অ্যাপ ডাউনলোডের অর্ধেকই চীনে
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৪:৫৫ পিএম
বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোন বিক্রিতে প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা পড়তির দিকে থাকলেও স্মার্টফোনের ব্যবহার কিন্তু কমছে না। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বাজার বিশ্লেষক অ্যাপ অ্যানির সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনই তার প্রমাণ। ‘দ্য স্টেট অব মোবাইল ২০১৯’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা গড়ে প্রতিদিন ৩ ঘণ্টা সময় স্মার্টফোনের পেছনে ব্যয় করেছেন। পুরো বছর হিসাব করলে সময়টি প্রায় দেড় মাস। গত বছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৯ হাজার ৪০০ কোটি বার বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড হয়েছে। এর প্রায় অর্ধেকই ডাউনলোড করেছেন চীনের ব্যবহারকারীরা। খবর সিএনবিসি।
২০১৮ সালে বিশ্বজুড়ে মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোডের (পেইড ডাউনলোড, ইন-অ্যাপ পারচেজ ও ইন-অ্যাপ সাবস্ক্রিপশন) পেছনে মোট ব্যয় হয়েছে ১০ হাজার ১০০ কোটি ডলার। এর প্রায় ৪০ শতাংশ ব্যয় হয়েছে চীনে। অ্যাপ পারচেজের ক্ষেত্রে মোবাইল গেমিং কনটেন্টই ডাউনলোড হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
চীন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ স্মার্টফোনের বাজার। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এ বাজার কিছুটা খারাপ যাচ্ছে।
এ ছাড়াও, অনুমোদন-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে দেশটিতে কয়েকটি জনপ্রিয় গেম বিক্রিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। তা সত্তে¡ও গত বছর অ্যাপ ডাউনলোডের পেছনে চীনাদের ব্যয় অনেক বেশি। অ্যাপ অ্যানির রিজিওনাল ডিরেক্টর জেড ট্যান সিএনবিসিকে বলেছেন, চীনের স্মার্টফোন বাজার শহরভেদে ভিন্ন। উদাহরণ হিসেবে তিনি সাংহাই ও বেইজিংয়ের কথা উল্লেখ করেন। এ দুটি শহরের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা নতুন অ্যাপ ডাউনলোড করেন খুব কম। কিন্তু তারা স্মার্টফোনের পেছনে তুলনামূলক বেশি সময় ব্যয় করেন এবং ইন-অ্যাপ পারচেজের পেছনে বেশি অর্থ ব্যয় করেন। এ তথ্য থেকে মনে হতে পারে চীনে অ্যাপের বাজার খুব খারাপ। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দেশটিতে কিছু শহর রয়েছে, যেখানকার অধিবাসীরা এর আগে কখনো স্মার্টফোন ব্যবহার করেনি।
এখন তারা স্মার্টফোন ব্যবহার শুরু করছে। নবীন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের তাই নতুন অ্যাপও কিনতে হয়। ৩০০ প্রযুক্তি কোম্পানি এ খাতের বৈশ্বিক ভোক্তা ব্যয় থেকে মোট যে পরিমাণ অর্থ আয় করে, তার ৩২ শতাংশ আয় করে। তাদের আয়ের পরিমাণ ১ হাজার ৯৬০ কোটি ডলার। প্রযুক্তি খাতে ভোক্তা ব্যয় থেকে মোট আয়ের ২২ শতাংশ মার্কিন কোম্পানিগুলোর দখলে। গত বছর প্রযুক্তিখাতের ভোক্তা ব্যয় থেকে বেশি আয় করেছে ভিডিও গেমিং কোম্পানি টেনসেন্ট। এ তালিকায় শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য চারটি প্রতিষ্ঠানও গেমিং কোম্পানি।