×

জাতীয়

ধুনটে নারী পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০১:৩৭ পিএম

ধুনটে নারী পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যা
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় দাম্পত্য কলহের জের ধরে গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে রোজিনা খাতুন নামের এক নারী সহকারী উপ পরিদর্শক (এসআই) কর্মকর্তার আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার রাত ১০টায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। থানা সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরী হয় নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের নান্নু মিয়ার মেয়ে রোজিনা খাতুনের। গত ২০০৮ সালে একই এলাকার আব্দুল লতিফ মোল্লার ছেলে হাসান আলীর সাথে রোজিনা খাতুনের বিয়ে হয়। তার স্বামী হাসান আলী সিংড়া উপজেলার দমদমা কারিগরি স্কুলের সহকারী শিক্ষক। তাদের দাম্পত্য জীবনে ১ ছেলে ও ১ কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। রোজিনা খাতুন এএসআই পদে পদোন্নতি পেয়ে ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি বগুড়ার ধুনট থানায় যোগদান করেন। ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে থানা ভবনের পাশে একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। স্বামী হাসান আলী চাকুরির সুবাদে গ্রামের বাড়িতে থাকেন। স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ধুনটের ভাড়া বাসায় বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে রোজিনা খাতুন। এসময় রোজিনার মা ও বাবা ওই ভাড়া বাসায় ছিলেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে তারা রোজিনা খাতুনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টায় তার মৃত্যু হয়। রোজিনার বাবা নান্নু মিয়া বলেন, কয়েক বছর ধরে জামাতার সাথে আমার মেয়ের পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। জামাতা হাসান আলী বৃহস্পতিবার রোজিনার ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসেন। সেখান থেকে শনিবার সকালে গ্রামের বাড়িতে চলে যায়। জামাতা চলে যাওয়ার পর থেকেই মেয়ের মন খারাপ ছিল। এ অবস্থায় রোজিনা ভাড়া বাসায় গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে রোজিনার উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। তার আগেই সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। তার আত্মহত্যার কারন উদঘাটন করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App