চলমান খাদ্যে ভেজালবিরোধী অভিযানে নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ২টি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৪টি অঞ্চলে একযোগে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

রোববার থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানে আজ বুধবার চতুর্থ দিন পর্যন্ত মোট ২৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়।

বুধবারের অভিযানে অঞ্চল ১ এর আওতাধীন গুলিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাতজনকে কারাদণ্ড প্রদান এবং ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

মা ফাতেমা বাগদাদ হোটেলের সাজাহানকে তিনদিন, রহিম হোটেলের রুস্তমকে ৩ দিন বিসমিল্লাহ হোটেলের মো. শাহজানকে ১ দিন, সরকারী পরিবহন পুল কেন্টিনের আবদুস সাত্তারকে ১ দিন এবং ফুটপাথে শরবত বিক্রেতা ফয়সাল, ছমির ও রাজুকে ১ দিন করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এ ছাড়া দরবার এ মোগল রেস্টুরেন্টকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

অঞ্চল ৩ এর আওতাধীন পোস্তা ও ইসলামবাগ এলাকায় পরিচালিত অভিযানে হোটেল ইসলামিয়াকে দশ হাজার, শরীফ হোটেলকে দশ হাজার এবং ঢাকেশ্বরী রেস্তোরাকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া মদিনা সুইটস, হক কনফেকশনারী ও বিসমিল্লাহ বিরিয়ানিকে সতর্ক করা হয়েছে।

অঞ্চল ৪ এর আওতাধীন কাজী আলাউদ্দিন রোড এলাকায় তায়েভাত হোটেলের মো. সুজন এবং মো. সানাউল্লাকে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এ ছাড়া গাউসিয়া হোটেল এবং হাজী বিরিয়ানিকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। হোটেল আল নাসির এবং হানিফ বিরিয়ানীকে সতর্ক করে দেয়া হয়।

অঞ্চল ৫ এর আওতাধীন ধোলাইরপাড় এলাকায় পরিচালিত অভিযানে সাহ্যাই চায়নিজ রেস্টুরেন্টকে ত্রিশ হাজার আদি বনফুল মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ত্রিশ হাজার এবং নিউ শর্মা হাউজকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।