×

জাতীয়

ব্র্যান্ডের নামে নকল ওষুধ, বহনে শিশুরা: ডিএমপি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৫:২৬ পিএম

ব্র্যান্ডের নামে নকল ওষুধ, বহনে শিশুরা: ডিএমপি

রোববার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন/ ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিন একাধিক নামি-দামি কোম্পানির ওষুধের নাম ও মোড়ক নকল করে নিজস্ব পদ্ধতিতে বানিয়ে বাজারজাত করছিল একটি চক্র।

চক্রটি বিভিন্ন অখ্যাত ফার্মেসির মাধ্যমে জীবন ধ্বংসকারী এসব ওষুধ বাজারজাত করছিল। আর তাদের এসব ওষুধ পরিবহনে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল শিশুরা।

শনিবার রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই নকল ওষুধ চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল।

তারা হলেন, মোহাম্মদ আবদুস সোবহান, মোহাম্মদ নাঈমুর রহমান তুষার, রিয়াজুল ইসলাম মৃদুল, মোসাম্মৎ নারগিছ বেগম ও মোহাম্মদ ওয়াহিদ।

এ সময় প্রিন্টার, রঙের কৌটা, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ও ব্যাচ নং লেখাসহ বিভিন্ন প্রকার সিল, একটি বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানির ৩০০ পিস নকল ইনসুলিন, ৮৪ হাজার পিস নকল সেক্স পাওয়ার ক্যাপসুল, অ্যাক্ট্রাপিড ১০ মিলি ৬৫ পিস, জি পেথিডিন প্লাস্টিকের একটি ট্রে, প্রিমিয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের জি পেথিডিন ইনজেকশনের ১ রোল ওয়ালপেপার (স্টিকার), প্রিমিয়ার ফার্মাসিটিক্যালসের অ্যালার্ট লেখা ওষুধের ফয়েল পেপার জব্দ করা হয়।

আজ রোববার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন।

তিনি বলেন, ‘চক্রটি দীর্ঘদিন নকল ওষুধ তৈরি ও বাজারজাত করে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের ৫ জনকে বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ ও ওষুধ তৈরির সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তারা শিশুদের দিয়ে কৌশলে এসব বহন করতেন।’

ডিবির এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘চক্রটি সাধারণত অখ্যাত ফার্মেসিগুলোতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ওষুধ সরবরাহ দিয়ে থাকেন। এদের টার্গেট নিম্নআয়ের মানুষ। তাদের কাছেই উত্তেজক ওষুধসহ বিভিন্ন নকল ওষুধ সরবরাহ করতেন।’

তিনি বলেন, ‘পুরো চক্রটিকে আইনের আওতায় আনতে আমাদের অভিযান চলবে। কারা, কোন প্রক্রিয়ায় এসব নকল ওষুধ বানাচ্ছে এবং কিভাবে ফার্মেসিগুলোকে তা বিক্রির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে, তা জানাই এখন আমাদের মূল টার্গেট। আশা করি, আমরা খুব দ্রুত এই চক্রকে ধরতে পারব।’

সবাইকে সাবধান করে আবদুল বাতেন বলেন, ‘নকল ও ভেজাল ওষুধ আপনার জীবননাশের কারণ হতে পারে। মোহের বশে এসব ওষুধ না কিনে ভাল মানের ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনবেন। নকল ওষুধ মানুষের কোনো কাজে আসে না বরং মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়। সুতরাং সবাই সাবধান থাকবেন।’

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিনি জানান, গ্রেপ্তার সোবহান দীর্ঘদিন ধরে একাধিক ওষুধ কোম্পানির নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে নকল ওষুধ বানাতেন। ওষুধের মোড়ক, লেভেল- এগুলো তৈরি করে নিজেই গায়ে সকল তথ্য সম্বলিত সিল বসাতেন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিভিন্নভাবে সংগ্রহ করে দেশীয় পদ্ধতিতে তার গায়ে মেয়াদ, ব্যাচ নং, মূল্য ইত্যাদি নতুনভাবে সংযোজন করে পুনরায় বাজারজাত করতেন চক্রটির সদস্যরা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App