×

বিনোদন

শিল্পকলায় হ্যামলেট মঞ্চস্থ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ০২:৩৪ পিএম

শিল্পকলায় হ্যামলেট মঞ্চস্থ
উইলিয়াম শেক্সপিয়রের কালজয়ী নাটক হ্যামলেট। কিংবদন্তি এই ব্রিটিশ কবি ও নাট্যকারের মৃত্যুর চারশ বছর পরও দর্শককে উদ্দীপ্ত করে তার রচিত এ নাটকের কাহিনী। পিতৃহত্যার প্রতিশোধের নেশায় মত্ত ডেনিশ যুবরাজ হ্যামলেট। অভিযুক্ত চাচাকে হত্যার সুযোগ পেয়েও সে হত্যা করে না। কেন? ক্লডিয়াস ওই সময়টায় প্রার্থনারত ছিল বলে। এ রকম অনেক প্রশ্নেই দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভিড় করে হ্যামলেটের মনে। সৈয়দ শামসুল হক অনূদিত শেক্সপিয়রের হ্যামলেট নাটকটি মঞ্চে এনেছে শিল্পকলা একাডেমি। উইলিয়াম শেক্সপিয়র রচিত হ্যামলেট বিশ্ববাসীর অতিপরিচিত একটি বিয়োগান্ত নাটক। এই নাটকে ডেনমার্কের যুবরাজ হ্যামলেটের জীবনযুদ্ধের দ্ব›দ্ব ও সংকটময় রূপ চিত্রিত হয়েছে, যা কাহিনীবিন্যাস ও মর্মকথায় হয়ে উঠেছে সর্বজনীন। চারশ বছর ধরে এই নাটকটি বিশ্বের অগণিত দেশে বিরতিহীনভাবে মঞ্চে অভিনীত হয়ে আসছে। বাংলাদেশেও এর আগে অনেকবার হয়েছে। গতকাল জাতীয় নাট্যশালায় মঞ্চস্থ হলো নতুন করে। নতুন করে অনুবাদ করা হলেও সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক কাহিনীবিন্যাস ও মূল গল্পের মর্মকথায় কোনো ব্যত্যয় ঘটাননি। নাটকটি দেখে মনে হয়েছে, শেক্সপিয়রের ‘হ্যামলেট’ যেন হয়ে ওঠে এই বাংলার ‘হ্যামলেট’ তথা বাংলাদেশের ‘হ্যামলেট’। কাহিনীর কোনো পরিবর্তন না ঘটিয়ে সৈয়দ হক গ্রথিত করেছেন বাঙালি কবিদের কাব্যাংশ ও গান। পাশাপাশি এসেছে বাংলার নিজস্ব লোকজ পালাগানেরও নানা আঙ্গিক। নৃত্যেও সচেতনভাবে ব্যবহৃত হয়েছে এদেশীয় নৃত্য আঙ্গিক ও ভাবনা। শিল্পকলা একাডেমির হ্যামলেটের নির্দেশনা দিয়েছেন আতাউর রহমান। অভিনয় করেছেন রাজধানীর বিভিন্ন নাট্যদলের অভিনয়শিল্পীরা। তাদের মধ্যে আছেন আমিনুর রহমান, শামীম শেখ, ফারজানা কামাল, মাস্উদ সুমন, শফিকুল ইসলাম, শামীম সাগর, বাপ্পি আমীন, তৃপ্তি রানী মণ্ডল, মেরিনা মিতু প্রমুখ। শিল্পকলায় রবীন্দ্রনাথের ‘সে’ : শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হলো কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প অবলম্বনে পদাতিক নাট্য সংসদের ৩০তম প্রযোজনা ‘সে’। তরুণ নাট্যনির্দেশক দেবাশিষ ঘোষের নাট্যরূপ ও নির্দেশনায় এ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন শিশুশিল্পী সামিয়া জয়ী, মিজান, কামাল, সাদিয়া, এস পি অরণ্য, মামুন, মিল্টন, পাভেল, ডলি, আজিজ, শাকিল, জিসাম ও ইকবাল। আলোক পরিকল্পনায় ছিলেন নাসিরুল হক খোকন। মঞ্চ পরিকল্পনায় সেলিম শামসুল হুদা চৌধুরী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৩৭ সালে ৭৬ বছর বয়সে রচনা করেন ‘সে’ গল্পটি। এই রচনায় রয়েছে ছোট ছোট ১৫টি গল্পের মালা। রবীন্দ্রনাথের অন্যান্য গল্প থেকে এই গল্পগুলো একেবারেই আলাদা, বলা যেতে পারে খেয়াল রসের লেখা বা এবসার্ড ধরনের গল্প। সেখান থেকে ৬টি গল্প অবলম্বনে দেবাশিষ ঘোষ নাট্যরূপ এবং নির্দেশনা দিয়েছেন। নাটকে বাস্তবতার পাশাপাশি ফ্যান্টাসির আদলে ঘটনাকে উপস্থাপন করা হয়েছে। ছোটদের উপযোগী করে নির্মিত এ নাটকে বড়দের ভাবনা ও শেখার অনেক কিছু রয়েছে। এই গল্পের জন্য রবীন্দ্রনাথ প্রচুর ছবি এঁকেছেন বলেও জানা যায়। ছবিগুলোতে গল্পের চরিত্রদের হুবহু অঙ্কনের প্রয়াস রয়েছে। প্রযোজনায় সেই ছবিগুলো থেকে কিছু ছবিও উপস্থাপন করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App