×

জাতীয়

২শ’ একর জমির বোরো ক্ষেত হুমকির মূখে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৩:১৬ পিএম

২শ’ একর জমির বোরো ক্ষেত হুমকির মূখে

প্রতীকী ছবি

বিদ্যুতের সংযোগ না থাকায় চলতি বোরো মৌসুমে কুলাউড়ার টিলাগাঁও ইউনিয়নের তাজপুর সেচ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২শ’ একর জমির বোরো ক্ষেত রয়েছে হুমকির মুখে। এতে করে এবার কৃষককূলের মাথায় হাত, পানি নিয়ে তারা রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। পানির অভাবে বিশেষ করে বোরো ক্ষেত মরুভূমিতে পরিণত হওয়ার উপক্রম। যার কারণে রোপিত বোরো চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষককূল। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুলাউড়ার টিলাগাঁও ইউনিয়নের তাজপুর সেচ প্রকল্পের আওতায় মনু নদী থেকে সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হয়। এবছর বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় পানির অভাবে বোরো চাষাবাদ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। ক্ষেতে পানি না থাকায় জমি শুকিয়ে যাচ্ছে। কোথাও আবার পানির অভাবে ক্ষেত মরে যাওয়ার উপক্রম। ইউনিয়নের বাগৃহাল গ্রামের কৃষক আছকির মিয়া জানান, শুকনো মৌসুমে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বোরো ক্ষেতের নিচের অংশ শুকিয়ে গেছে। বিলের কোথাও ক্ষেতে পানি নেই। প্রতিবছর সেচ প্রকল্পের আওতায় মনু নদী থেকে সিংরাউলী বিলে বোরো ক্ষেতে পানি সরবরাহ করা হতো। কিন্তু এবছর বিদ্যুতের সংযোগ না থাকায় ৮/১০টি গ্রামের কৃষকের ক্ষেত হুমকির মুখে রয়েছে। কৃষক সামছুউদ্দিন, মহসীন মিয়া, মাহমুদ আলী, ছনু মিয়া, আব্দুল খালিক ও মজিদ মিয়া জানান, ‘আমরা সেচ প্রকল্পের উপর নিভর হয়ে বোরো চাষাবাদ করে থাকি। কিন্তু এবছর এখন পযন্ত পানি সরবরাহ করা হচ্ছেনা।’ তারা সেচ প্রকল্পের ম্যানেজার শ্রীকান্ত দত্তকে দায়ী করে বলেন- ক্ষেতে পানি সরবরাহের কথা বললেও তিনি তা করছেন না। জানতে চাইলে তাজপুর সেচ প্রকল্পের ম্যানেজার শ্রীকান্ত দত্ত পানির অভাবে ক্ষেত নষ্ট হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, সেচ প্রকল্পের বৈদ্যুতিক মিটার ২০১৮ সালের প্রাকৃতিক দুযোগ বন্যায় বিনষ্ট হয়। মিটারের ডিসপ্লে নষ্ট হয়ে যায়। নতুন মিটার দেওয়ার কথা বলে মিটারটি খোলে নেওয়া হয়। এরপর থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৭ সালে এ প্রকল্পের আওতায় বোরো মৌসুমে যেখানে বিদ্যুৎ বিল ছিল প্রায় ১২ হাজার টাকা। মিটারের ডিসপ্লে না থাকলেও ২০১৮ সালে ৬৫ হাজার টাকার ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হয়। বিষয়টি কমলগঞ্জ জোনাল অফিসে অবহিত করলেও তাতে সুরাহা পাওয়া যায়নি। এখন প্রাকৃতিক দুযোগে বিনষ্ট বৈদ্যুতিক মিটার ও সকেট ক্রয়সহ আমাকে বিল বাবৎ ৯৯ হাজার ৮৫ টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। যোগাযোগ করলে পল্লীবিদ্যুতের মৌলভীবাজার অফিসের জিএম সিবুলাল বসু জানান, আমি পুরো বিষয়টি এখনও জানিনা। আমার সাথে যোগাযোগ করলে সুরাহার চেষ্টা করব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App