×

জাতীয়

মাদারীপুরে ১৮ চিকিৎসকের ১৩ জনই অনুপস্থিত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০১৯, ০৪:৪৩ পিএম

মাদারীপুরে ১৮ চিকিৎসকের ১৩ জনই অনুপস্থিত

শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনার পরেও মঙ্গলবার জেলার শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ১৮ চিকিৎসকের মধ্যে ১৩ জনই অনুপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্যসেবার পরিবর্তন চোখে পড়েনি। এখানে ৪০ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও পোস্টিং রয়েছে মাত্র ১৮ জন। ২২ চিকিৎসকের পদ দীর্ঘদিন শুন্য রয়েছে। ১৮ জন পদায়নে থাকলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মাত্র ৫ জন চিকিৎসককে হাসপাতালে দেখা গেছে। ৫ জন চিকিৎসক রয়েছে প্রেষণে, ১জন সাময়িক বরখাস্ত, ট্রেনিং, ছুটি ও পরীক্ষার কারণে অনুপস্থিত ৪ জন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা একদিনের ট্রেনিং এ অনুপস্থিত থাকলেও ভারপ্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বৃহস্পতিবার থেকে ট্রেনিং এর কোন কাগজ তার অফিসের কেউ দেখাতে পারেনি। এছাড়াও হাসপাতালে বিভিন্ন শ্রেণীর প্রায় ১‘শ পদ শুন্য থাকায় স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। হাসপাতালে গিয়ে একাধিক সুত্রে জানা গেছে, শিবচর উপজেলার ১৯ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির ১‘শ শয্যায় উন্নীতর ঘোষণা হলেও নেই ৫০ শয্যার সুযোগ সুবিধা। এ হাসপাতালে চিকিৎসকের মঞ্জুরীকৃত পদ ৪০। অথচ পদায়ন রয়েছে ১৮ জন। এর মধ্যে ডাঃ শেখ সাইফুল, ডাঃ হোসনে আরা, ডাঃ রুবিনা আক্তার, ডাঃ বর্ষা ফাচিন্তা সরেন, ডাঃ ইশরাত জাহান প্রেষণে অন্যত্র রয়েছেন। ডাঃ মাহমুদুল হাচান আকাশ সাময়িক বরখাস্ত। বাকি ১২ জনের মধ্যে সোমবার সকাল সাড়ে দশ টায় হাসপাতাল গিয়ে ডাঃ মোঃ মইনুল, ডাঃ আদনান, ডাঃ মোঃ মোকাদ্দেস, ডাঃ মোঃ মনিরুজ্জামান, ডাঃ মানষী সরকারসহ ৫ চিকিৎসককে দেখা যায়। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ স্বপন ধরকেও হাসপাতালে ছিলেন। ট্রেনিং, ছুটি ও পরীক্ষার কারণে অনুপস্থিত ছিলেন ডাঃ মাহমুদুল হাসান, ডাঃ হারুনুর রশীদ খান, ডাঃ এবিএম রাকিবুল হাসান, ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ডাঃ ইকরামুল হক। ডাঃ সঞ্জয় হালদার রয়েছেন ইউনিয়ন পর্যায়ে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ খলিলুর রহমান রয়েছেন ট্রেনিং এ। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে গিয়ে দেখা যায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সত্যরঞ্জন রায় বৃহস্পতিবার থেকে ট্রেনিংএ থাকার কথা বললেও কোন ধরনের অফিসিয়াল নথি অফিসের কেউ দেখাতে পারেনি। শিবচর উপজেলা হাসপাতালে রয়েছে জনবল সংকট। এর মধ্যে ৩য় শ্রেনীর পদ শুন্য রয়েছে ৬০, ২য় শ্রেনীর পদ শুন্য রয়েছে ২, চতুর্থ শ্রেনীর পদ শুন্য ৩ ও প্রেষনে রয়েছে ২জন। কর্তব্যরত ডাঃ মোঃ মইনুল বলেন, ‘প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক কম থাকলেও আমরা চিকিৎসাসেবা ভাল মতো চালিয়ে যাচ্ছি।’ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সত্যরঞ্জন রায় বলেন, ‘আমি ঢাকায় ট্রেনিংএ আছি। আমার ডিডি সাহেব ফিল্ডে রয়েছেন।’ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কর্মকর্তা ডাঃ খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমি একদিনের ট্রেনিংএ আছি। চিকিৎসক কম থাকায় স্বাস্থ্যসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে অনেক জায়গার চেয়ে আমাদের এখানে স্বাস্থ্যসেবার মান ভাল।’ মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডাঃ ফরিদউদ্দিন মিয়া জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আগামী বিসিএস শেষে চিকিৎসক সংকট কেটে যাবে। অন্য জনবল সংকট কাটাতে আবেদন করা হয়েছে। আগামী ২ মাসের মধ্যে এ সকল সংকট দূর হবে।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App