×

মুক্তচিন্তা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা পরিষদ কতটা শিক্ষাবান্ধব?

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:৪৮ পিএম

দেশের হাজার হাজার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার পরিচালনার দায়িত্ব এমন সব ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর হাতে ছেড়ে দিয়েছি যাদের নিজেদেরই রয়েছে লেখাপড়ার প্রচণ্ড ঘাটতি। তারা বিদ্যালয়ের সভাপতি পদকে ইউপির চেয়ারম্যান, মেম্বারদের মতো গম, চাল, আটা ভাগ বাটোয়ারার সুবিধাদি বা ক্ষমতাভোগী অবস্থান থেকেই দেখেন। সরকার যেহেতু দেশে মানসম্মত শিক্ষা চালু করতে বদ্ধপরিকর, তাই দ্রুতই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা পরিষদ অভিজ্ঞ শিক্ষাবান্ধব নিবেদিত প্রাণ মানুষদের হাতে তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা ছাড়া অন্য কোনো সুযোগ নেই।

বাংলাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আলিয়া মাদ্রাসা এবং এমপিওভুক্ত কলেজসমূহ সরকারি বিধান অনুযায়ী নিজ নিজ পরিচালনা পরিষদ বা ব্যবস্থাপনা পরিষদ দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে।

সরকারি বিদ্যালয় ও কলেজসমূহ যে ধরনের কাঠামো দ্বারা ব্যবস্থাপনা পরিষদ গঠন ও কার্যকর করার নিয়ম রয়েছে বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোর পরিচালনা পরিষদ কাঠামো ও বিধি-বিধানগতভাবে ভিন্নতরভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

যেমন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা পরিষদ গঠিত হয় ১১ সদসবিশিষ্ট- যার প্রধান সভাপতি, দ্বিতীয় সহসভাপতি, চারজন ছাত্র অভিভাবক প্রতিনিধি, দুজন বিদ্যোৎসাহী (নারী-পুরুষ) একজন মাধ্যমিক শিক্ষক প্রতিনিধি, একজন সহকারী শিক্ষক প্রতিনিধি এবং পদাধিকার বলে প্রধান শিক্ষক সদস্য সচিব হন।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চল্লিশ হাজার টাকা বার্ষিক সরকারি অর্থ বরাদ্দ ছাড়া বাড়তি টাকা-পয়সার লেনদেন হয় না। সভাপতির স্বাক্ষরের প্রয়োজন পড়ে শিক্ষকদের মাসিক বেতন উত্তোলনে। ব্যবস্থাপনা কমিটির কাজকর্ম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খুবই সীমিত আকারে থাকে।

তারপরও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা পরিষদে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরাই সভাপতিসহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে মনোনীত বা নির্বাচিত হয়ে আসেন। এদের ব্যক্তিগত শিক্ষা সচেতনতা কিংবা সততার ওপর নির্ভর করে বিদ্যালয়টি কতটা শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদানে যত্নবান হবে বা বিদ্যালয় প্রধানের দায়িত্বশীলতার ওপর নির্ভর করছে ব্যবস্থাপনা পরিষদ শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ গঠনে কতটা যত্নবান হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ বিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতা খুব সুখকর হচ্ছে না। কোথাও কোথাও সভাপতির লোলুপ দৃষ্টি পড়ে চল্লিশ হাজার টাকার প্রতি। এতে কোথাও কোথাও সভাপতি এককভাবেই টাকা তছরুপ চেষ্টা করার উদাহরণ রয়েছে, আবার কোথাও কোথাও কমিটির একাধিক সদস্য কিংবা প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে দুর্নীতির কিছু ঘটনা ঘটে থাকে।

বস্তুত ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং উপজেলা সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে যে ধরনের পারস্পরিক অভিজ্ঞতার বিনিময় ও বাস্তবায়নের উদাহরণ সৃষ্টি হওয়ার প্রত্যাশা ছিল তেমনটি খুব বেশি একটা ঘটে না। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা পরিষদ বিদ্যালয়ের সমস্যাদি সমাধানে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের যেভাবে সহযোগিতা করতে পারত বাস্তবে তার সামান্যই প্রভাব লক্ষ করা যায়।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিষদ সরকারি বিদ্যালয় হওয়ার কারণেই সম্ভবত এলাকায় খুব বেশি মানুষের আলোচনা-সমালোচনায় থাকে না। কমিটির বেশিরভাগ সদস্যই সরকারি বিধিবিধান ও করণীয় সম্পর্কে খুব বেশি জ্ঞাত থাকে না।

তারপরও কমিটির সভাপতি বা অন্য সদস্যরা যদি শিক্ষাবান্ধব না হয়ে ক্ষমতা ও অর্থ প্রাপ্তিমুখী হয় তাহলে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হওয়ার ঘটনা রোধ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।

সবচেয়ে বেশি আলোচনা ও সমালোচনায় বা প্রভাব বিস্তারের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার পরিচালনার পরিষদগুলো। এগুলোতে যুক্ত হতে স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আটঘাট বেঁধে নামতে দেখা যায়।

ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও মেম্বার পদের মতো লোভনীয় পদ হিসেবে অনেকের কাছেই স্থানীয় স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বা মেম্বার হওয়া আকর্ষণীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদের সরকারি আইন, বিধিবিধান প্রজ্ঞাপন ইত্যাদি জানা ও বুঝার বিষয়টি তাদের কাছে সামান্যই গুরুত্ব বহন করে।

অনেকে লেখাপড়ায় বিদ্যালয় অতিক্রম করেননি তারাও দেখি বিদ্যালয়ের জিবি সভাপতি বা যে কোনো সদস্যপদ প্রাপ্তির জন্য যে কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তার করতে মোটেও দ্বিধা করেন না। কলেজের পরিচালনা পরিষদেও দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞান রাখেন না এমন ব্যক্তিরা স্থানীয় রাজনীতি পদ-পদবি ও প্রভাব বিস্তার করে দখল করতে সচেষ্ট থাকে। এদের অনেকেই রাজনীতিবিদদের আশীর্বাদ বা সমর্থনে স্থানীয় এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহ বাগিয়ে নেন।

অথচ একটি বিদ্যালয় কিংবা কলেজ অথবা একটি মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির প্রধান কাজ হচ্ছে সরকারি বিধিবিধানের বাস্তবায়ন ঘটিয়ে শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করা, শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকারসমূহ আইন ও বিধির আলোকে প্রতিষ্ঠানের সামর্থ্যতার সমন্বয় ঘটিয়ে এগিয়ে চলা, শিক্ষার্থীদের সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করা, প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সহযোগিতা প্রদান করা, আর্থিক লেনদেনের স্বচ্ছতা নজরদারিতে রাখা।

শিক্ষাঙ্গনকে নিজেদের সামর্থ্যতার সর্বোচ্চ দিয়ে ভালো করা ইত্যাদি কাজগুলোর বাইরে গিয়ে কোনো কিছু করা বা ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধার করা মোটেও কাক্সিক্ষত নয়। কিন্তু আমাদের দেশে বেশিরভাগ স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো প্রবলভাবে বিরাজ করছে তার অন্যতম হচ্ছে এর সভাপতি বা অন্য সদস্যরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বার্থের চাইতে ব্যক্তিগত লাভ ও প্রভাব বিস্তারেই বেশি ব্যস্ত থাকেন।

এক সময় নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন জিবির সভাপতিসহ কতিপয় সদস্য। ফলে দেশের বেশিরভাগ এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় মেধাবী, দক্ষ এবং নিবেদিত প্রাণ শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নিয়োগ প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মানের দারুণ সংকটে পড়েছে। সরকার বাধ্য হয়েছে পরিচালনা পরিষদের হাত থেকে শিক্ষক নিয়োগের ‘অধিকার’ কেড়ে নিতে।

এটি ন্যস্ত করা হয়েছে NTRC-তে। কুল রক্ষা হলেও শিক্ষার ক্ষতি যা হওয়ার তা অনেক আগেই হয়ে গেছে। আগামী ২-৩ দশক ধরে অধিকতর স্বচ্ছ উপায়ে মেধাবী ও নিবেদিত প্রাণ শিক্ষকদের নিয়োগ প্রদান করা সম্ভব হলেও ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা খুব সহজ হবে না। শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি জিবির হাত থেকে নেয়ার পরও স্থানীয় স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় পরিচালনা পরিষদের কর্তৃত্ব দখল করার প্রতিযোগিতা প্রভাবশালীদের মধ্যে খুব একটা কমতে দেখা যাচ্ছে না।

এদের কালো হাতের ছায়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার শক্তিতে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না। অনেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ আয়ের ওপর নানাভাবে হাত দিচ্ছেন, নানা দুর্নীতি, অনিয়মে জড়িয়ে পড়ছেন। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে, নানা ধরনের অপচয় ঘটিয়ে প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করে দিচ্ছে।

এ ধরনের পরিচালনা পরিষদ মোটেও স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোর জন্য সহায়ক হচ্ছে না। সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য এই মুহূর্তে পরিচালনা পরিষদের কার্যকারিতাকে আরো স্বচ্ছ, বেগবান এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশকে সমুজ্জ্বল করার বিধি-বিধানগত সংস্কার সাধন করা প্রয়োজন।

বিশেষত স্কুল পর্যায়ে পরিচালনা পরিষদের সভাপতি পদে কোনো অবস্থাতেই স্নাতক ডিগ্রির নিচে সনদ রয়েছে এমন কাউকেই মনোনীত বা নির্বাচিত করার সুযোগ না রাখা। এ ক্ষেত্রে অবসরপ্রাপ্ত কোনো সরকারি স্কুল বা কলেজের শিক্ষক অথবা কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে (অবসরপ্রাপ্ত) সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত করার ব্যবস্থা করা।

এটি করা গেলে সরকারি আইন ও বিধিবিধান কীভাবে পরিচালনা পরিষদ অনুসরণ করবে সেটি একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী বা শিক্ষকের জানার কথা। সেটি তিনি প্রয়োগ করতে অনেকটাই বাধ্য থাকবেন। পরিচালনা পরিষদের অন্য সদস্যদের শিক্ষাগত এবং অভিজ্ঞতা গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া উচিত।

অবশ্যই পরিচালনা পরিষদের কার্যক্রম শিক্ষা অধিদপ্তরের জবাবদিহির ঊর্ধ্বে থাকতে পারে না। সেটির নিশ্চয়তা বিধান করা উচিত। কলেজ এবং উচ্চতর মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদের সভাপতিসহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বসমূহে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের অভিজ্ঞ শিক্ষক কিংবা উচ্চতর অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগদানের বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত।

মূলত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিধিবিধানগত অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান ব্যতীত কোনো ব্যক্তি যেন উচ্চতর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিষদ বা পরিচালনা পরিষদের পদ অলঙ্কৃত করতে না পারেন সেই বিধান কার্যকর করা উচিত।

মনে রাখতে হবে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কলেজ-মাদ্রাসা পর্যন্ত সব স্তরের ব্যবস্থাপনা পরিষদ বা পরিচালনা পরিষদ হচ্ছে সেসব প্রতিষ্ঠানের সিনেট বা সাংসদ যারা আইন ও বিধি মোতাবেক প্রতিষ্ঠানকে পরিচালনা করার যোগ্যতা রাখেন বা আইনি ব্যাখ্যা প্রদানে সক্ষম থাকেন।

কারণ তাদের হাতে ছোট ছোট এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উচ্চ মর্যাদায় উচ্চতর আসন গ্রহণ করতে পারে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকেই দেশের মেধাবী কিশোর, তরুণরা আইন, নীতি-নৈতিকতা শেখা, দেখা এবং চর্চা করার সুযোগ পাওয়ার কথা।

দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এতদিনেও দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তেমন চিন্তা-ভাবনা আমরা করতেই পারিনি। বরং আমরা দেশের হাজার হাজার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার পরিচালনার দায়িত্ব এমন সব ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর হাতে ছেড়ে দিয়েছি যাদের নিজেদেরই রয়েছে লেখাপড়ার প্রচণ্ড ঘাটতি।

তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সরকারি আইন ও বিধিবিধান বুঝবেন কীভাবে? তারা তা বুঝেন না বলেই বিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান পদকে ইউপির চেয়ারম্যান, মেম্বারদের মতো গম, চাল, আটা ভাগ বাটোয়ারার সুবিধাদি বা ক্ষমতাভোগী অবস্থান থেকেই দেখেন।

সেটি তাদের আচরণের প্রমাণ পায়। মিনি পার্লামেন্ট বা সংসদের মতো আইন, বিধি প্রণয়ন ও ব্যবহারের মেধার অভাব নিয়ে কোনো কালেই পরিচালনা পরিষদের মতো প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নেয়া যায় না অথচ তারা এটি বুঝেন না।না বুঝলেও স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা দখল করতে তারা মোটেও দ্বিধা করছে না।

সরকার যেহেতু দেশে মানসম্মত শিক্ষা চালু করতে বদ্ধপরিকর, তাই দ্রুতই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা পরিষদ বা পরিচালনা পরিষদের কার্যকারিতাকে দক্ষ, অভিজ্ঞ শিক্ষাবান্ধব নিবেদিত প্রাণ মানুষদের হাতে তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা ছাড়া অন্য কোনো সুযোগ নেই।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App