ব্রেক্সিট মার্চেই: মে
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৭:৩৩ পিএম
পূর্ব নির্ধারিত ২৯ মার্চ তারিখের মধ্যেই ইউরোপের সঙ্গে বিচ্ছেদে বদ্ধপরিকর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ব্রেক্সিটের পর আয়ারল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের মধ্যে সীমান্ত প্রক্রিয়া কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা করতে ব্রাসেলস যাওয়ার আগে দ্য সানডে টেলিগ্রাফের এক কলামে এ কথা জানান মে। আলোচনার চলতি দফায় তিনি নতুন দাবি, নতুন পরিকল্পনা এবং নতুন সংকল্প নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নেতাদের দরবারে যাচ্ছেন।
মে জানান, ‘আইরিশ ব্যাকস্টপ’ নিয়ে বিকল্প একটি পরিকল্পনা দেয়া হয়েছে, যদিও সেটা শুধুই একটি বিকল্প। গত মঙ্গলবার আইরিশ ব্যাকস্টপ নিয়ে বিকল্প পরিকল্পনার পক্ষে সমর্থন দেন ব্রিটিশ এমপিরা। তবে আয়ারল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী সিমন কনভেনি এ বিষয়ে বলেন, নতুন প্রস্তাবে ‘ব্যাকস্টপ নিয়ে গ্রহণযোগ্য বিকল্প ব্যবস্থার কথা নেই। সম্পর্কোচ্ছেদের চুক্তি নিয়ে ইইউ নতুন করে আলোচনা করবে না। আর ব্যাকস্টপ ব্যবস্থায় পরিবর্তন না হলে ব্রেক্সিট চুক্তি হবে না। ব্যাকস্টপ ব্যবস্থায় অবশ্যই ‘গুড ফ্রাইডে চুক্তি বা বেলফাস্ট চুক্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে’ বলেও জানান তিনি।
দীর্ঘ ৩০ বছরের সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে উত্তর আয়ারল্যান্ডে শান্তি ফিরিয়ে আনতে ১৯৯৮ সালের এপ্রিলে বেলফাস্ট চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এই চুক্তির অধীনেই বর্তমানে উত্তর আয়ারল্যান্ডের সরকার পরিচালিত হচ্ছে। উত্তর আয়ারল্যান্ড এবং স্বাধীন আইরিশ প্রজাতন্ত্রের মধ্যে কেমন হবে সেটিও নির্ধারিত হয়েছে এ চুক্তির মাধ্যমে। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আইরিশ প্রজাতন্ত্রের সম্পর্কটিও এ চুক্তি দ্বারাই নির্ধারিত। ব্রেক্সিটের পর ইইউর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের একমাত্র সীমান্ত হবে আইরিশ বর্ডার। স্বাভাবিকভাবেই সম্পর্কোচ্ছেদের পর সীমান্ত ব্যবস্থা কেমন হবে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
তবে মে বলছেন, ব্যাকস্টপ নিয়ে বিকল্প যে পরিকল্পনার কথা ভাবা হচ্ছে সেটি ‘গুড ফ্রাইডে চুক্তির সঙ্গে সাংঘর্ষিক’ হবে না।
পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী, আগামী ২৯ মার্চের মধ্যে যুক্তরাজ্যকে ইইউ ছাড়তে হবে। অথচ এখনো কোনো ব্রেক্সিট চুক্তিই হয়নি। যুক্তরাজ্য কোনো চুক্তি ছাড়া সম্পর্কোচ্ছেদ করতে চাইছে না। বেশ কয়েক জন এমপি ব্রেক্সিটের জন্য সময় বাড়ানোরও পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী মে যথাসময়ের মধ্যেই সম্পর্কোচ্ছেদ করতে চান, বলেছেন, মার্চেই ব্রেক্সিট সম্পন্ন করে ইইউ থেকে বেরিয়ে যাবে ব্রিটেন।