×

জাতীয়

মুক্তিযুদ্ধের উপাদান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০১৯, ০৮:৪২ পিএম

মুক্তিযুদ্ধের উপাদান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি

সোমবার বঙ্গভবনের দরবার হলে ‘১৯৭১: প্রতিরোধ সংগ্রাম বিজয়’ শীর্ষক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটি গবেষণাধর্মী বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘দেশব্যাপী ছড়িয়ে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও ইতিহাস। এগুলো আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাই এসব উপাদান যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করতে হবে এবং বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে তা জানতে পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

আজ সোমবার বঙ্গভবনের দরবার হলে ‘১৯৭১: প্রতিরোধ সংগ্রাম বিজয়’ শীর্ষক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটি গবেষণাধর্মী বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।

বইটির লেখক রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মো. সরোয়ার হোসেন। বইটির ইংরেজি সংস্করণ গত বছরের ১১ জানুয়ারিতে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়। সেটিরও প্রকাশনা উৎসব বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলা একাডেমির সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা ক্রমেই কমে আসছে। হয়তো বা আগামী ১০/২০ বছর পর আর কেউই বেঁচে থাকবে না। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান, তাদের বীরত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথা চিরন্তন ও চির অম্লান হয়ে থাকবে।

তিনি বলেন, আমি আশা করব আমাদের প্রাজ্ঞ লেখক, গবেষক, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীগণ মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিসংগ্রাম নিয়ে গবেষণা চালাবেন। এতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে, নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ করতে পারবে। আর তাহলেই দেশ ও জাতি উপকৃত হবে।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী একটি চক্র এখনও সুযোগ পেলেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ‍বিকৃত করতে উঠে পড়ে লাগে। অতীতেও এ চক্রটি আমাদের মুক্তিসংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বার বার বদলাবার অপচেষ্টা করেছে। সাময়িকভাবে এ চেষ্টা সফল হলেও চূড়ান্তভাবে তারা পরাস্ত হয়।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন, ইতিহাস তার নিজস্ব গতিতে চলে। কেউ তা বদলাতে পারেনা, বরং যারা এ অপচেষ্টা করে তারাই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়। তাই বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারে তা নিশ্চিত করা আমাদের সকলের পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য।

দরবার হলে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এ কে আজাদ চৌধুরী, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App