×

জাতীয়

ঈশ্বরদীতে মুক্তিযোদ্ধা সেলিম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৬:২৯ এএম

ঈশ্বরদীতে মুক্তিযোদ্ধা সেলিম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
ঈশ্বরদীতে মুক্তিযোদ্ধা সেলিম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ঈশ্বরদীতে মুক্তিযোদ্ধা সেলিম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ঈশ্বরদীর বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম (৬৭) কে বুধবার রাতে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সেলিম হত্যার প্রতিবাদে ঈশ্বরদী-কুষ্টিয়া মহাসড়কের রুপপুর মোড়ে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন শুরু হয়ে বেলা ১২টা ৩০ মিনিটের সময় হত্যাকারীদের গ্রেফতারের জন্য ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে শেষ হয়।

পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পাকশী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল ইসলাম হব্বুলের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন পাবনা সদরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির, ঈশ্বরদীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহাম্মদ হোসেন ভূঁইয়া, ঈশ্বরদীর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল খালেক, পাকশী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জাহাঙ্গীর আলম, মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান ফান্টু, মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাসার, মুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামান বদি, মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক বুদু, পাকশী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক বিশ্বাস, সলিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বাবলু মালিথা, পাকশী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ইমরুল কায়েস পারভেজ, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন কুমার কুন্ডু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাতেন, জাতীয় শ্রমিক লীগ ঈশ্বরদী আঞ্চলিক শাখার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, শ্রমিক লীগ ঈশ্বরদীর সভাপতি রফিকুল হাসান স্বপন, শ্রমিক লীগ পাকশী শাখার সভাপতি ইকবাল হায়দার, পাকশী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, পাকশী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি মাসুদ বিশ্বাস ও যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম সুলতান।

বক্তারা বলেন, পাকশীতে এতো নিরাপত্তা থাকার পর কেন এতো জনকে গুলি খেয়ে প্রাণ দিতে হলো। এটা কেমন নিরাপত্তা বুঝতে পারিনা। আগের খুনের বিচার না হওয়াতে একের পর এক গুলিতে হত্যা হচ্ছে। প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, রুপপুরে রক্তের হুলি খেলা বন্ধ করেন। অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ির কারণে রুপপুরে রক্তের স্রোত বয়ে চলেছে। ডিসি, এসপিরা আজ শান্তিতে চাকরী করতে পারতেন না যদি সেলিমের মতো মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ না করতেন। মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাড়ে ভর করে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সে সময় মুক্তিযোদ্ধাদের গুলি করে নিসংশ ভাবে হত্যা করা হচ্ছে। পাকশীতে হত্যার জনপদে পরিনত হয়েছে, এসব বন্ধ করতে হবে। সাত দিনের মধ্যে প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। তানাহলে আমারা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবো।

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী জানান, তদন্ত অনেকটা এগিয়ে গেছে। মুক্তিযোদ্ধা সেলিমের ময়না তদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। আততায়ীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। পুলিশ তদন্তে মাঠে রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App