×

পুরনো খবর

এই তুমি কেমন তুমি?

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০১:২১ পিএম

এই তুমি কেমন তুমি?
আমরা আমাদের চারপাশে বিভিন্ন ধরনের প্রেমিক জুটি দেখে থাকি। তাদের এই প্রেমগুলো বিভিন্ন রকম ও বিভিন্নভাবে হয়েছে। আসুন সে বিষয়ে একটু চোখ বুলিয়ে আসি
প্রথমে বন্ধুত্ব তারপর প্রেম : বেশিরভাগ প্রেমের সম্পর্কের ক্ষেত্রেই এমনটা শোনা যায়। এক সঙ্গে অনেকটা দিন চলতে ফিরতে একে অপরের প্রতি সাহায্য-সহযোগিতা, নির্ভরশীলতা, বিশ্বাস প্রভৃতির মাধ্যমে অনেকটা নিজেদের অজান্তেই বন্ধুত্বের সম্পর্কটি প্রেম-ভালোবাসায় টার্ন নেয়। তবে এ ধরনের প্রেমের ক্ষেত্রে মেয়েরা অনেকটা অনুশোচনায় ভোগে। আরেকটা বিষয় হলো- এ ধরনের সম্পর্ক ওয়ান সাইড না হওয়াই ভালো। এতে করে বন্ধুত্বের যে মিষ্টি সম্পর্ক রয়েছে সেটিও নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রথম প্রেম : কখন কার জীবনে প্রেম এসে উঁকি দেবে তার কোনো ধরাবাঁধা সময় নেই। সেটা ২০ থেকে ২৫ এর কোঠা পেরোবার আগেই সাধারণত হয়ে থাকে। তবে বেশিরভাগ প্রথম প্রেমই সত্যিকার অর্থে যে প্রেম বুঝায় তার কোনো বৈশিষ্ট্যই ধারণ করে না। প্রথম প্রেমের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো দেখা যায় তা হলো- কেউ প্রেমে পড়ে ক্লাসের সহপাঠীর, কেউবা তার ক্লাসের শিক্ষিকার প্রেমে, কেউবা বয়সে বড় আপু বা ভাইয়ার প্রেমে। অনেকে আবার ফিল্মের নায়ক-নায়িকাদের প্রেমেও পড়ে। তাই বলে কি প্রথম প্রেম কোনো প্রেম নয়? অবশ্যই প্রেম। তবে তার বাস্তবতা থাকতে হবে। প্রথম প্রেম প্রতিটি মানুষের জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। হয়তোবা এরপরও আপনি অন্য কারো সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়াবেন কিন্তু এই প্রেমটিকে ভোলা আদৌ সম্ভব কিনা সন্দেহ রয়েছে। যা কিনা পরবর্তীতে জীবনে বিরূপ প্রভাবও ফেলতে পারে। তাই প্রেমের মাঠে নামার আগে একটু ভেবেচিন্তে নামাই ভালো। অল্প বয়সেই প্রেম : আজকাল কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেমের চেয়ে প্রাইমারি/হাইস্কুলের প্রেমিক যুগলের সংখ্যাটা বেশি চোখে পড়ছে। বড় ভাইয়া-আপুদের সঙ্গে ছোট ছোট প্রেমিক জুটিরাও একই সঙ্গে পার্কে, রেস্টুরেন্টে, সিনেমা হলে প্রেম করে বেড়াচ্ছেন। তবে এই প্রেমে সাফল্যের হার অনেকটা কম। কেননা এই বয়সে প্রেমের অর্থই যেখানে অজানা সেখানে সফলতা কামনা করাটাও বোকামি। এ ধরনের প্রেম সাধারণত চোখের ভালোলাগা, সঙ্গীর সান্নিধ্য লাভ, বড়দের অনুকরণ এসব কারণেই হয়ে থাকে। অনেক সময় পরিবারের চাপের কারণে স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার আগেই এই সম্পর্ক ভেঙে যায়। ত্রিভুজ প্রেম : অনেকটা দড়ি টানাটানির মতোই অবস্থা এই প্রেমের। মাঝখান থেকে দড়ি বাবাজির অবস্থা হয় দফারফা। ত্রিভুজ প্রেমের ক্ষেত্রে প্রায়শই মেয়েরা মানসিক দ্বন্দ্বে ভোগে কাকে পছন্দ করবে এই নিয়ে। অনেক সময়ই ছেলে দুজনের মধ্যে প্রতিযোগিতা রূপ নেয় মারামারিতে। দুজন মেয়ে আর একজন ছেলের মধ্যেও ত্রিভুজ প্রেম লক্ষিত হয়। তবে সে ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা মারামারিতে নয় বরং রূপ নেয় চুলোচুলিতে। প্রথম দেখায় প্রেম : ইংরেজিতে একটা কথা আছে খড়াব ধঃ ঋরৎংঃ ঝরঃব. এমন অনেকে আছেন যারা এ ধরনের প্রেমে পড়েছেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই প্রেম একতরফা হয়। মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা এই ধরনের প্রেমে বেশি পড়েন। বহুভুজ প্রেম : গঁষঃর ঞধষবহঃবফ প্রেমিক বা প্রেমিকাদের মধ্যে এই প্রেম দেখা যায়। যে কারণে এরকমটি হয় তা হলো ছেলে বা মেয়েটি দেখতে অনেক সুন্দর বা বাবার অনেক টাকা আছে। এ ধরনের ছেলে ও মেয়ের ভালোবাসা পেতে অনেকেই পাগল থাকে। আর সে সব প্রেমিক-প্রেমিকারও একের অধিকের সঙ্গে প্রেম করে বেড়াতে ভালো লাগে। কর্মক্ষেত্রে প্রেম : কর্মসূত্রে দুজন মানুষের পরিচয়ের মাধ্যমে এ ধরনের প্রেম গড়ে ওঠে। অফিসে নতুন জয়েন করেছেন এমন কোনো মেয়ের সঙ্গে এরূপ প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনের জন্য অফিসের পুরুষ কর্মকর্তাদের মাঝে তাগিদ দেখা যায়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের প্রেম বেশি দেখা যায়। অসমবয়সী প্রেম : এই প্রেমের ক্ষেত্রে দেখা যায় ১৫ বছরের একটি মেয়ে ৩০ বছরের একটি ছেলের প্রেমে পড়েছে। এটিকে খুব স্বাভাবিকভাবেই দেখা হয়। কিন্তু যখন একটি ১৮ বছরের ছেলে ২০ বছরের মেয়ের প্রেমে পড়বে তখনই সেটি হয়ে যাবে অসমবয়সী প্রেম। প্রথমটিকে সমাজের তেমন মাথাব্যথা না থাকলেও দ্বিতীয়টিকে নিয়ে সমাজের যথেষ্ট মাথাব্যথা রয়েছে। ঝগড়াটে প্রেম : সারাক্ষণ দুজনের মধ্যে খিটির-পিটির লেগে থাকাটা এই প্রেমের বৈশিষ্ট্য। কিছুক্ষণ হয়তো দুজনে শান্ত থাকে, তারপর আবার কিছু না কিছু একটা নিয়ে একজন শুরু হয়ে যায়। এ ধরনের প্রেমে ঝগড়াগুলো ক্ষণস্থায়ী হয়, কিন্তু খুব ঘনঘন হয়। ঝগড়াগুলো অধিকাংশই হয় ফোনে। বন্ধুকুল সর্বদা দুজনের ঝগড়া মেটাতে ব্যস্ত থাকে। মেয়ে তার সখীদের কাছে এই ঘনঘন ঝগড়ার কথা বলে বেড়ায়। মোবাইল প্রেম : বন্ধুর কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে বা ফোনবুক থেকে চুরি করে, পাড়ার ফ্লেক্সির দোকান থেকে সংগ্রহ করে, অন্য কোনো সূত্র থেকে নাম্বার পেয়ে বা নিতান্তই মনের মাধুরী মিশিয়ে কোনো নাম্বার বানিয়ে তাতে ফোন করে কোনো মেয়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে এই ধরনের প্রেমের সূত্রপাত। অনেক সময় মোবাইলে এভাবে কথা বলে ছেলেমেয়ে পরস্পরের সঙ্গে সামনাসামনি দেখা করে। এ ধরনের প্রেমের সফলতার হার খুবই কম। আসলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সফলতা এ ধরনের প্রেমের মূল উদ্দেশ্য নয়। অসাম্প্রদায়িক প্রেম : এ ধরনের প্রেমের ক্ষেত্রে ছেলে ও মেয়ে দুজনে দুই ধর্ম বা সম্প্রদায়ের অনুসারী হয়ে থাকে। সমাজ এ ধরনের সম্পর্ককে সমর্থন করে না। বিশেষত হিন্দু-মুসলমান ছেলেমেয়ের মধ্যে প্রেম বেশি বিতর্কের সৃষ্টি করে। ব্যর্থ প্রেম : সবশেষে আছে ব্যর্থ প্রেম। এ প্রেম শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে যায়। ব্যর্থ প্রেমিকার চাইতে ব্যর্থ প্রেমিকের সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি। ব্যর্থ প্রেমের শেষটা হয় প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান দিয়ে। কখনো কখনো ছেলেদের ভাগ্যে জোটে থাপ্পড়, মেয়েদের জুতার বাড়ি আর কখনো কখনো গণধোলাই। অনেক সময়ই ব্যর্থ প্রেমের পরিণতি হয় করুণ। কেউ দেবদাস হয়ে যায়, কেউবা মেয়েদের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলে ও দুনিয়ার সব মেয়ে এক এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়। দুর্বল মানসিকতার কেউ কেউ আত্মহননের পথও বেছে নেয়। বিয়ের আগে প্রেম : বিয়ের দিনক্ষণ সব ঠিকঠাক। আগামী এক মাস পর বিয়ে। তাই বলে হবু জামাই-বউ তো আর হাত পা গুটিয়ে বসে থাকতে পারেন না। প্রথমে মোবাইল তারপর সরাসরি রেস্টুরেন্ট বা পার্কে চলে তাদের এই প্রেম। এতে করে বিয়ের আগেই তাদের মধ্যে এক ধরনের বোঝাপড়া তৈরি হয়। বিবাহোত্তর প্রেম : প্রেম করে বিয়ে করার পর অনেক স্ত্রীকেই বলতে শোনা যায় এখন আর তুমি আমাকে আগের মতো ভালোবাসো না। আমাদের সমাজেও এ ধরনের মতবাদ প্রচলিত রয়েছে। তবে এর কোনো সত্যতা কেউ কখনো বের করতে পারেনি। পোশাক : রঙ বাংলাদেশ মডেল : জাহিদ ও বৃষ্টি মেকআপ : রাজন, আলোকচিত্রী : মুনতাকিম

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App