×

জাতীয়

কলাপাড়ায় শুটকি প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যস্ত শ্রমিকেরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০১:৫৩ পিএম

কলাপাড়ায় শুটকি প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যস্ত শ্রমিকেরা
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটায় সামুদ্রিক মাছ শুটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ কাজে শত শত নারী-পুরুষ শ্রমিক ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। জীবন-জীবিকার তাগিদে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ওইসব জেলে পরিবারগুলো ছুটে এসে অবস্থান নিয়েছে কুয়াকাটাসহ উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বিভিন্ন চরাঞ্চলে। তারা ছেলে মেয়ে নিয়ে অস্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছে। এজন্য সাগর কিংবা নদী লাগোয়া তীরে তারা ছোট ছোট ঝুপরি ঘর তুলেছেন। আর শুটকি প্রক্রিয়াজাত করনের জন্য পাশের জঙ্গল থেকে গাছ কেটে অসংখ্য মাচা তৈরী করেছেন। ব্যবসা লাভজনক হওয়াতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর শুঁটকি পল্লী গুলোতে ঘরের সংখ্যা বেড়েছে। তবে মাছের দাম একটু বেশি হলে লাভ হবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা। বিভিন্ন শুটকি পল্লী ঘুরে দেখা গেছে, একের পর এক মাছ ধরা ট্রলার গভীর সমুদ্র থেকে তীরে আসছে। সেখান থেকে শুটকি ব্যবসায়ীরা পোয়া, সোনাপাতা, মধুফাইস্যা, রূপচাঁদা, পোটকা, শাপলাপাতা, চাপিলা, ফাইস্যা, লইট্রা, চিংড়ি, ছুড়ি, হাঙ্গর, ভোল, মেদ সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ কিনছেন। কেউ কেউ ওইসব মাছ পরিস্কার করনের কাজ করছে। আবার কেউ শুটকি প্রক্রিয়াজাত করনে ব্যস্ত রয়েছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক শুটকি ব্যবসায়িরা জানান, প্রতিদিন এখানকার শুটকি ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান হচ্ছে। শুঁটকি কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা জানান, নিরাপদ ও মানসম্পন্ন শুটকি উৎপাদনের জন্য মৎস্য বিভাগ আমাদের প্রশিক্ষন দিয়েছে। এ বছর সাগরে ভাল মাছ পড়ছে। শুটকির জন্য এবার বাসাও বেড়ে গেছে। শুঁটকি ব্যবসায়ি মো.হানিফ হাওলাদার জাানান, এখানে সরকারি ভাবে কোন শুটকি রপ্তানীর ব্যবস্থা নেই। এখান থেকে শুটকি মাছ চালান করতে তাদের খরচ বেশি হচ্ছে বলে তিনি জানান। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনজ কুমার সাহা বলেন, সম্ভাবনাময় এ শুঁটকি শিল্পকে সঠিক ব্যবস্থাপনায় আনতে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। শুটকি উৎপাদনের জন্য জেলেদেরকে প্রশিক্ষন দেয়া হয়েছে। এছাড়া নিরাপদ ও মানসম্পন্ন শুটকি প্রক্রিয়া করনে তাদের নজরদারী রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App