×

জাতীয়

অর্থোপেডিক হাসপাতালে এক্স-রে রিপোর্ট তুলতে বাড়তি টাকা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০১:৪৮ পিএম

অর্থোপেডিক হাসপাতালে এক্স-রে রিপোর্ট তুলতে বাড়তি টাকা

ফাইল ছবি

টাঙ্গাইলের বাবুল মিয়া (৩৫) নয় মাস আগে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন। সেই সময় বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে থেকে ডান পায়ে অপারেশন করিয়ে তিনি বাড়ি ফিরে যান। মাঝে মাঝে ডাক্তারের নির্দেশ মতো হাসপাতালে আসেন চিকিৎসা নিতে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গতকাল বুধবারও বাবুল মিয়া আসেন জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে। এক্স-রে রিপোর্ট নিয়ে বহির্বিভাগে ডাক্তার দেখাবেন। ব্যান্ডেজ করা ডান পা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে হাসপাতালের চেয়ারে বসে আছেন তিনি। সঙ্গে আসা বাবুলের ছোট ভাই এক্স-রে রিপোর্ট সংগ্রহের রুমের সামনে ৯টা থেকে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থেকে ১২টার দিকে রিপোর্ট হাতে ফিরে আসেন। জানালেন রিপোর্ট তুলতে গিয়ে তাকে ৫০ টাকা দিতে হয়েছে সেখানে। বাবুল মিয়া বলেন, ‘এ আর নতুন কী?’ বাবুল জানালেন, তার ডান পায়ের হাঁটুর ডিজিটাল এক্স-রের জন্য ২৫০ টাকা দিতে হয়েছে। আর রিপোর্ট তুলতে গেলে সেখানকার লোকেরা আরো ৫০ টাকা রেখে দেন। ডান হাতের কব্জির সমস্যা নিয়ে ছেলে রাব্বিকে (৮) নিয়ে কুষ্টিয়া থেকে আসেন রমজান মিয়া। ছেলের হাতের এক্স-রে করানোর পর রিপোর্ট তুলতে গিয়ে রমজান মিয়ার কাছ থেকেও রাখা হয় বাড়তি ৫০ টাকা। হাসপাতালের বহির্বিভাগে গতকাল এমন চিত্রই দেখা গেছে। রিপোর্ট সংগ্রহের রুমে দায়িত্বরত কর্মচারীদের কাছে এ অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বিষয়টি অস্বীকার করেন। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা ভোরের কাগজকে বলেন, এটি সত্যি, হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য আগের তুলনায় কমেছে। তবে এখনো এক শ্রেণির অসাধু কর্মচারী বিভিন্ন উছিলায় রোগীদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে সেবা দিচ্ছে। এর কিছুটা দায় রোগী ও তার স্বজনদেরও। যে রোগী কিংবা তার স্বজন ভোর বেলা থেকে হাসপাতালে বসে আছেন তাকে পেছনে ফেলে হাসপাতালের অসাধু কর্মচারীকে অর্থ দিয়ে সিরিয়াল এগিয়ে নেন পরে আসা রোগী বা তার স্বজনরা। এমন ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে। আর এ প্রসঙ্গে হাসপাতাল পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবদুল গনি মোল্লাহ্ বলেন, রোগী বা তার স্বজনের কাছে হাসপাতালের কোনো কর্মচারী যদি টাকা দাবি করে থাকলে সেটি অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ বিষয়ে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে আমরা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। অতীতেও নিয়েছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App