কক্সবাজারের টেকনাফে আবারো সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারকালে ৬ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে বিজিবি। এসময় অভিযানে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া প্রেরণের সঙ্গে যুক্ত ৫ জন সন্দেহ ভাজন দালালকেও আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোররাতে টেকনাফের মহেশখালীয়া পাড়া ও মঠপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটক দালালরা হলো, টেকনাফের মহেশখালীপাড়া বশির আহম্মদের ছেলে মনির (২৭) তার ভাই দালাল ও নৌকার মালিক নুরুল আবছার (৩৫), শাহপরীরদ্বীপ মিস্ত্রিপাড়ার ওলি আহমেদের ছেলে ইউনুস (৩২), শাহপরীরদ্বীপ দক্ষিণপাড়ার মৃত নজির আহমদের ছেলে আমিন (৪৯) দালাল, আশ্রয়দাতা ও নৌকার মালিক মাঠপাড়ার এখলাসের ছেলে মুহাম্মদ মুন্না (৩৫)। বিজিবি টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়ন ইনচার্জ লে. কর্ণেল আসাদুদ জামান চৌধুরী তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুইটি মানব পাচার চক্র মঙ্গলবার ভোররাতে কিছু রোহিঙ্গা নাগরিককে সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া পাচার করতে টেকনাফস্থ খুরেরমুখ অস্থায়ী চেকপোষ্ট এলাকার মহেশখালীপাড়া এবং মাঠপাড়া এলাকায় জমায়েত করেছে। এমন খবর পেয়ে হাবিলদার তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে টহলদল মহেশখালীপাড়ায় এবং ব্যাটালিয়ন সদরের আরেকটি টহলদল মাঠপাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। উক্ত অভিযানে অদ্য মহেশখালীপাড়া এলাকায় ১ দালাল ও ৪ রোহিঙ্গাকে সাগরপাড়ে নৌকার অপেক্ষারত পাওয়া যায়। তাদের ঘেরাও করার কিছুক্ষণ পর নৌকাটি সাগরপাড়ে আসলে টহলদল নৌকাটি জব্দ করে এবং নৌকার মাঝিকেও আটক করে। অপর টহলদল মাঠপাড়া মুন্নার বাড়ীতে একসাথে ৩ দালালসহ ২ রোহিঙ্গা নারীকে নৌকার জন্য অপেক্ষমান অবস্থায় আটক করা হয়। দু অভিযানে ৫ দালাল ও অবৈধভাবে মালয়েশিয়াগামী ৬ রোহিঙ্গা। উদ্ধার রোহিঙ্গারা টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে বসবাস করে আসছে। তারা দালালদেরকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় গমন করছিল। আটক দালালদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে মানবপাচার চক্রের সাথে জড়িত অন্যান্য সক্রিয় দালালদের আটক করতে অভিযান চলমান রয়েছে। আটকদের বিষয়ে টেকনাফ থানায় মানবপাচার আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।