×

জাতীয়

মাদারীপুরে সরকারী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চলছে কোচিং বাণিজ্য

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০১:২৯ পিএম

মাদারীপুরে সরকারী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চলছে কোচিং বাণিজ্য
সরকারের কঠোর নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এসএসসি পরীক্ষা চলমান অবস্থায় মাদারীপুরে চলছে রমরমা কোচিং বাণিজ্য। কিছুতেই থামছেনা তাদের এই বাণিজ্য। নীতিমালা তোয়াক্কা না করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘরভাড়া করে গোপনে চলছে তাদের কর্মকান্ড। এ কারণে ছেলে-মেয়ের পড়ালেখার খরচ চালাতে গিয়ে অভিভাবকগণ হিমশিম খাচ্ছেন ও উপেক্ষিত হচ্ছে সরকারের নীতিমালা। অভিবাবক ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শ্রেণি কক্ষে শিক্ষকরা ঠিকমত পড়ায় না। একাধিক অভিভাবকের মতামত, শ্রেণি কক্ষে ঠিকমত পড়ালে বাইরে কোচিং করার প্রয়োজন হয় না। ভালোমন্দের বাছ-বিচার না করে ঢালাও ভাবে ক্লাসের সব শিক্ষার্থীকে কোচিং করতে বাধ্য করা হচ্ছে। কোচিং না করলে পরীক্ষায় শিক্ষকরা নম্বর কম দেয়। শহরের দুটি সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই কোচিং প্রবণতা বেশি। সরেজমিন দেখা গেছে, ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কোচিং বাণিজ্যে এ নম্মরে আছেন। এই স্কুলের আশ পাশের ৮/১০টি বাসা ভাড়া নিয়ে কোচিং বাণিজ্য চালচ্ছে। এই স্কুলের শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, পারভীন আক্তাররের কোচিং চলে মাষ্টার কলোনি রোডে, মোহাম্মদ আলি ও সঞ্জয় কালিবাড়ী মোড়ে, ফয়জুর রহমান এবং ফিরোজ আহম্মেদ পড়ান আমিরাবাদ এলাকায় এবং ফারুক হোসেনের তো তুলনাই হয় না। তিনি এ সব অনৈতিক কাজের হোতা। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শ্রেণি ভেদে কমপক্ষে ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকাও আদায় করা হয়। এতে একজন শিক্ষক প্রতিদিন একাধিক ব্যাচ পড়িয়ে মাসে লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করছেন। পূর্বে এই কোচিং বাণিজ্য শহরের নামি দামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রচলিত থাকলেও এখন তা সংক্রমিত রোগের মত ছড়িয়ে পড়েছে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের স্কুলগুলোতেও। শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রতিটা বিষয়ের কোচিং চালু হওয়ায় নিয়মিত ক্লাসের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলায় ক্লাসে ছাত্রদের উপস্থিতির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। বিষয়টি ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কোন গুরুত্ব না দেওয়ায় কোচিং শিক্ষকরা আরো উৎসাহিত হচ্ছেন। জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা এ নব দেখেও না দেখার ভান করে এড়িয়ে যাচ্ছেন। কোচিং বাণিজ্যের সাখে জড়িত শিক্ষকরা দাবী করেছেন, তারা আগে প্রাইভেট ও কোচিং করাতেন এখন করেন না। তবে সরেজমিন প্রত্যেক শিককের কোচিং এ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী দেখা গেছে। এই সব শিক্ষার্থী না জেনে পড়তে এসেছে বলেও দাবী করেন শিক্ষকরা। তবে এই কাজে জড়িতদের প্রমাণ সাপেক্ষে শাস্তির কথা জানিয়েছেন মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন গিয়াস। তিনি বলেন, ‘যদি প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App