×

মুক্তচিন্তা

উপজেলা নির্বাচন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০১৯, ০৮:২৯ পিএম

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই শুরু হয়েছে উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি। দেশজুড়ে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে তফসিল আর মার্চের শুরু থেকে পাঁচ ধাপে হবে এই নির্বাচন।

ওদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপনির্বাচন ও সম্প্রসারিত অংশের কাউন্সিলর পদে নির্বাচন নিয়ে রুল খারিজ হয়ে যাওয়ার পর এই নির্বাচনের আইনি বাধা কেটে গেছে। উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮-এর ১৭(১) ধারা অনুযায়ী উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখের আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

উল্লেখ্য, পরিষদের প্রথম বৈঠক থেকে মেয়াদ শুরু হয়। এ হিসাবে আগামী মার্চই হচ্ছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের উপযুক্ত সময়। কমিশন জানিয়েছে, আট বিভাগে চার ধাপে এবং অবশিষ্টগুলোর মেয়াদ শেষ হলে একসঙ্গে ভোট হবে। ১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদ চালু হওয়ার পর ১৯৯০ ও ২০০৯ সালে এক দিনেই সব উপজেলায় ভোট হয়েছিল।

২০১৪ সালে ছয় ধাপে ভোট করেছিল তৎকালীন ইসি। সেই ধারা বজায় রেখে এবার বিভাগওয়ারি ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। সদর উপজেলার সব কেন্দ্রে ভোট হবে ইভিএমে। এবার প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় প্রতীকে হবে উপজেলা নির্বাচন। ফলে এবার ভোট নিয়ে ক্ষমতাসীন দলে আছে বাড়তি আগ্রহ।

তবে জাতীয় নির্বাচনে হেরে যাওয়া বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ ভাটা পড়েছে। একটি পক্ষ নির্বাচনের পক্ষে, অন্যটি বিপক্ষে। উপজেলা পরিষদ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় সরকার। বস্তুত গ্রামীণ জনপদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও জনগণের জীবনমান উন্নয়নের প্রশ্নে উপজেলা পরিষদই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। উপজেলা পরিষদের নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হয় বলে রাজনৈতিক দলগুলো এতে অংশ নিয়ে থাকে।

আমরা মনে করি, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে, উপজেলা পরিষদের নির্বাচনেও সেভাবে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে এ নির্বাচনের প্রশ্নে আস্থায় নিয়ে আসাটাই মূল কথা। সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে ইসির বিরুদ্ধে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

সেক্ষেত্রে ইসির দায়িত্ব হবে নির্বাচনের আগে এমন কিছু পদক্ষেপ নেয়া, যাতে করে ঐক্যফ্রন্টসহ বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। সুষ্ঠুভাবে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে আমরা এমনটিই দেখতে চাই। নির্বাচন কমিশনের জন্য এটি চ্যালেঞ্জ বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App