×

জাতীয়

রামগঞ্জে সড়কে অবৈধ ট্রলি- ট্রাক্টরের অবাধ বিচরন 

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:৪০ পিএম

রামগঞ্জে সড়কে অবৈধ ট্রলি- ট্রাক্টরের অবাধ বিচরন 
রামগঞ্জে ইট, বালু, মাটি বহন কারী অবৈধ ট্রলি ও ট্রাক্টরের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। এদের বেপরোয়া গতিতে চলাচলের কারনে প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। ফলে অকালেই ঝরে যাচ্ছে তরতাজা প্রাণ। কাউকে আবার সারাজীবনের মতো বরণ করতে হচ্ছে পঙ্গুত্ব। এছাড়া এগুলোর বিকট শব্দের কারনে ঘটছে শব্দদূষণও। ফলে পথচারীসহ জন সাধারণকে সার্বক্ষনিক আতংকের মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে। কিন্তু চোখের সামনে অবৈধ এই যানের অবাধ চলাচল দেখেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করছেন না সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। ফলে তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে উপজেলার সর্বত্র। উচ্চ মাত্রার শব্দে ট্রলি চলাচলের কারনে অতিমাত্রায় শব্দ দূর্ষণ হয়। যে কারনে সরকার ২০১০ সালে সারাদেশে সব ধরনের ট্রলি চলাচল অবৈধ ঘোষনা করে। এছাড়া ট্রলি আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ও নিদের্শদেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়। কিন্তু সরকারের এই নিদের্শনাকে মানছেনা কেউই। একাধিক প্রয়োজনীয়তা ও আধুনিক প্রযুক্তিতে কৃষি জমি চাষাবাদের জন্য কৃষকের কাছে ট্রাক্টর খুবই জনপ্রিয়। দেশের কৃষি উন্নয়নে তথা চাষাবাদের কাজে ব্যবহার করার জন্যই সরকার বিদেশ থেকে ট্রাক্টর আমদানী করার অনুমতি দেয়। সরকারি এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির আমদানী কারকরা অবাদে আমদানী করে ট্রাক্টর। আমদানিকারকরা এসব ট্রাক্টর বিক্রিকরে ইটভাটার মালিক, কাঠ ব্যবসায়ি সহ সাধারণ পরিবহন ব্যবসায়িদের কাছে। ট্রাক্টর ও এর ড্রাইবারের জন্য কোনো লাইসেন্সের প্রয়োজন না হওয়ায় সহজেই এসব পরিবহন কিনে আনে ব্যবসায়িরা তারা এসব ট্রাক্টর কিনে কৃষি কাজের পরিবর্তে ব্যবহার করছে পরিবহন কাজে। ফলে উপজেলায় ট্রাক্টরের সংখ্যা ব্যপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং বিভিন্ন ইউনিয়নে তার ব্যপক প্রভাব বিস্তার রয়েছে। সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, চাষাবাদের জন্য আমদানীকৃত এই ট্রাক্টর অবৈধ ট্রলি-নছিমনসহ নানা পরিবহনে রুপান্তরিত হয়ে মানুষের সর্বনাশ করছে। আবাদি জমি ছেড়ে দাবড়ে বেড়াচ্ছে পৌরশহরসহ উপজেলার গ্রামীন জনপদে কিংবা বাজার কেন্দ্রিক সড়কগুলোতে। ড্রাইবিং লাইসেন্সসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা না থাকায় শিশু কিংবা কিশোররাও অদক্ষভাবে এসব ট্রাক্টর অবাধে চালাবার সুযোগ পাচ্ছে, ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা। উপজেলায় প্রতিদিন ১হাজারের ও বেশী ট্রলি বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে অবাধে চলাচল করছে। এসব যান দিয়ে সাধারণত হালচাষ করা হয় এধরনের যানবাহন নিয়ম মোতাবেক কৃষি জমিতে চাষাবাদের কাজে ব্যবহার হয়। বাংলাদেশ মোটরযান আইনে পাকা রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনের তালিকায় এর কোনো অস্তিত্ব নেই। ট্রলির মালিক মোহর আলী জানান, মালিক সমিতিতে মোটা অংকের চাদা দিয়েই আমরা আমাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি। কোথাও কোনো সমস্য হলে মালিক সমিতি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই সমস্য সমাধান করে। অন্যদিকে ট্রলি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লেখলে কী হবে। কেউই আমাদের কিছু করবে না, প্রশাসনকে ম্যানেজ করইে আমরা ব্যবসা করছি। এব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মো: রিজাউল করিম বলেন সড়কে ট্রাক্টরের চলাচল কিংবা পূর্ণ সামগ্রী বহনের অনুমতি নেই, শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যপারে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তোতা মিয়া বলেন সড়ক নিরাপত্তার জন্য এসব অবৈধ যান চলাচল করতে দেওয়া হবে না, প্রতিরোধে আমরা কাজ করছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App