জামালপুরে আন্তঃনগর যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে লাফিয়ে নামতে গিয়ে দুর্ঘটনায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রসহ দুজন নিহত হয়েছেন। রবিবার রাতে জামালপুর-ময়মনসিংহ রেলপথের নরুন্দি রেলস্টেশনে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন জামালপুর সদর উপজেলার তুলসীর চর ইউনিয়নের বাগানতলা গ্রামের কৃষক মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে শিমুল এবং একই গ্রামের হামিদুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রহমান। নিহত আব্দুর রহমান নরুন্দি ফয়েজিয়া সিনিয়র মাদরাসায় দশম শ্রেণিতে পড়তো।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকেলে পরিবারের স্বজনদের সাথে রাগারাগি করে ঢাকায় চলে যাওয়ার কথা বলে শিমুল ও আব্দুর রহমান বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। বিকেলে তারা জামালপুর থেকে কমিউটার ট্রেনে ময়মনসিংহে যায়। সিদ্ধান্ত বদলে তারা ফের ময়মনসিংহ স্টেশনে গিয়ে যমুনা ট্রেনে জামালপুরে ফিরছিল।

আন্তঃনগর যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ না থাকায় রাত দশটার দিকে স্টেশন অতিক্রম করার সময় তারা চলন্ত ট্রেন থেকে লাফিয়ে নামার সাথে সাথে ট্রেনে কাটা পড়ে। শিমুল ঘটনাস্থলেই মারা যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত আব্দুর রহমানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানে সে মারা যায়।

তাদের প্রতিবেশী বিল্লাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, নিহত শিমুলের মরদেহ রবিবার রাতেই এবং আব্দুর রহমানের মরদেহ আজ সোমবার সকালে বাড়িতে নেওয়া হলে দুই পরিবারেই শোকের মাতম শুরু হয়। পরে বিকেলে জানাজা শেষে তাদেরকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

জামালপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাপস চন্দ্র পন্ডিত কালের কণ্ঠকে বলেন, ট্রেন থেকে লাফিয়ে নামতে গিয়ে নিহত ওই দুই ছাত্রের মরদেহ তাদের পরিবারের স্বজনরা নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় জামালপুর রেলওয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে।