কাজে অনিয়ম করায় নির্মাণের কিছু দিন পর ভেঙে যায়। আড়াই বছর অতিবাহিত হলেও এখনো পুনর্নির্মাণ হয়নি। এখন ওই এলাকার মানুষের বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপারে ইজারাদারকে টাকা দিতে হয়। এতে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন ওই এলাকার প্রায় ১৬ গ্রামের মানুষ। জানা গেছে, বান্দায়ঘাড়া থেকে মিরাট বিলের রাস্তাটি নওগাঁ জেলা সদরের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। খাল খননের পর থেকেই মিরাট ইউনিয়নের মিরাট রাস্তার শ্রীমতখালী খালের উপর হামিদপুর নামকস্থানে বাঁশের সাঁকো দিয়ে একসময়ের অবহেলিত ও দুর্গম এলাকা খ্যাত প্রায় ১৬টি গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে চলাচল করতেন। এতে উৎপাদিত ফসল সময় মতো বাজারে বিক্রি এবং মালামাল পরিবহন সমস্যায় পড়তেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে রাণীনগর উপজেলা এলজিইডির আওতায় গত ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে সেখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য টেন্ডার দেয়া হয়। একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়ে ব্রিজ নির্মাণকাজ শুরু করেন। নির্মাণকাজ শেষে খুলে দেয়ার মাত্র কিছু দিনের মাথায় ব্রিজের মাঝের পিলার দেবে গিয়ে ব্রিজটি ভেঙে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী, দুর্বল অবকাঠামো ও অদক্ষ মিস্ত্রি দিয়ে কাজ করার কারণে ব্রিজটি ভেঙে গেছে। এরপর পুরো ব্রিজ অপসারণ করে সেখানে নতুন করে গত ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে প্রায় ১ কোটি ৭৯ লাখ ২৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মাণের জন্য টেন্ডার দেয়া হয়। গত ৮ মাসে ব্রিজটির কাজ শুরু হলেও শুধু খালের দুই পাড়ে ব্রিজের দৃশ্যমান দুটি মুখ নির্মাণ করে কাজ বন্ধ রেখেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। এখন খালের পানি শুকে যাওয়ায় নতুন ঠিকাদার আবার ব্রিজের কাজ শুরু করেছে। এলাকার ভ্যান চালক মো. আব্দুস ছাত্তার জানান, প্রতিদিন সাঁকো দিয়ে পারাপারে ১০ টাকা করে ইজারাদারকে দিতে হয়। পথচারী মো. সেকেন্দার আলী, খোরশেদ আলম, আবু হাসানসহ আরো অনেকেই জানান, প্রতিদিন সাঁকো দিয়ে পায়ে হেঁটে পারাপার হতে ইজারাদারকে ২ থেকে ৩ করে টাকা দিতে হয়। ঘাট ইজারাদার সুমিত্রা রানী চৌধুরী বলেন, তিনি স্থানীয় মিরাট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এক বছরের জন্য ২৫ হাজার টাকা দিয়ে ইজারা নিয়েছেন। সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে জনপ্রতি ৩ টাকা, প্রতিটি মোটরসাইকেল-ভ্যান ১০ টাকা এবং বাইসাইকেল থেকে ৫ টাকা নেন। তিনি প্রায় ৩০ বছর ধরে এ ব্যবসা করে আসছেন বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. শাইদুর রহমান মিঞা বলেন, ব্রিজটির নির্মাণকাজ শুরু করা হয়েছে। আশা করছি আগামী জুন মাসের মধ্যে ব্রিজটির কাজ সম্পন্ন হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App