×

জাতীয়

সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দুয়ার খোলা: কা‌দের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৫:৩৮ পিএম

সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দুয়ার খোলা: কা‌দের

সোমবার ধানমণ্ডিতে দলীয় সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের/ ছবি: সংগৃহীত

সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুয়ার সব সময় খোলা আছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ সোমবার বেলা ১১টায় ধানমণ্ডিতে দলীয় সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আলোচনায় বসার সম্ভাবনা আছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার দরজা কারো জন্য কখনো বন্ধ ছিল না, শেখ হাসিনার দরজা সবার জন্য সব সময় খোলা থাকবে। কেউ কোন বিষয়ে কথা বলতে চাইলে, তার সঙ্গে নিয়ম মাফিকভাবে আলোচনা করতে চাইলে, আলাপ করতে চাইলে- আমাদের নেত্রী দুয়ার খোলা আছে।

গণভবনে চা চক্রের নামে তামাশা হয়েছে- বিএনপির এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আসলে নেতিবাচক রাজনীতির গভীর খাদের কিনারায় চলে এসেছে। তাদের এখন খাদে পরার বেশি বাকি নেই। এ অবস্থায় তারা বেসামাল হয়ে, বেপরোয়া হয়ে যখন যা খুশি তাই বলছে। এখানে কোনো যুক্তি নেই, এখানে কোনো বাস্তবতা নেই। কারণ এই নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে এই মুহূর্তে কোনো প্রশ্ন নেই। তি‌নি আরো ব‌লেন, দুনিয়ার সব সভ্য গণতান্ত্রিক দেশগুলো এই নির্বাচনে বিপুল জয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। শুভেচ্ছা জানিয়ে সরকারের সঙ্গে একসাথে কাজ করার কথা স্বয়ং জাতিসংঘ থেকেও উচ্চারিত হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কোথাও, কোনো প্রশ্ন নেই, কোথাও কোন বিতর্ক নেই এবং দেশ ও জনগণের মাঝে কোনো প্রকার বিরূপ সমালোচনা নেই। একমাত্র বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের নেতারাই আজকে নির্বাচনকে বিতর্কিত করার ব্যর্থ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। কাজেই তারা কে কি বলল তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। কারণ এটা ব্যর্থ বিএনপির অসংলগ্ন প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়।

বিএনপির আন্দোলনের হুমকি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি লিগ্যাল বিষয়। লিগ্যাল ব্যাটেল করে তারা যদি তাদের নেত্রীকে মুক্ত করে তাহলে তাদেরকে স্বাগতম। এটা আইনের বিষয়, আইনগতভাবে সমাধান হবে। এখন আন্দোলন করে বিএনপি বেগম জিয়াকে মুক্ত করবে, এটা এখন আর দেশের জনগণ বিশ্বাস করে না। কারণ তাদের আন্দোলন আষাঢ়ের তর্জন গর্জনেই সার। এর কোন আবেদন নেই।

আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে স্পষ্টভাবে বলা আছে উপজেলার বর্ধিত সভার মাধ্যমে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিতে হবে। কিন্তু অনেক জায়গা থেকে অভিযোগ আসছে এমপিরা তাদের প্রভাব খাটিয়ে একক নাম পাঠাচ্ছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, সে রকম অভিযোগ আসতে পারে। এখন এককভাবে নিয়ম ভঙ্গ করে যদি কোনো নাম বা তালিকা আসে সেজন্য তো আমাদের মনোনয়ন বোর্ড আছে। কেউ কোনো অনিয়ম করলো কিনা, সেটা দেখার জন্য আমাদের এই বোর্ড। তৃণমূলের নামগুলো সঠিকভাবে আসছে কিনা সেটা দেখার জন্যই তো আমাদের এই মনোনয়ন বোর্ড।

তি‌নি আরো ব‌লেন, সঠিকভাবে নাম না আসলে, সেখানে সার্ভে রিপোর্টও আছে। সব মিলিয়ে আমরা মনোনয়ন দিবো। শুধুমাত্র তৃণমূলের রিপোর্টের উপর আমরা ভিত্তি করব না, কারণ তৃণমূলের রিপোর্টে যদি কোনোরকম ম্যানিপুলেশন হয় সে অবস্থায় সার্ভে রিপোর্ট আমাদের কাজে দিবে।

অনেক এমপি, মন্ত্রী এবং শীর্ষ নেতারা তাদের নিজ এলাকার প্রার্থীর নাম এককভাবে পাঠাচ্ছে এমন অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে যে মনোনয়ন বোর্ড বসবে সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করে যাচাই-বাছাই করে জনগণের কাছে অধিকতর গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকেই আমরা সিলেক্ট করব।

বিএনপি বলছে জাতীয় নির্বাচনে যেমন ভোট ডাকাতি হয়েছে ডাকসু নির্বাচনে ভোট ডাকাতির আশঙ্কা রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, নির্বাচনের আগেই তারা হেরে যাচ্ছে, এটা তো তাদের পুরনো অভ্যাস। এটা তাদের স্বভাব সুলভ বক্তব্য। যে কোন নির্বাচনে ফলাফল ভোট গণনা পর্যন্ত তারা অভিযোগ আনে কারচুপির হচ্ছে ডাকাতি হচ্ছে।

তি‌নি ব‌লেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তারা একই অভিযোগ এনেছিল, তারা রাত দশটা পর্যন্ত এমন কারচুপির অভিযোগ এনেছিল কিন্তু পরে দেখা গেল তাদের প্রার্থী জিতল। শুধু সেটা নয় পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারা জিতল। কিন্তু ভোট গণনাকালে তারা বলেছে কারচুপি হয়েছে, দখল হয়েছে, জালিয়াতি হয়েছে। এটা বিএনপির পুরনো অভ্যাস নালিশের রাজনীতি তাদের নতুন নয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App