×

জাতীয়

‘জেলখানায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ বিনা বিচারে বন্দি’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৯:২০ পিএম

‘জেলখানায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ বিনা বিচারে বন্দি’

রোববার নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা তীরে অবস্থিত বেসরকারি রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মানবাধিকার, সংবিধান ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল/ ছবি: সংগৃহীত

মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেছেন, দেশের জেলখানাগুলোতে দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ বিনা বিচারে বন্দি রয়েছেন। জেলখানাগুলোর ধারণ ক্ষমতার তিন-চারগুণ বেশি মানুষ জেলখানায়। এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ বিনা বিচারে বন্দি।

আজ রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা তীরে অবস্থিত বেসরকারি রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মানবাধিকার, সংবিধান ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সুলতানা কামাল বলেন, বন্দিদের মধ্যে অনেক দোষী, অপরাধী কিংবা দুর্ধর্ষ অপরাধী থাকলেও তাদের কোনো বিচার হয়নি। তবে বন্দিদের মধ্যে একটি বড় অংশ কোনো ধরনের অপরাধ না করেই জেলখানায় বন্দি হয়ে আছেন।

তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানে বলা আছে, কাউকে বিনা বিচারে আটক রাখা যাবে না। অথচ আমাদের দেশের জেলখানাগুলোতে দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ বিনা বিচারে আটক রয়েছেন। তাদের কোনো বিচার হয়নি।

সুলতানা কামাল বলেন, আমাদের জেলখানাগুলোতে ধারণ ক্ষমতার তিন-চারগুণ বেশি মানুষ বন্দি রয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ দোষী থাকতে পারে, অপরাধী থাকতে পারে ও দুর্ধর্ষ অপরাধী থাকতে পারে। কিন্তু কারও বিচার হয়নি।

আমরা বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করছি মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা প্রায়ই দেখছি মানুষের মৃতদেহ বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু ঘটনা ঘটছে সেগুলোর কোনো সুরাহা হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে অনেক হত্যাকাণ্ডের বিচার হচ্ছে না। সংবিধানে বলা আছে, আমাদের বাক স্বাধীনতা কেউ হরণ করতে পারবে না। কিন্তু অনেক আইন তৈরি হচ্ছে। সর্বশেষ যেটা এসেছে সেটা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট। এই আইন দিয়ে কিন্তু আমাদের বাক-স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। দেশ এমন অবস্থায় পৌঁছে গেছে মানুষ এখন আর ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করে না।

সুলতানা কামাল আরও বলেন, দেশের বাস্তব পরিস্থিতিতে নানা কারণে মানুষের প্রতি নানা বৈষম্য রয়ে গেছে। এই বৈষম্য এটা অসাংবিধানিক। এই বৈষম্য দূর করতে বৈষম্য বিলোপ আইন তৈরির করা হলেও সেটি আইন প্রণয়ের দায়িত্বে যারা রয়েছেন তারা পাশ করেননি। নানা বৈষম্য তৈরি হওয়ার কারণে কোটা পদ্ধতি তৈরি হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা, নারী, আদিবাসী যারা কোনো কারণে পিছিয়ে পড়েছিল তাদেরকে সামনে নিয়ে আসার জন্যই কোটা পদ্ধতি চালু হয়েছিল। সমান সুযোগ সবাইকে দিতে হলে কিছুটা কোটা পদ্ধতি না হলে সম্ভব হবে না। তাই পুরোপুরি কোটা পদ্ধতি বাতিল করে দেয়াটাকে সমর্থন করা যায় না।

রণদা প্রসাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মনীন্দ্র কুমার রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্ট্রি বোর্ডের চেয়ারম্যান রাজীব প্রসাদ সাহা, উপদেষ্টা সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহিদ খান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App