×

জাতীয়

ছোটদের কলরবে মুখরিত শিশু প্রহর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:৪৪ এএম

ছোটদের কলরবে মুখরিত শিশু প্রহর

অমর একুশে গ্রন্থমেলার শিশু প্রহরে গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিশু চত্বরে প্রিয় সিসিমপুর ও কোমলমতি শিশুদের সঙ্গে আনন্দে সময় কাটান বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার। এ সময় তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় -ভোরের কাগজ

প্রাণের বইমেলায় ফিরেছে ছন্দ-আনন্দ। সেই সঙ্গে শিশুদের কলরবে মুখরিত মেলা প্রাঙ্গণ। কেনাবেচা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে সুশৃঙ্খল অংশগ্রহণও। গতকাল শুক্রবার মেলার অষ্টম দিনে দ্বিতীয় শিশু প্রহরে ছিল বিভিন্ন স্কুলের শিশু-কিশোরদের উপচে পড়া ভিড়। বাবা-মায়ের হাত ধরে সকাল ১০টা থেকে শিশু চত্বরে ভিড় করতে শুরু করে তারা। বিভিন্ন কার্টুন ও পাপেট দিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের শিশু চত্বর। তাদের প্রবেশের জন্য করা হয়েছে আলাদা গেট। সাজানো হয়েছে সিসিমপুর চত্বর, যেখানে কিছুক্ষণ পরপর শিশুদের শো দেখানো হচ্ছে। বই কিনতে স্টলে স্টলে ঘুরে বেড়ানো, আর ইকরি-হালুমদের সরাসরি দেখতে পাওয়ায় উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে শিশুদের মাঝে। দিদা শিলা বড়–য়ার হাত ধরে ফার্মগেট থেকে আসা সায়ন্ত বড়–য়া তুর্র্যর সঙ্গে কথা হলে সে বলে, বইমেলার জন্য অপেক্ষা করে থাকি। এখানে আসা আমার মতো অনেক শিশুকে দেখে ভালো লাগছে। এবার প্রথমে এসেই কিনেছি সিসিমপুরের বই আর বিদেশি গল্পের বই। আগামী শিশু প্রহরেও আমি আসব। বাবার হাত ধরে আসা অপর শিশু বর্ষা জানায়, সকাল থেকে আমাদের দখলেই ছিল বইমেলা। বলতে গেলে বড়রা ছিলেন না। কি মজা! এক ঘণ্টা হয়ে গেল ঘুরছি। এখানে এসে আমি অনেক বন্ধুও পেয়েছি। আদিগন্ত প্রকাশনীর কর্ণধার মোশতাক রায়হান বলেন, শিশুদের জন্য আলাদা গেট করায় সুবিধা হয়েছে। এতে করে বোঝা যাচ্ছে শিশুদের গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। শিশুরা তাদের নিজেদের জায়গাটা চিনতে পারছে। তারা নিজেদের মতো করেই মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াতে পারছে, বই দেখছে ও কিনছে। পাঠাভ্যাস কিংবা মনন গড়ার এখনই তো সময়। এ ছাড়া গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় মেলার লোকসমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই নানা বয়সী মানুষের সমাগম বেড়ে যায়। বিভিন্ন স্টলে বড়শি গাথা মাছের মতোই জড়ো হয়ে বই কেনায় ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। অনেককে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জলাধারের পাড়ে বসে আড্ডায় মেতে উঠতে দেখা গেছে। এমনিতে গতবারের চেয়ে এবারের মেলার সবকিছুই একটু ব্যতিক্রম। মেলার পরিধি, নান্দনিক সৌন্দর্য, নিরাপত্তা, লেখকদের জন্য আলাদা মঞ্চসহ নতুন বইয়ের জন্য আলাদা স্টল- এসব বিষয় এবারের মেলায় নতুন মাত্রা এনেছে। তবে বই প্রকাশের দিক দিয়ে গতবারের চেয়ে এবারের মেলা পিছিয়ে রয়েছে। প্রথম দিকে বিক্রি নিয়ে প্রকাশকদের মাঝে হতাশা দেখা দিলেও গতকাল তারা বলেছেন, ১০ দিন যাওয়ার পর মেলা পুরোপুরি প্রকৃত অর্থে ছন্দময় হয়ে উঠবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App