×

জাতীয়

রামগঞ্জে কৃষি জমি দখল করে ইটভাটা নির্মান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৪:৩৫ পিএম

রামগঞ্জে কৃষি জমি দখল করে ইটভাটা নির্মান
জমি দিবেন না? সমস্যা নাই। পরে টাকাও যাবে জমিও যাবে। এখনো সময় আছে জমি দিন, টাকা নিন। যে কোন উপায়েই আমরা এখানে ব্রীকফিল্ড করবোই। এভাবেই হুমকি দিয়ে সদ্য রোপনকৃত চাষ করা ধানের চারাসহ জমি থেকে ভেকো-মেশিন দিয়ে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল। মাটি না বিক্রি করায় ট্রলি দিয়ে ধানের জমিতে ট্রলি দিয়ে মাটিও জোর করে নিয়ে যাচ্ছে মাটিদস্যূরা। এসব ঘটনায় ফুসে উঠেছেন রামগঞ্জ উপজেলার ৯ নম্বর ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। বাধ্য হয়ে ৫শতাধীক গ্রামবাসীর স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি আজ বুধবার দুপুরে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোন্দকার রিজাউল করীমের নিকট জমা দেয় তারা। স্মারকলিপিতে গ্রামবাসী অভিযোগ করে বলেন, শুধু ভোলাকোট ইউনিয়নেই রয়েছে ১১টি ইটভাটা। আর দেহলা গ্রামে রয়েছে ৪টি ইটভাটা। ইটভাটার মাটি আনা নেয়ার কাজে ব্যবহৃত দানবীয় চাকার ট্রলিতে এলাকার রাস্তাঘাট সব ভেঙ্গে গিয়ে একাকার। শুধু তাই নয়, ধুলোবালির কারনে স্থানীয় এলাকাবাসীর রোগ-বালাইও বেড়েছে কয়েকগুন। এছাড়া একই গ্রামে ৪টি ইটভাটা থাকায় এলাকার মানুষের নাভিশ্বাস চরম আকার ধারন করছে। চাষের জমি ধান চাষ করতে বাধা দিচ্ছে ভাটার মালিকরা। ধানের চারা রোপন করার পরও সন্ত্রাসীদের ভয়ে ধানগাছসহ মাটি বিক্রি করতে বাধ্য করা হচ্ছে। কেউ মাটি বিক্রি করতে না চাইলে জোর করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মাটি। বর্তমানে একটি মহল জোর পূর্বক জমির উপর রাস্তা করে নতুন আরো একটি ইটভাটা নির্মানের পায়তারা করছে। এসময় জমির মালিকরা বাধা দেয়ায় কয়েকজন বয়স্ক মানুষকেও মারধর করা হয়েছে। রামগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) ফজলুল রহমানের কাছে সৃষ্ট ঘটনায় অভিযোগ দেয়ায় হুমকি দেয়া হচ্ছে অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ তানভীর আহম্মেদ সরকার জানান, এভাবে মাটি কাটার কারনে জমির টপ-সয়েল নষ্ট হচ্ছে। একটি জমির টপ-সয়েল ফিরে আসতে কমপক্ষে চার বছর সময় লাগে, অন্তত চার বছর জমিতে জৈব সার ব্যবহার করলেই তবে। রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আকম রুহুল আমিন জানান, এ রকম বেআইনি কাজ কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। সরকার দিনরাত পরিশ্রম করে রাস্তা নির্মান করছে, অথছ ইটভাটার ট্রলির কারনে তা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। জেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় বিষয়টি নিয়ে আমি জোরালো প্রতিবাদ করেছি। নতুন ইটভাটা যেন কোনভাবেই না হয় সে জন্য আমরা কাজ করবো। স্মারকলিপি হাতে পাওয়ার পর রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করীম জানান, ইটভাটা নির্মানের অনুমতি দেয়া হয় জেলা থেকে। আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে কথা বলে চেষ্টা করবো যেন কোনভাবেই এখানে নতুন কোন ইটভাটা না হয়। জেলা প্রশাসক মহোদয় এ ব্যপারে আন্তরিক রয়েছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App