×

জাতীয়

চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আবুল কালাম আজাদ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০১:০৯ পিএম

চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আবুল কালাম আজাদ

আবুল কালাম আজাদ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের হাওয়া বয়তে শুরু করেছে। আসন্ন দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মাস খানেক বাকী থাকলেও দলীয় মনোনয়ন পেতে তোরজোড় শুরু করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শক্ত হাতে নৌকার হাল ধরতে তৃনমুল নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আবারও নৌকার পালে হাওয়া লাগাতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ক্লিন ইমেজখ্যাত সাবেক ছাত্রনেতা আবুল কালাম আজাদ। নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন নিয়মিত। এরই ধারাবাহিকতায় এ উপজেলাটি ধরে রাখতে তৃনমূল নেতা কর্মীদের নিয়ে নির্বাচনীয় এলাকায় গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। জানা গেছে, ১৯৬২ সালে দেওয়ানগঞ্জের চুকাইবাড়ি এলাকায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আবুল কালাম আজাদ। তার বাবার নাম মরহুম সৈয়দ উদ্দিন খান ও মা মরহুমা জবেদা বেগম। চার ভাই তিন বোনের মধ্যে আবুল কালাম আজাদ সবার আদরের ছিলো। যে কারনে সবার অনুপ্রেরণায় খুব ছোট সময়ে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। তিনি একজন সফল রাজনীতিবিদ ও জনপ্রতিনিধি। রাজনীতি করতে গিয়ে বহুবার মিথ্যা মামলায় হয়রানিসহ কারাভোগ করতে হয়েছে তাকে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বহুল আলোচিত বিএনপি নেতা আবদুর রাজ্জাক হত্যা মামলায় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে প্রধান আসামী হন আবুল কালাম আজাদ। সেই সময় তিনি দীর্ঘ কয়েক মাস কারাভোগ করেন। তিনি ১৯৯০ সালে সৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কারাবন্দী হলে তার মুক্তির দাবিতে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে নামেন তিনি। জানা যায়, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদের জননন্দিত চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ শিশু কাল থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। তিনি ১৯৮০ সালে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ন্যায় নিষ্ঠা ও সততার সাথে ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করেন এবং ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করেন। ১৯৮৬ সালে দেওয়ানগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ভিপি নিবাচিত হন এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এবং ১৯৯২ সালে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তার নেতৃত্বেই প্রাণ ফিরে পায় উপজেলা আওয়ামীলীগ। দলকে সুসংগঠিত করতে নিরলসভাবে কাজ করেন আবুল কালাম আজাদ। ১৯৯২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৬বছর ধরে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। আবুল কালাম আজাদ ১৯৯২ সালে চুকাইবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। দায়িত্ব ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ওই সময় তিনি জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নিবাচিত হন। তৎকালীন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মরহুম জিল্লুর রহমানের হাত থেকে স্বর্ণপদক গ্রহণ করেন তিনি। জনতার দাবির মুখে ২০১১ সালে দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন এবং বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হন। তিন বছর মেয়রের দায়িত্ব পালনের পর ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন করে বিএনপির প্রার্থীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর শিক্ষা, ধর্মীয়, সামাজিক, ব্রীজ, কালভার্ট, রাস্তা, যমুনা নদী ভাঙ্গন রোধ, উন্নয়ন ও দূর্নীতি, মাদক, সন্ত্রাস, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। যে কারনে উপজেলার সর্বস্থরের মানুষের কাছে প্রিয় মুখ আবুল কালাম আজাদ। সাংগঠনিক দিকে তিনি উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে সবগুলো ওয়ার্ডে গণতান্ত্রিকভাবে কমিটি গঠন করেছেন। দলের সাংগঠনিক শক্তিশালী করার পাশাপাশি সহযোগি সংগঠনগুলোকে চাঙ্গা করেছেন। নেতাকর্মীদের সাথে সুখে দুঃখে পাশে থাকায় তিনি এখন কালাম ভাই নামে পরিচিত। উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী আমি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তেই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন মাদার অব হিউম্যানিটি দেশরতœ শেখ হাসিনা। সেই উন্নয়নের কাফেলায় আমি একজন খাদেম হয়ে জনগণের পাশে থাকতে পেরে সত্যিই আমি গর্বিত। তারই ধারাবাহিকতায় দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার হাল ধরতে চাই। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় মনোনয়ন দিলে উপজেলা পরিষদটি ধরে রাখতে যা করার প্রয়োজন তা করে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করবেন বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন ৩৬বছর ধরে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে চাই। উল্লেখ্য এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা দেওয়ানগঞ্জ- ১ লাখ ৮৪ হাজার ৬ শত ৭১ জন। উপজেলাটি আওয়ামীলীগের ঘাটি হিসাবে পরিচিত। জানা গেছে. আবুল কালাম আজাদ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছেন। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা বরাদ্দকৃত নাম গুলো নিজেই এলাকায় পরিদর্শন করে বিতরণ করে আসছেন। এছাড়াও এ উপজেলায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তাই আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আবুল কালাম আজাদকে নৌকা প্রতীক দিলে উপজেলাটির উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App