কাপ্তাইয়ে জোড়া খুনের ঘটনায় দুই ইউপি চেয়ারম্যান আত্মগোপনে
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৪:২৫ পিএম
কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের কারিগর পাড়া এলাকায় স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে বর্তমান আওয়ামীলীগের কর্মী মংসানু মারমা এবং ট্রাকের হেলপার বাঙ্গালী মোঃ জাহিদুল ইসলামসহ দুইজনকে হত্যার ঘটনায় রাইখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সায়ামং মারমা ও চিৎমরম ইউপি চেয়ারম্যান খ্যাইসাঅং মারমা আত্মগোপনে থাকায় দুইটি ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। যার ফলে এলাকাবাসীর অভিযোগ দুই চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদের সার্টিফিকেট থেকে শুরু করে সকল প্রকার কার্যক্রমে সহায়তা পাওয়া থেকে বঞ্চিত রয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে সায়ামং মারমা ও খ্যাইসাঅং মারমা দুই ইউপি চেয়ারম্যান থেকে মুঠোফোনে এবং সরাসরি সাক্ষাত চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের স্বপক্ষে কোন বক্তব্য তুলে ধরা সম্ভব হয়নি। তবে থানা সূত্রে জানা যায়, জোড়া খুনের ঘটনায় তারা দুইজন এজাহারভূক্ত আসামী।
উলেখ্য, গেল ৪ ফেব্রুয়ারী বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কারিগর পাড়ার একটি চা দোকানে বসে মংসানু মারমা কয়েকজন বন্ধুদের সাথে বসে গল্প করছিলেন, এসময় হঠাৎ অতর্কিত আনুমানিক ৯ থেকে ১০-১২ জন অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা ব্রাশফায়ার করে, এতে সদ্য আ’লীগে যোগ দেওয়া কর্মী মংসানু মারমা ও জীপ হেলপার জাহিদুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। নিহত দু’জনকে আ’লীগ তাদের দলীয় কর্মী বলে দাবি করেন। হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত মংসানু মারমা শ্বশুর আপ্রু মারমা বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ১০-১২ জনকে অজ্ঞাতনামা দেখিয়ে কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। চন্দ্রঘোনা থানার ওসি শফিউল আজম জোড়া খুনের ঘটনায় আটককৃত ব্যক্তিদের কথা নিশ্চিত করে এবং রাঙ্গামাটি জেল হাজতে আসামীদেরকে প্রেরণ করেন বলে জানান। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও পুলিশ বাহিনী বসে নেই, তারা দ্রুত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জড়িতদের আটক করে আইনের আওতায় আনতে। ইতিমধ্যে যৌথ বাহিনীর অব্যাহত অভিযানে এ যাবৎ আটজনকে আটক করেছে। আটকৃতরা হলেন, খোংসাথুই মারমা, তপন তালুকদার, আওয়াইং মারমা, উথোয়াইনু মারমা, মংসাপ্র“ মারমা, সাচিংমং মারমা, তেজেন্দ্র তনচংগ্যা ও থুইচিং মারমা। এদের সকলকে চন্দ্রঘোনা থানায় সোপর্দ করে জোড়া খুনের মামলায় আটক দেখানো হয়। গত ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারী চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ আটজনকে রাঙ্গামাটি জেলা জজ আদালতে প্রেরণ করেন।