এভিন লুইসের দুর্দান্ত শতকে খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে ২৩৭ রানের বিশাল স্কোর গড়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বিপিএল ইতিহাসে একবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার এটি সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। ২৩৯ রান করে সবার উপরে আছে রংপুর রাইডার্স।
আজ সোমবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয়। টসে হেরে আগে ব্যাট করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩৭ রান করে।
শুরু থেকেই দেখে শুনে খেলতে থাকেন তামিম-লুইস। তবে লুইসের ব্যাট যতটা ক্ষুরধার ছিল তামিমের ব্যাট ততটাই নিষ্প্রভ ছিল। রানের চেয়ে বলের সংখ্যা ছিল বেশি। ২৯ বলে খেলেন ২৫ রানের ইনিংস। ওপেনিংয়ে নেমে ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন এভিন লুইস। তুলে নেন স্বপ্নের সেঞ্চুরি। ৪৯ বলে ১০৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৫টি চার ও ১০টি ছয়ে।
এখন পর্যন্ত বিপিএলে ১৬টি সেঞ্চুরি হয়েছে। এ আসরেই হয়েছে চারটি। প্রথম সেঞ্চুরিটি রাজশাহী কিংসের লরি ইভান্সের ব্যাট থেকে। বাকি দুটি করেছেন হেলস-রুশো। আর আজ করেছেন কুমিল্লার এভিন লুইস।
চার বলে ১১ রান করে ঝোড়ো ইনিংসের বার্তা দিয়ে শেষ পর্যন্ত ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি পেরেরা। তবে ঝড় তুলেছেন ইমরুল-শামসুর। মাত্র ২১ বলে ৩৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান কুমিল্লার অধিনায়ক। ম্যাচের ১৪ ওভারের সময় আউট হয়ে খোঁড়াতে-খোঁড়াতে মাঠের বাইরে যান তিনি।
ঘটনাটি ম্যাচের ১৪ ওভার তিন বলের সময়। শরিফুলের করা বল ইমরুলের বুটে লাগে। খোঁড়াতে-খোঁড়াতে রান নিয়ে এক পর্যায়ে অপর প্রান্তে গিয়ে শুয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে দৌঁড়ে আসেন ফিজিও।
বল পায়ে লাগলেও এলবিডব্লিউর ডাকে সাড়া দেননি আম্পায়ার। খুলনা টাইটানস রিভিউ নিলে দেখা যায় ইমরুল আউট ছিলেন। পরে আম্পায়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আউট দিলে খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছাড়েন ইমরুল। অন্যদিকে শামসুরের ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ২৮ রান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।