×

মুক্তচিন্তা

ডা. দীপু মনি, আমাদের আশ্বস্ত করুন!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০১৯, ০৮:৩২ পিএম

ডা. দীপু মনি, আমাদের আশ্বস্ত করুন!

যারা শিশু-কিশোরদের মানসিক স্তর সম্পর্কে ওয়াকিবহাল, দেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য জানেন, বুঝেন, বোধশক্তিসম্পন্ন, বাংলাদেশের সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, যারা নৈতিক ও অনৈতিক বিষয়ের মধ্যকার পার্থক্যটুকু বুঝতে পারেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, নিবেদিতপ্রাণ- এমন ব্যক্তিরাই পাঠ্যপুস্তকের মতন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সম্পৃক্ত হওয়া জরুরি।

একটি দেশকে রক্ষার জন্য অস্ত্রের চাইতে শিক্ষা অধিক জরুরি। যে শিক্ষা অস্ত্রের চাইতেও শক্তিশালী। যে শিক্ষা জাতির চেতনাকে জাগ্রত করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে, প্রস্তুত রাখে এবং দেশ রক্ষায় অবতীর্ণ করে দ্বিধাহীনভাবে। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ তারই একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। নিরস্ত্র বাঙালি জাতি মুক্তির চেতনায় জাগ্রত হয়ে শত্রুকে পরাস্থ করে, পরাজিত করে দেশকে স্বাধীন করেছিল।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সেই চেতনার আহ্বায়ক, প্রধান শিক্ষক, একজন মহানায়ক। সেই ঐতিহাসিক সত্যের সূত্র ধরে নিঃসংকোচিতভাবে বলা যায় যে, শিক্ষা যদি দেশপ্রেম বোধকে জাগিয়ে তুলতে না পারে, চেতনা জাগাতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সেই শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা থাকে না। সেই শিক্ষা হয়ে পড়ে মূল্যহীন, অর্থহীন। সেই শিক্ষা দেশকে রক্ষা করতে পারে না, পারে না দেশকে এগিয়ে নিতে।

বর্তমানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। নির্দ্বিধায় তার প্রতি প্রত্যাশা অনেক। বলতেই হয়, অতীত অভিজ্ঞতার হতাশা তার প্রতি প্রত্যাশা বাড়িয়েছে, স্বপ্ন দেখতে সাহস জুগিয়েছে। সেটাই তো স্বাভাবিক। দুর্দশা আর হতাশায় আক্রান্ত মানুষ তো স্বস্তি চাইবে। আশান্বিত হয়ে উঠতে চাইবে। আজ লেখার উদ্দেশ্য হলো, দীপু মনির দৃষ্টি আকর্ষণ। মন্ত্রীকে প্রথম দৃষ্টি দিতে অনুরোধ করব, কী শিখছে আমাদের কোমলমতি শিশুরা, সেই বিষয়ে নজর দেয়ার।

পাঠ্যপুস্তকে যে বিষয়গুলো নির্ধারণ করা হয়েছে, তা কতটা বাংলাদেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি আর কৃষ্টির সঙ্গে যায়, স্বাধীনতার চেতনাকে অক্ষুণ্ন রাখে, তা ভেবে দেখতে। ভেবে দেখতে বলব, ধর্মনিরপেক্ষতা ও নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন হতে কতটা শেখার আছে বিষয়বস্তু আর কারিকুলাম থেকে। আমাদের শিশু-কিশোররা কী শিখছে এবং কেমন পরিবেশে, কোনো পদ্ধতিতে তারা এই শিক্ষাগ্রহণ করছে, আদৌ জীবনে এ ধরনের শিক্ষার কোনো প্রয়োজন আছে কিনা, জীবনমুখী কিনা খেয়াল করুন, নজর দিন শিক্ষামন্ত্রী।

পরিবারের পর একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলো উন্নত মানুষ হওয়ার নিরাপদ জায়গা। সভ্যতার পথ ধরে হেঁটে আসা মানবজাতি সেই বিশ্বাসে আচ্ছন্ন আছে, আচ্ছন্ন থাকতে ভালোবেসেছে এবং সেই বিশ্বাসেই এগুচ্ছে গোটা বিশ্ব। মানবজাতির একটা অংশ হিসেবে পৃথিবীর ছোট্ট একটা ভূখণ্ডের অধিবাসী হয়ে আমরাও তাই বিশ্বাস করি।

সোজাসাপ্টা কথা হলো, এই সত্যকে এড়িয়ে, আড়াল করে, তুচ্ছ বা অবহেলা করে কোনো জাতি উন্নত হয়নি। হওয়ার দুঃসাহসও করেনি। বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই সেইদিকে। পরিকল্পনা, উদ্যোগ, বক্তৃতা, অর্থবরাদ্দ, আয়োজন কোনোটাই কম থাকেনি কোনো বছরে। কম থাকে না আজো। এতে জিপিএ ফাইভে সয়লাব হয়, হয়েছে দেশ। সেই সূত্র ধরে শিক্ষার অগ্রগতির সূচক উপরের দিকে উঠেছে। সন্তুষ্টির ঢেকুর উঠেছে সংশ্লিষ্টদের কণ্ঠে পাল্লা দিয়ে।

অন্যদিকে জিপিএ ফাইভ পাইয়ে দিতে শিক্ষার্থীদের জন্য গড়ে উঠেছে রকমারি কোচিং সেন্টার। আমরা বিশ্বাস করতে চাই যে, সরকারের চোখে ফাকি কোচিং সেন্টার গড়ে উঠতে পারে না, গড়ে ওঠেনি। অবৈধভাবে কোনো প্রতিষ্ঠান সরকারের চোখকে ফাঁকি দিয়ে পরিচালিত হওয়া সম্ভব- এমন কথা বিশ্বাস করতে চাই না। আদতে বাস্তবে যাই হোক। ‘বিশ্বাস’ করতে হয় ‘আস্থা’ নামক নির্ভরতার জন্য। সরকারের ওপর আস্থা রেখেই তো জনগণ বাঁচতে চায়।

যাই হোক, এসব কোচিং সেন্টার আবার ব্যাঙের ছাতার মতন। অন্যদিকে অভিভাবকরা কোচিংমুখী হয়েছেন সন্তানদের জিপিএ ফাইভ পাওয়ার আশায়। তারাও সম্মোহিত হয়েছেন, ডুবে গেছেন ‘জিপিএ ফাইভে’। তারা বুঝার ক্ষমতা হারিয়েছেন যে, ‘জিপিএ ফাইভে’ শিক্ষা নেই, শিক্ষিত হতে পারার সঠিক মানদ-ও এটা নয়।

বরং এতে আছে শিক্ষা নিয়ে কৃত্রিম অর্জন, স্ট্যাটাস, অভিভাবকদের দৌড়ঝাঁপ এবং শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের দায়সারা দায়বোধ। কোচিং সংস্কৃতিতে অভিভাবকদের জরিয়ে পড়াটাও শিক্ষা সংক্রান্ত অব্যবস্থাপনার এক ধরনের বেদনাদায়ক ফলাফল। শিক্ষকগোষ্ঠীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে থেকে শিক্ষা দেয়ার এ যেন এক নির্মম বাণিজ্যিক পাঁয়তারা। বাণিজ্যমেলা! এসব নিত্যদিনের গল্প এবং তা দৃশ্যমান। সবাই বুঝেন। অথচ না বুঝার ভানে থাকেন।

উল্লিখিত ঘটনাগুলোর বিপরীতে বলতে হয়, যা হয়নি তা হলো, শিক্ষার গুণগত মান রক্ষার জন্য সুচিন্তিত ভাবনা, পরিকল্পনা এবং গোটা বিষয়কে অরাজনৈতিকভাবে পরিচালনা। সেই সঙ্গে প্রকৃত বিদ্বান, জ্ঞানী দ্বারা গোটা শিক্ষাব্যবস্থাকে সাজানো, এগিয়ে নেয়া- হতে দেখা যায়নি। ফলে পাঠ্যপুস্তকে বিষয় নির্ধারণে থেকে গেছে অযত্ন, অবহেলা, অপরিপক্বতা এবং নির্বুদ্ধিতা।

আমাদের দেখতে হয়েছে পাঠ্যপুস্তক শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানোর পর কতটা না ভুল আছে সেখানে। দুটো উদাহরণ দেই। এক. পাঠ্যপুস্তকে দেখানো হয়েছে ছাগল গাছ থেকে আম পারছে। যা ফ্যান্টাসিকেও হার মানায়। দুই. একজন কিশোরীকে যৌন হয়রানির শিকার হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে ঘরে যেন সে একা না থাকে। এখানে একজন কিশোরীকে রাষ্ট্র নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ, সেটাই প্রতীয়মান হয়েছে। এটা বুঝার বোধশক্তি যেন পাঠ্যপুস্তক প্রণেতা কিংবা সংশ্লিষ্টদের ছিল না। বিতর্কের ঝড় উঠেছে এসব নিয়ে। দোষারোপের সংস্কৃতি চাঙ্গা হয়েছে।

কিন্তু কেউ তার দায়ভার নিয়ে বিষয়টির প্রতি সচেতন হয়ে উঠেননি। শাসনও করেননি। সবাই যেন সফলতার সমবেত সঙ্গীত গাইতে ব্যস্ত থেকেছেন। ভীষণ দুঃখ পেয়েছি। হতাশ হয়েছি। একটি জাতির জীবনের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টির প্রতি এমনতর অবহেলা, উদাসীনতার মনোভাব দেখে। সান্ত¡নাও খুঁজেছি এই ভেবে যে, সংশ্লিষ্টরা সম্ভবত ‘শিক্ষা’র গুরুত্ব বুঝার ক্ষমতাই রাখছেন না। আর ক্ষমতা না থাকলে দুঃখ করেই বা কী লাভ আমাদের।

নতুন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তাই তার কাছে কাছে অনুরোধ থাকবে, পাঠ্যপুস্তকে বিষয়বস্তু নির্ধারণে যত্নশীল হওয়ার জন্য যোগ্য ও উপযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করার। যারা শিশু-কিশোরদের মানসিক স্তর সম্পর্কে ওয়াকিবহাল, দেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য জানেন, বুঝেন, বোধশক্তিসম্পন্ন, বাংলাদেশের সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, যারা নৈতিক ও অনৈতিক বিষয়ের মধ্যকার পার্থক্যটুকু বুঝতে পারেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, নিবেদিতপ্রাণ- এমন ব্যক্তিরাই পাঠ্যপুস্তকের মতন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সম্পৃক্ত হওয়া জরুরি।

আবার শিক্ষক নিয়োগ হতে হবে স্বচ্ছ ও সততার সঙ্গে। যেন যোগ্য ব্যক্তিই পান শিক্ষকতার দায়িত্ব। শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য, এমন বাণিজ্যের অবসান দেখতে চাই। অরাজনৈতিকভাবে, দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে, ঘুষ-দুর্নীতির রাহুগ্রাস থেকে মুক্ত হয়ে উপযুক্ত শিক্ষক নিয়োগ কাজটি সম্পূর্ণ করতে না পারলে বাংলাদেশের উন্নয়ন কখনোই স্থায়িত্ব লাভ করবে না। কারণ আজকের শিশুই আগামীর বাংলাদেশ, তাকে কে, কী শিক্ষা দিচ্ছে, তার ওপর নির্ভর করবে বাংলাদেশ কোন পথে হাঁটবে, কেমনভাবে হাঁটবে।

শুধু তথ্যপ্রাপ্তির মধ্যে থেকে নয়, বরং সরজমিনে উপস্থিত থেকে কার্যকরভাবে শিক্ষক নিয়োগ বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরি। উপযুক্ত শিক্ষক নিয়োগ না হতে পারার ব্যর্থতাও শিক্ষার গুণগতমান রক্ষা না হওয়ার একটি অন্যতম কারণ। কে, কী শেখাচ্ছেন সে সম্পর্কে ধারণা লাভের কোনো পদ্ধতি বা কৌশল আছে কিনা, আমার জানা নেই।

তবে এই মনিটরিং পারে একজন শিক্ষককে দায়িত্বশীল করতে, দায়বোধে উদ্বুদ্ধ করতে। শিক্ষক কর্তৃক নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির শিকার বিষয়টিকে কঠিন অপরাধ হিসেবে দেখা ও কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। তিনি যে-ই হোন না কেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতন পবিত্র স্থান কলুষিত করার ধৃষ্টতা যেন কেউ না পান। একজন শিক্ষক যেন একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের মর্যাদাটুকু না হারান, সেদিকে কঠোর নজরদারি দেবে রাষ্ট্র।

নকল আর প্রশ্নপত্র ফাঁস মুদ্রার এপিট-ওপিট। আগে নকল হতো। এখন হয় প্রশ্নপত্র ফাঁস। নকল করতে শিক্ষার্থীকে উত্তর নিয়ে পরীক্ষার হলে যেতে হতো। কোথাও কোথাও শিক্ষক বা অন্য কেউ তাকে সহায়তা করত। আর এখন পরীক্ষার আগে প্রশ্ন জেনে, পড়ে শিক্ষার্থী পরীক্ষার হলে যায়। এখানে শিক্ষার্থীকে সহায়তা করছে শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত একটা চক্র, যা নকলে সহায়তাকারীদের চাইতেও আকার, আয়তনে বড়। আমরা কেউ বুঝি কিনা যে, নকলের চাইতে প্রশ্নপত্র ফাঁস একজন শিক্ষার্থীর গলায় ফাঁস দেয়ার আরো উত্তম ও কার্যকরী এবং শক্তিশালী পদক্ষেপ?

এ যুগের শিশুরা বেশ সচেতন। বলতে চাইছি তারা যা দেখে, তা অবিকল মনে রাখতে পারে। বলে দেয়। অনুসরণ করে। যেহেতু পরিবেশ থেকে মানব শিশুর শেখা শুরু, সেহেতু পরিবেশকে একাধারে মানসিক ও শারীরিকভাবে স্বাস্থ্যসম্মত করতে না পারলে, যত আয়োজনই করা হোক না কেন উন্নত নাগরিক পাওয়া দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। আর উন্নত নাগরিকের অভাব নিয়ে দেশ কখনোই উন্নত হতে পারে না। পারার কথা নয়।

পরিশেষে বলি, শিশুরা যা দেখে, শোনে, তা কিন্তু তারা নিজেদের মতন করে দেখে, শোনে এবং বিশ্বাস করতে শুরু করে। শিশু মনেও আছে তুলনা করার শিশুসুলভ বোধ। যা নির্মল, সতেজ এবং অকৃত্রিম।

এ প্রসঙ্গে একটা সত্য ঘটনা উল্লেখ করলে, তা স্পষ্ট হবে। ডা. দীপু মনি শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার পর একজন শিশু আসেফ ও তার মায়ের কথোপকথন ছিল এমন-

আসেফ : মা! মা! শিক্ষামন্ত্রী চেঞ্জ হয়েছে। মা : তাই নাকি? কে হলেন? আসেফ : ডাক্তার দীপু মনি। মা : বাহ্! ভালোই হলো। আসেফ : কী বলো মা! আমি তো চিন্তায় মরে যাচ্ছি! মা : কেন বাবা? আসেফ : নতুন শিক্ষামন্ত্রী তো বেশি শিক্ষিত। বিদেশেও পড়াশোনা করেছেন। মা : সেটা তো আরো ভালো। আসেফ : ইস্! আমার তো ঘুম শেষ মা! আমাকে তো বেশি বেশি পড়তে হবে। মা : সেটা তো আরো ভালো। আসেফ : এমন একজন শিক্ষামন্ত্রী হতেন, যিনি সহজে পাস করতেন না। তাহলে তো মা তিনি কম পড়–য়াদের কষ্টটা বুঝতেন। প্রধানমন্ত্রী যে কী করলেন মা! এখন তো বেশি বেশি পড়তে হবে!

পাঠক, একজন শিশুর মনে দীপু মনি সম্পর্কে যে ধারণা, তা কিন্তু তার শিশুসুলভ বোধের এবং অকৃত্রিম, সতেজ। দীপু মনির যে প্রতিকৃতি তার মনে, তা কিন্তু ইতিবাচক। মন্ত্রীর শিক্ষাগত অবস্থান, অর্জন একজন শিশুকে ধারণা দিয়েছে যে, এখন তাকে বেশি বেশি পড়তে হবে।

এই ইতিবাচক ধারণা এই শিশুকে পড়ালেখায় মনোযোগী করবে, এগিয়ে নেবে নিঃসন্দেহে বলা যায়। আমরাও শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা, স্বস্তি আর শান্তিকে এগিয়ে নিতে চাই, ডা. দীপু মনি!

স্বপনা রেজা: কলাম লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App