×

মুক্তচিন্তা

প্রসঙ্গ জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধকরণ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:৩৫ পিএম

বিদ্যমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালস আইনে ব্যক্তির বিচারের কথার উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সংগঠনে নেই। সেখানে অর্গানাইজেশনস বা সংগঠন শব্দটি সংযোজন এবং সাজার ক্ষেত্রে নিষিদ্ধকরণ তহবিল অফিস বাজেয়াপ্তসহ কয়েকটি শব্দ সংযোজন করলে দলেরও বিচার করা সম্ভব হতে পারে। এখনই উপযুক্ত সময়। যত দ্রুত সম্ভব আইনের সংশোধনীর খসড়া পাঠিয়ে দিয়ে তা মন্ত্রিসভায় ও সংসদে অনুমোদন করতে আর কালক্ষেপণ উচিত হবে না।

আসলে অন্য একটা বিষয় নিয়ে লিখছিলাম। বেশ কিছুটা অগ্রসরও হয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ হাতে এল দৈনিক পত্রিকাগুলো। তাতে ১০ জানুয়ারির সংখ্যায় লাল কালি শিরোনামে তিন কলামব্যাপী প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত একটি খবরের প্রতি স্বভাবতই দৃষ্টি আকৃষ্ট হলো। হয়তো বা ওই পত্রিকায় নিয়মিত পাঠকদের (দৈনিক সংবাদ) সবার দৃষ্টিই খবরটি আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে।

আমি আসলে সমগ্র দেশবাসীর মতো এই দাবিতে পুরোপুরি একমত, তেমনি যখন কথাটি আমাদের আরো এক মেয়াদের জন্য নির্বাচিত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কিছু বলে বসেন। বস্তুত তিনি এই বিষয় নিয়ে অন্তত দীর্ঘ তিনটি বছর ধরে বলে আসছেন, জামায়াত নিষিদ্ধকরণের ব্যাপারে নতুন আইন প্রণয়নের কাজ ইতোমধ্যেই সমাপ্ত হয়েছে। নথিপত্র এখন প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে পাঠানো হয়েছে। তিনি অনুমোদন দিলেই তা মন্ত্রিসভা অনুমোদন করবে।

অতঃপর সংসদে পাস হতে কোনো সমস্যাই নেই। আমার স্মরণ মতে, তিনি ২০১৮ সালে তার সিডনি সফরকালে আয়োজিত এক সভায়ও কথাগুলোর পুনরুক্তি করেন। এই সমাবেশে অবশ্য আমি এবং আমার জ্যেষ্ঠ পুত্রও আমন্ত্রিত হয়ে যোগ দিয়েছিলাম। জামায়াত নিয়ে যখন বিদেশের মাটিতে সরাসরি কথা উঠল তখন যথেষ্ট আশাবাদেরও সঞ্চার হয়েছিল উপস্থিত সবার মনেই।

হঠাৎ করে উদ্যোক্তারা আমাকে ডাকলেন মঞ্চে গিয়ে বসতে এবং অতঃপর কিছু কথা বলতে। জামায়াত প্রসঙ্গকেই সূত্র হিসেবে ধরে বললাম, ‘মাননীয় মন্ত্রী, এই একই কথা জামায়াত প্রসঙ্গে তো আপনার মুখে বহুকাল ধরে শুনে আসছি। মন্ত্রিসভার বৈঠক তো প্রতি সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয়। এক বছরে কম করে হলেও ৪০টি বৈঠক হয়েছে কিন্তু বিল আকারে কোনো কিছুই তোলা হয়নি।

বললাম, শুনুন মাননীয় মন্ত্রী! আমি ক্ষুদ্র মানুষ হয়েও আপনাকে একটা পরামর্শ দিতে পারি। আর তা হলো আইন প্রণয়নের আদৌ কোনো দরকার নেই। সরাসরি সংবিধানের একটি সংশোধনী আনুন। তাতে জামায়াতে ইসলামীসহ সব ধর্মাশ্রয়ী দলকে সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করুন।

আজ সুপ্রিম কোর্ট নিষিদ্ধ করল, যুদ্ধাপরাধী বিচারের ট্রাইব্যুনালগুলো রায় দিল- জামায়াত একটি সন্ত্রাসী সংগঠন সুতরাং অবিলম্বে তার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা প্রয়োজন। কিন্তু বস্তুত কোনোটাই মানা হলো না। আবার সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদও বললেন, “জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রয়োজন। তার জন্য বিদ্যমান আইনগুলোই যথেষ্ট।”

কিন্তু তখন সরকার সে পথে না হেঁটে জামায়াতকে বৈধ হিসেবে চালু রেখেছে আবার ওই বৈধ সংগঠনের সঙ্গে জোট করার জন্য বিএনপিকে অপরাধী সাব্যস্ত করছে। আবার বহু জেলায় জামায়াতের বহু নেতাকর্মীকে আওয়ামী লীগ সাদরে ঢুকিয়ে নিয়ে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ করে অনেককে ইউপি চেয়ারম্যান পৌরসভার মেয়র কাউন্সিলরও নির্বাচিত করে রেখেছেন। তবুও খবঃঃবৎ ঞযধহ ঘবাবৎ উদ্যোগ যদি আবার সত্যিই নেয়া হয়ে থাকে তবে তার আন্তরিক সাফল্য কামনা করি।

‘সংবাদ’ এর খবরে বলা হয়েছে, ‘জামায়াতে ইসলামীসহ যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত সব সংগঠনের বিচারে ফের আইন সংশোধনের পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে বেছে নেয়া হলেও এই আইনে দল বা সংগঠনের মানবতাবিরোধী অপরাধের শান্তির ব্যাপারে কিছু বলা নেই। এ জন্য আইনটি সংশোধন করেই জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গত সরকারের সময় সংশোধনী এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের খসড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছিল। এরপর থেকে বিষয়টি ঝুলে আছে কোথায় এবং কেন। আবারো খসড়া চূড়ান্ত করতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। মন্ত্রিসভায় উত্থাপিত হলে তা অনুমোদনের পর জাতীয় সংসদে পাঠানো হবে। সংসদ সংশোধনী পাস করলে ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের বিচারে আইনগত কোনো বাধা থাকবে না।

এ বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চাওয়া হলে গত (১১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, “জামায়াতে ইসলামীর বিচারের জন্য ফের আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।”

একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ যেমন চূড়ান্ত পর্যায়ে তখন ছয় দফা এগারো দফাসহ বিভিন্ন দফায় বিরোধিতা করে জামায়াত। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করতে রাজাকার, আলবদর, আলশামস নামে বিভিন্ন দল গঠন করে জামায়াত ও তার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘ নামে। যুদ্ধকালীন সাংগঠনিকভাবে তারা সারাদেশে ব্যাপক হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাটের মতো যুদ্ধাপরাধে লিপ্ত হয়।

সেই অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে এ পর্যন্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, দলটার প্রধান অর্থদাতা বলে পরিচিত মীর কাশেম আলী, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ সংগঠনটির সাত শীর্ষ নেতার ফাঁসি বা মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়েছে।

গোলাম আযমের মামলার রায়ে জামায়াতে ইসলামীকে একটি ‘ক্রিমিন্যাল সংগঠন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ওই রায়ে বলা হয়, জামায়াত একটি অপরাধী সংগঠন। একাত্তরে তাদের ভূমিকা ছিল দেশের স্বার্থের পরিপন্থী। এ ছাড়াও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রতিটি রায়ের পর্যবেক্ষণেই জামায়াতকে সন্ত্রাসী সংগঠন (ক্রিমিন্যাল অর্গানাইজেশন) হিসেবে উল্লেখ করেছে।

২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায়ে জামায়াতের সহকারী জেনারেল সেক্রেটারি কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজার আদেশ হলে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি এবং তাদের দলগুলো নিষিদ্ধ ঘোষণাসহ সাত দফা দাবিও অন্তর্ভুক্ত ছিল তখন গড়ে ওঠা শাহবাগ আন্দোলনে তরুণ সমাজ কর্তৃক।

বিভিন্ন মহল থেকে তাদের দাবির প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করা হয় এবং হাজারে হাজারে অংশগ্রহণও করে। পরবর্তী সময়ে এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করলে দলটির নিজস্ব নামে ও প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা অত্যন্ত দুরূহ হয়ে পড়ে। এর পাঁচ বছর পর গত বছরের অক্টোবরে নিবন্ধন বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।

সংশ্লিষ্টদের মতে, পাকিস্তান আমলে দুবার এবং ভারতে চারবার নিষিদ্ধ হয় জামায়াত। বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে দলটির নিবন্ধন না থাকলেও সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের ২৫ জন প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ও কিছু নিরপেক্ষ প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও একটি আসনেও জিততে পারেনি তারা।

এতে খুশি হওয়ার দিক যেমন আছে তেমন আত্মপ্রসাদের কোনো কারণ নেই। জামায়াতে ইসলামী একটি ক্যাডারভিত্তিক সংগঠন। সে সংগঠন এখনো তাদের অক্ষত। কিন্তু মূল দলের নেতৃত্ব ধীরে চলার নীতি গ্রহণ করায় তারা আপাতত আগ্রাসী ভূমিকা পালন থেকে বিরত রয়েছে।

কিন্তু হাজার হাজার মসজিদ, মাদ্রাসা? সেগুলো আজো দিব্যি তাদের নিয়ন্ত্রণে। সরকারের ছোট-বড় আমলা, পুলিশ, ডিজিপি, সেনাবাহিনীতে তাদের বহু অনুপ্রবেশ ঘটছে। সেদিকগুলো খেয়ালে রাখা এবং তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ দরকার। নারী সংগঠনও তাদের কম নয়। বাড়ি বাড়ি বোরকা পরে গিয়ে নানা বয়সের মহিলাকে বিনা পয়সায় ইসলামের তালিম দিয়ে থাকে তারা। তাই সতর্কতার প্রয়োজন সার্বিক ক্ষেত্রেই। নইলে যে কোনো মহলের মাধ্যমে বিপর্যয় নেমে আসা অস্বাভাবিক নয়।

অতীতের খবর তো এখানেই শেষ নয়। পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়। এরপর ওই সংশোধনী সংসদে তোলার বিষয়ে কয়েক দফা প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু বিচারের মুখোমুখি করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩-এর খসড়া প্রস্তুত থাকলেও তা কখনো সংসদে ওঠেনি।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন অন্যতম প্রসিকিউশন ব্যারিস্টার তুহিন আফরোজ ওই সময় বলেছিলেন, “তদন্ত প্রতিবেদনটি যাচাই-বাছাই করার দুই মাস পর জামায়াতের বিচার বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালস আইন সংশোধনের বিষয়টি ওঠে। সে অনুসারে আইনটির খসড়াও করা হয়। কিন্তু এতদিনেও আইনটি কেন অনুমোদন হচ্ছে না, এটি আমার কাছে বোধগম্য নয়।

আইনের খসড়াটি মন্ত্রিসভায় উত্থাপনের ক্ষেত্রে কালক্ষেপণ বলে অভিযোগ করে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের অনেক সদস্যই। এ নিয়ে বিভিন্ন মহল ক্ষোভ জানিয়ে আসছে এটি দ্রুত হওয়া দরকার বলে দাবি করে আসছেন। এ বিষয়ে আইনজ্ঞরাও প্রশ্ন তুলছেন। তারা বলছেন, অনেক আইন রাতারাতি সংশোধন করা হচ্ছে। অথচ জামায়াতের বিচারে আইনের সংশোধন আটকে আছে।

জামায়াত যে এতটা সন্ত্রাসী সংগঠন যে তা বহু রায়েই উঠে এসেছে অথচ ওই দলটিকে নির্বাহী আদেশেও বেআইনি করা সম্ভব। এ ছাড়া, বিদ্যমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালস আইনে ব্যক্তির বিচারের কথার উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সংগঠনে নেই। সেখানে অর্গানাইজেশনস বা সংগঠন শব্দটি সংযোজন এবং সাজার ক্ষেত্রে নিষিদ্ধকরণ তহবিল অফিস বাজেয়াপ্তসহ কয়েকটি শব্দ সংযোজন করলে দলেরও বিচার করা সম্ভব হতে পারে।

স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠনগুলোর বিচারে বর্তমান সরকারের ওপর তাদের আস্থা আছে। এখনই উপযুক্ত সময়। যত দ্রুত সম্ভব আইনের সংশোধনীর খসড়া পাঠিয়ে দিয়ে তা মন্ত্রিসভায় ও সংসদে অনুমোদন করতে আর কালক্ষেপণ উচিত হবে না।

এখন প্রাসঙ্গিক কয়েকটি জরুরি প্রশ্ন উত্থাপন করতে চাই- এক. সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামী ও হেফাজতে ইসলামীসহ জঙ্গি উৎপাদনকারী ধর্মাশ্রয়ী দলগুলোকে, জিয়ার উদ্দেশ্যমূলক বিসমিল্লাহ এবং স্বৈরাচারী এরশাদের ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বেআইনি/বাতিল করে পুনঃস্থাপন করতে বাধা কোথায়? দুই. সংবিধানে যে দুই-তৃতীয়াংশ সাংসদের প্রয়োজন তার চাইতে বেশি সদস্য থাকা সত্ত্বেও সংবিধান সংশোধনের পথে যেতে অনীহা কেন?

তিন. দল নিষিদ্ধকরণের জন্য আদালতের কাছে যেতে হবে কেন? চার. আদালতের বিচারে যে অত্যাধিক সময়সাপেক্ষ তা নিশ্চয়ই সবারই জানা আছে। তবু সে পথে হাঁটার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল কেন? পাঁচ. একটি মামলা দায়ের করলেই মাননীয় আদালত যে দল/দলগুলোকে বেআইনি ঘোষণা করবে তার কি কোনো নিশ্চয়তা আছে?

ছয়. যদি ধরিও যে আদালত বেআইনি ঘোষণা করে জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করবেই, ক্ষতিগ্রস্তপক্ষ হিসেবে জামায়াতে ইসলামী কি উচ্চ আদালতে আপিল করতে যেতে পারবে না? আমার ধারণা নিশ্চয় পারবে। তখন সে আপিল শুনানির জন্য যে কয় বছর সময় লাগবে তাও কি বিবেচনায় নেয়া হবে না।

সাত. মন্ত্রিসভা/ সংসদে অনুমোদনের দিন তারিখ তো এখনো ঠিকই হয়নি। অথচ উদ্যোগটি শুরু হয়েছে ১৯১৩ সালে। আজ প্রায় ছয় বছর ইতোমধ্যেই অতিক্রান্ত। আট. যদি সহজেই তিন বা ছয় মাসের মধ্যেই মন্ত্রিসভা/সংসদের অনুমোদন পাওয়া যায়, তার ভিত্তিতে এজাহার প্রণয়ন, চার্জশিট প্রণয়ন, চার্জশিট গ্রহণ প্রভৃতিতে অনেক সময় স্বাভাবিকভাবেই লাগবে।

নয়. অতঃপর অভিযুক্ত পক্ষ নানা যৌক্তিক/অযৌক্তিক কারণে দিব্যি আদালতের কাছ থেকে বারবার সময় নিতে পারবে। এভাবে সংঘটিত বিলম্বের আশঙ্কাও কম নয়। দশ. আদালত প্রদত্ত জামায়াত বাতিলের রায় কি সংসদে অগ্রাহ্য করে যথা পূর্বং তথা পরং করা- অর্থাৎ পঞ্চদশ সংশোধনীর মতো সংশোধনী দ্বারা আদালতের রায় অগ্রাহ্য করার সুযোগ রাখার চিন্তা আছে? শেষ কথাটি বলি- বাংলাদেশে সব কিছুই সম্ভব।

রণেশ মৈত্র : রাজনীতিক ও কলাম লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App