×

মুক্তচিন্তা

পাট কার্বন নিঃসরণ ও টেকসই উন্নয়ন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:৫৮ পিএম

পাট কার্বন নিঃসরণ ও টেকসই উন্নয়ন
পাট কার্বন নিঃসরণ ও টেকসই উন্নয়ন

তেমনিভাবে শব্দদূষণ, বায়ুদূষণ ও অতি বেগুনি সূর্য রশ্মি প্রভাবজনিত দূষণ দূর করণীয় বহুমুখী পাট ব্যবহার করা সম্ভব। তাই পাটের উৎপাদন বৃদ্ধি করে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস এবং বিভিন্ন উন্নয়ন ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব পাট পণ্য ব্যবহার দ্বারা পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন না করে টেকসই উন্নয়ন করা সম্ভব।

জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রযুক্তি দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধিতে প্রভাব দৃশ্যমান মাত্র। এ বিষয়ে অধ্যাপক উইলিয়াম নর্ডহাউস ও অধ্যাপক পল এম রোমার অর্থনীতিতে এবার নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। পাট একটি প্রাকৃতিক তন্তু এবং এটা বাংলাদেশের কৃষিপণ্য শিল্পের কাঁচামাল। বঙ্গীয় ব-দ্বীপ বাংলাদেশের মাটি ও জলবায়ু পাট চাষে অত্যন্ত উপযুক্ত এবং পাট চাষিরাও অভিজ্ঞ।

বিশ^ব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বৈশ্বিক তাপমাত্র বৃদ্ধির গতি কমাতে নানাবিধ প্রচেষ্টা গ্রহণ করছে। উন্নত দেশগুলো মূলত বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী। উন্নয়নের সঙ্গে পরিবেশ দূষণ অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত। তাই টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি তথা গ্রিন প্রযুক্তির জন্য আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।

পরিবেশ সংরক্ষণ জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক উষ্ণতা দূর-অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, দেশি সম্পদের সর্বাধিক ব্যবহারে লাগসই প্রযুক্তি বিষয়ে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, আলোচনা, পর্যালোচনার অভাব নেই। কিন্তু সত্যিকারের বাস্তবতা ভিন্ন। বিগত নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে আমাদের কানাডায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। কানাডা পরিবেশ-প্রতিবেশ সংরক্ষণে ‘চ্যাম্পিয়ন’ হলেও, দুঃখের বিষয় টরেন্টো, অটোয়ার মতো সিটিতে আইন করেও তারা পলিথিন/ প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

আইন আছে, কিন্তু বাস্তবায়ন নেই। তবে পলিমার ট্রেটেট পেপার ব্যাগের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। Yarkdyle টরেন্টোর অন্যতম বৃহৎ বিপণন কেন্দ্র। ২ ঘণ্টা ঘুরে একটি সোপে ইন্ডিয়া মেইড পাটের ব্যাগ পরিবহনের জন্য ব্যবস্থা আছে। তবে ব্যাগের ডিজাইন মোটেই চিত্তাকর্ষক নয়।

প্রযুক্তি উন্নয়নে সমাজ বদলাচ্ছে। সমগ্র বিশ্ব আজ প্রযুক্তি পরিবর্তনে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের পর চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সূচনা, সম্প্রসারিত হচ্ছে। তবে অনুন্নত বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে শিল্প বিপ্লবের স্তরগুলো একই সঙ্গে বিরাজমান হয়ে এক অস্বাভাবিক ভারসাম্যহীন প্রযুক্তির প্রভাব বিরাজমান।

তাই উন্নয়ন ও উন্নয়ন প্রশাসন তথা বিভিন্ন ধারার প্রযুক্তি Optimal ব্যবহারের দ্বন্দ্বে বিঘ্ণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এখানে উন্নত দেশগুলো নিজেদের স্বার্থে নতুন নতুন প্রযুক্তিনির্ভর ভোগ্যপণ্যের বাজার সৃষ্টি করে অপেক্ষাকৃত অনুন্নত দেশে অর্থনৈতিক-সামাজিক-রাজনীতিক প্রভাব খাটিয়ে অভিনবভাবে শোষণে নতুন ক্ষেত্র তৈরি করে চলছে।

তাই যে কোনো ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রযুক্তি শনাক্ত ও ব্যবহার করা আজ একটি জটিল বিষয়ে দৃষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে Consultant দের উপদ্রব। তাই টেকসই প্রযুক্তি নির্ধারণ করার প্রয়োজনীতা জোরদার হচ্ছে। এক্ষেত্রে কারিগরি, অর্থনৈতিক-সামাজিক সব প্রভাব বিবেচনা রাখা অত্যন্ত জরুরি।

বাংলাদেশ পরিবেশ তথা জলবায়ু পরিবর্তনে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত। অপরদিকে পরিবেশ দূষণ আমাদের অবদান অতি নগণ্য। তবে পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য সরকার ও সুশীল সমাজ নানাভাবে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। MDG / SMDG, GO / NGO নানা ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। Vision 2021 এবং 2100 Delta প্রকল্প গ্রহণে পরিবেশ সংক্রান্ত বিশেষ নজর রেখে প্রকল্প কার্যক্রম ও কর্মকা- নির্ধারণ, অত্যন্ত Documents গুলি সুচারুভাবে পরিপূর্ণ আছে। তবে কার্যক্ষেত্রে খুবই স্বল্প দৃশ্যমান।

সম্পতি বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট (পিআরআই) গোলটেবিল বৈঠকে দেশে বর্তমানে প্রতিনিয়ত কার্বন নিঃসরণের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ১৯৭০-২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর গড়ে ৭ শতাংশ হারে কার্বন নিঃসরণ বৃদ্ধি পেলেও সম্প্রতি এটা ৯ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত নগরায়ন ও শিল্পায়নের কারণে এমনটা হচ্ছে এবং এটা স্বাভাবিক। উন্নত বিশ্বে মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণের মাত্রা ১৪-১৬ টন বাংলাদেশে যা কয়েক কেজি মাত্র (২-৩ কেজি)।

তাই পরিবেশ দূষণ কমিয়ে আনতে উন্নত বিশ্বে ডিজেল, পেট্রলসহ জ্বালানি তেলের ব্যবহারের ওপর বিদ্যমান ‘কর’রের বাইরে মাসুল হিসেবে ১০ শতাংশ কার্বন ‘কর’ আরোপ করে থাকে। যা ৭১%, ৬৯%, ৬৮% ও ৬৬% যথাক্রমে যুক্তরাজ্যে, নেদারল্যান্ডস, ইতালি, ও ফ্রান্স।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও পরিবহন খাতে কার্বন নিঃসরণ উল্লেখ করে, উক্তি সংস্থা (পিআরআই) দেশে অনুরূপ ১০% কার্বন কর আরোপ করলে সরকার বর্তমানে প্রথম বছর ৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ও ২০৪১ সালে ২২ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত রাজস্ব আহরণ করা সম্ভব দেখানো হয়।

ওই বৈঠকে অনেক জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। আমাদের মতো স্বল্পোন্নত দেশে গবেষণা করা এবং বক্তব্য দেয়া খুব সহজ ও কঠিন, দ্বিমুখী বক্তব্য। পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য বিশ্বব্যাপী নানা আলোচনা, আন্দোলন, গবেষণা, প্রযুক্তি, উন্নয়ন, প্রকল্প গবেষণা ক্ষেত্রে ব্যাপক জোর আসছে।

উন্নত-অনুন্নত সব দেশে গবেষণা চলছে। নতুন নতুন গবেষণা দ্বার খুলছে, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, টেকসই প্রযুক্তি, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি, স্থানীয়/দেশীয় সম্পদের সর্বাধিক ব্যবহারের কথা পুনঃ পুনঃ উচ্চারিত হচ্ছে, কেউ বসে নেই। তবে বাস্তবায়ন ক্ষেত্রে উন্নত-অনুন্নত দেশে বিশেষ পার্থক্য নেই।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ক্ষেত্রে জলবায়ুর পরিবর্তন এবং প্রযুক্তির ভূমিকা বিষয়ে অধ্যাপক উইলিয়াম নর্ডহার্স ও অধ্যাপক রোমা চলতি বছর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জ্বালানি অপরিহার্য। কিন্তু জ্বালানি থেকেই উৎপন্ন হয়, গ্রিনহাউস গ্যাস যা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ।

ফলে জলবায়ু পরিবর্তন তাই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ব্যাহত করে। তাই জলবায়ু পরিবর্তন ও অর্থনীতি অঙ্গাঙ্গিভাবে আবদ্ধ। অধ্যাপক নর্ডহার্স এ বিষয়ে কয়েকটি মডেল উদ্ভাবন করেন। বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রকৃত প্রভাব পরিমাপে সক্ষম হয়েছেন এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম কীভাবে রসায়ন ও পদার্থ বিজ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্কিত হয়ে জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে সেটিও তিনি হাতে-কলমে দেখিয়ে দেন।

অপরদিকে অধ্যাপক রোমার অর্থনৈতিক শক্তিগুলো নিত্যনতুন ধারণা এবং উদ্ভাবন সৃষ্টির জন্য সংস্থাগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তার করে। বিশ্বব্যাপী টেকসই প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির ওপর সফল গবেষণা করে এন্ডোজেন প্রবৃদ্ধি মডেল উপস্থাপন করেন। সাধারণভাবে মানুষের ধারণা, পরিবেশ রক্ষা করা ব্যয়বহুল ও কঠিন কাজ।

তাই এটাকে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলে। তবে পরিবেশ রক্ষা করেও টেকসই উন্নয়ন করা সম্ভব। তাই অধ্যাপক রোমার আশা প্রকাশ করেন যে, বিশ্বব্যাপী গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস এবং ভবিষ্যতে জীবনযাত্রার মান উন্নত করে, ধারাবাহিকভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের সুযোগ ছাড় না দিয়েই পরিবেশ সুরক্ষায় যথাযথ অগ্রগতি অর্জন সম্ভব।

কারণ প্রযুক্তি দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি এগিয়ে নেয়। এই ক্ষেত্রে দেশীয় সম্পদের সবদিক ব্যবহারে উপযুক্ত প্রযুক্তির নির্ধারণ ও টেকসই উন্নয়ন নীতিনির্ধারণ ও বাস্তবায়নের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিতে হবে।

অত্যন্ত জনবহুল ছয় ঋতুর বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ সংরক্ষণে দেশীয় সম্পদ ও টেকসহ প্রযুক্তির বিকল্প খুবই নগণ্য। পরিবেশ সংরক্ষণে ত্রিমুখী ধারা- Mitigation, Adaption & Protection সম্মিলিত কার্যক্রম, পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন প্রয়োজন।

উল্লিখিত ত্রিমুখী কার্যক্রমে পাটচাষ ও ব্যবহারকে পরিবেশ সংরক্ষণসহ জলবায়ু পরিবর্তন তথা বৈশ্বিক উষ্ণতা হ্রাস কার্যক্রম গ্রহণ করা সম্ভব এবং চলছে। কার্বন নিঃসরণ হ্রাস ওপরে আলোচিত হয়েছে। উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহুমুখী পাটপণ্য ব্যবহারের প্রযুক্তি যেমন- চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ঝড়-বৃষ্টি হলে পাহাড়ের ধস নিত্য।

প্রতি বছর ঘটে চলেছে গরিব মানুষের প্রাণনাশের ঘটনা। কিছু হৈচৈ পড়ে একই নীরবতা, কারো কোনো দায়িত্ব নেই। যদিও পার্বত্য অঞ্চল উন্নয়ন সংস্থা আছে, ইদানীং হাওর উন্নয়ন সংস্থা হয়েছে। খরা, বন্যা, ঢল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে, পরিবেশ দূষণের কারণে।

এই ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব Jute geotextiles প্রযুক্তি ব্যবহার আজ সর্বজনস্বীকৃত, বাংলাদেশ আর্মি ফোর্স, ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়ন এ বিষয়ে হাতিরঝিল ও পার্বত্য চট্টগ্রামে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উন্নয়নমূলক কাজ করেছে, তেমিনভাবে গ্রামীণ রাস্তা, স্বল্প¯্রােতা নদীর ভাঙন, সড়ক জনপথ ও রেল সড়ক উন্নয়ন ক্ষেত্রে জুট জিও টেক্সটাইল ব্যবহার করা সম্ভব।

তেমনিভাবে শব্দদূষণ, বায়ুদূষণ ও অতি বেগুনি সূর্য রশ্মি প্রভাবজনিত দূষণ দূর করণীয় বহুমুখী পাট ব্যবহার করা সম্ভব। পাল্পস/পেপার, বিভিন্ন রকম সেলুলেজ ডেরিভেটিবের কাঁচামাল হিসেবে পাট স্বল্প বনায়নে বাংলাদেশের বাঁশ/ কাঠের বিকল্প কাঁচামাল যা পরিবেশ সংরক্ষণের অন্যতম উপায়।

তেমনিভাবে তুলার পরিবর্তে পাটের আঁশ ব্যবহার, প্লাস্টিকের পরিবর্তে জুট কম্পোজিয়েট ব্যবহার করা সম্ভব। তাই পাটের উৎপাদন বৃদ্ধি করে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস এবং বিভিন্ন উন্নয়ন ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব পাট পণ্য ব্যবহার দ্বারা Mitigation, Adaptation Protection ত্রিমুখী ব্যবস্থা পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন না করে টেকসই উন্নয়ন করা সম্ভব।

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী গত ১৭ অক্টোবর, ২০১৮ তারিখে নেদারল্যান্ডসের গ্লোবাল কমিশন অন Adaption ও অনুরূপ বক্তব্য রাখেন। নবেল বিজয়ী অধ্যাপক অর্থনীতিবিদরা তাই বলে। কিন্তু আমাদের দেশে অর্থনীতিবিদরা কেন জ্বালানি তেলের ব্যবহারের মাসুল হিসাবে ১০% কার্বন কর আরোপ প্রস্তাব করেছেন এবং যেখানে দেশের উচ্চ পর্যায়ে পরিকল্পনা/প্রশাসনের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন, তাহা বোধগম্য নয়।

বিদেশিদের ভাবধারা/চিন্তায় চললে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাব অনুসারে আদমজি বন্ধের ফলাফল ও পদ্মা সেতুর অর্থ ছাড় বন্ধ করা বিষয়টি পর্যালোচনা করলে সহজে বোধগম্য হয়। এই অর্থনীতিবিদরাই আবার কথা বলেন, বক্তব্য দেন, বিরাট বিরাট প্রবন্ধ দেশ-বিদেশের সংবাদপত্র, গবেষণাপত্রে উপস্থাপন করেন।

বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। বাংলাদেশের প্রায় ৬০% লোক কৃষিজীবী দরিদ্র ও গ্রামে থাকেন। পাট কৃষকের অন্যতম অর্থকরী ফসল। তাই পাট চাষ ও পাটের সর্বাত্মক ব্যবহার বৃদ্ধি মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণের সঙ্গে সঙ্গে গ্রামের মানুষের আর্থিক উন্নয়ন, তথা কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, দারিদ্র্য দূরীকরণ বিশেষ করে গ্রামের মহিলাদের ক্ষেত্রে এটা অন্যতম উপায়।

পাটের বৃহত্তর শিল্পী স্থাপন সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প স্থাপনে উদ্যোক্তা সৃষ্টি এক বিরাট সম্ভাবনা দেশের সৃষ্টি হয়েছে। পাটের বহুমুখী ব্যবহার নতুন দিগন্ত ও বাজার দেশে-বিদেশে সৃষ্টি হয়েছে। এ সুযোগ অবশ্যই নিতে হবে। আমাদের তরুণ উদ্যোক্তার প্রচুর সম্ভাবনা তাদের ভবিষ্যৎ গড়ার চিন্তা ও কর্ম দৃশ্যমান। M DG মতো S DG কর্মসূচি সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করে, দেশকে একটি সুখীসমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করা সম্ভব।

ড. এ বি এম আব্দুল্লাহ : অধ্যাপক, প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App