×

মুক্তচিন্তা

শিক্ষাব্যবস্থায় সমস্যা অনেক, সমাধান জরুরি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:৫৭ পিএম

বস্তুত আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা শেষ পর্যন্ত আমাদের তরুণদের দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার মতো সুযোগ-সুবিধা কিংবা জীবন দক্ষতা গড়ে তুলতে সহায়ক হচ্ছে না। উচ্চশিক্ষার কার্যকারিতা সফল না হওয়ার দৃষ্টান্ত সম্মুখে উপস্থাপন করলেও আমরা এতে যুগোপযোগী পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা, মানসম্মত শিক্ষা ও গবেষণা ইত্যাদি কার্যকর করার উদ্যোগ নিতে পারেনি। এখন সময় এসেছে শিক্ষাব্যবস্থার তৃণমূল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সর্বত্র শৃঙ্খলা, নিয়ম-নীতি, মান ও আধুনিকায়নের আবশ্যকীয় উপাদানসমূহকে শিক্ষাব্যবস্থায় বিধিবদ্ধভাবে কার্যকর করা। দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষামন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ এখনই যদি নেন তাহলে এর পরিবর্তন অচিরেই ঘটতে পারে।

শুধু আমাদের দেশেই নয়, বর্তমান দুনিয়ায় সব দেশেই শিক্ষাব্যবস্থায় নানা ধরনের সমস্যা রয়েছে। উন্নত দেশগুলো তাদের সমস্যা নিজেদের মতো করে সমাধান দিচ্ছে। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়, শিক্ষা-সাংস্কৃতিক সমস্যা অনেক বেশি জটিল। আবার সমাধানের জন্য যে ধরনের শিক্ষা-সংস্কার বিষয়ক নেতৃত্ব থাকা দরকার, একই সঙ্গে আর্থিক বরাদ্দের সঙ্গতি থাকা অপরিহার্য তার অনেক কিছুই থাকে না। ফলে সাধ ও সাধ্যের মধ্যে ব্যাপক ব্যবধান থেকেই যাচ্ছে।

শিক্ষাব্যবস্থায় প্রত্যাশিত সাফল্য কমই ধরা দিচ্ছে। বাংলাদেশেও শিক্ষাব্যবস্থায় এমন সব সমস্যা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে যেগুলোর সমাধান সময়মতো না হওয়ায় গোটা শিক্ষাব্যবস্থাই আশানুরূপ সুফল দিতে পারছে না। এর ফলে আমাদের দেশে কোটি কোটি শিক্ষার্থী মেধা ও মননের বিকাশে প্রয়োজনীয় সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, দেশ ও জাতির মানব সম্পদে রূপান্তরিত না হয়ে বিশাল অংশই বেকার কিংবা অসফল জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। অথচ এরা যদি শিক্ষাব্যবস্থার শুরু থেকে শেষাবধি সঠিক শিক্ষালাভের সুযোগ পেত তাহলে এদের মধ্য থেকেই যোগ্য, দক্ষ, মেধাবী এমনকি উচ্চমানের বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানী ইত্যাদি তৈরি হতে কোনো সমস্যাই হতো না।

সেটি ঘটলে দেশের আর্থসামাজিক জীবন ব্যবস্থায় যেমনি গতি সঞ্চারিত হতো, আধুনিক বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আমাদের জনগোষ্ঠী সহায়ক সম্পদে পরিণত হতো। এমনকি বিশ্বব্যাপী আমাদের বিশেষজ্ঞরা জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা, গবেষণা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে পারত। কিন্তু আমাদের গোটা শিক্ষাব্যবস্থা নানা সমস্যায় জর্জরিত, অবহেলিত, অপরিকল্পিত, মানের সংকটে জরাগ্রস্ত। ফলে আমরা ষোলো কোটি মানুষের দেশে একটা ভালো শিক্ষা ব্যবস্থার অভাবের কারণে বেশিরভাগ মানুষকেই নিজ নিজ প্রতিভা, দক্ষতা ও মেধা বিকাশে সম্ভব জনগোষ্ঠীতে পরিণত করতে পারেনি।

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় দীর্ঘদিন শিক্ষানীতি অনুপস্থিত ছিল। ফলে যে যার মতো করে নানা ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে- যেগুলোর বেশিরভাগই শিক্ষা বিজ্ঞানের নীতি ও কৌশল সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান রাখে না। এভাবেই আমাদের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থায় প্রায়ই এগারোটি ধারা-উপধারার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গ্রাম ও শহরাঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে- যেগুলো বেশিরভাগই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কিংবা শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণে অথবা অনুমোদনে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এর ফলে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী অভিভাবকদের বিশ্বাস-অবিশ্বাস এবং আর্থিক সঙ্গতির ওপর নির্ভর করে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হচ্ছে।

দেশে এখন গ্রাম ও শহরাঞ্চলে বেসরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন কেজি স্কুল, মাদ্রাসা, ইংরেজি মাধ্যম নানা ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কত তার সঠিক তথ্য সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের হাতে আছে বলে মনে হয় না। এগুলোর অনুমোদনে কারো নিয়ন্ত্রণ কিংবা যথাযথ নিয়মনীতি কার্যকর নেই। এদের বই পুস্তক ও পাঠক্রম অভিন্ন কোনো কর্তৃপক্ষের নজরে নেই, নেই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণেরও, প্রতিষ্ঠানসমূহের অবকাঠামোগত পরিবেশ ও সুবিধাদি প্রায় সর্বত্রই অনুপস্থিত রয়েছে।

অথচ দেশে প্রায় ৭০ (সত্তর) হাজারের মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সেগুলোতে অতীতে শিক্ষক নিয়োগ, পরিচালনা পরিষদের কার্যক্রম, লেখাপড়ার মান অক্ষুণ্ন রাখা ইত্যাদিতে নিয়ম প্রতিষ্ঠার দুর্বলতা ব্যাপকভাবে ছিল। এর ফলে দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো মানসম্পন্ন পাঠদানের কাক্সিক্ষত সুযোগ সৃষ্টি করতে খুব একটা পারেনি। পঞ্চম শ্রেণি পাস করেও বেশিরভাগ শিক্ষার্থী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠ গ্রহণের জন্য মানের দক্ষতা অর্জন করতে পারেনি। ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরে ব্যাপক ছিল। এর কারণ হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো শিশুদের পঠন-পাঠনে যে ধরনের শিক্ষাবান্ধব হওয়া উচিত ছিল তার অনুপস্থিতি অস্বীকার করার উপায় নেই।

১৯৮৮ সালের আগ পর্যন্ত আমাদের দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগে কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাই ছিল না। ফলে থানা, উপজেলা, মহকুমা ও জেলা পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তারা তাদের নিকটাত্মীয়জন অথবা ব্যক্তিগত আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে শিক্ষকদের নিয়োগ দিতেন। এ জন্য দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে নিয়মনীতির অনুপস্থিতির কারণে মানের যে সংকট তৈরি হয়েছিল তার প্রভাব প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থায় এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শিক্ষক নিয়োগে নারী ও পুরুষ কোটায় শিক্ষাগত মানের ভিন্নতা।

অন্যদিকে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাব্যবস্থায় এক সময় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া গ্রামাঞ্চলে সরকারি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল না। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষা অধিদপ্তরের অনুমোদনক্রমে প্রতিষ্ঠিত হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যেহেতু স্থানীয় ব্যক্তি বা সমষ্টির উদ্যোগে হয়েছিল ফলে সেগুলোতে মেধাবী ও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ পরিচালনার তদারকিতে ব্যাপক ঘাটতি ছিল। বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হলেও শিক্ষক নিয়োগের বিধানটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে না নিয়ে পরিচালনা পরিষদের হাতে রেখে দেয় দীর্ঘদিন।

এক সময় এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার আর্থিক প্রণোদনায় সরকার সিংহভাগ গ্রহণ করলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক নিয়োগ ব্যাপকভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এগুলোতে স্থানীয় ও বিভিন্ন গোষ্ঠীর নানা প্রভাবে অপেক্ষাকৃত দুর্বল শিক্ষক নিয়োগ চলে এসেছে। সম্প্রতি সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়োগ নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে চালু করেছে সেটি বেশ বিলম্বিত সিদ্ধান্ত। ইতোমধ্যে দেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান ভীষণভাবে নেমে গেছে।

আবার নিবন্ধনকৃত পরীক্ষায় শিক্ষক নিয়োগের যে পদ্ধতিটি চালু করেছে সেটিও বেশ জটিল, দীর্ঘ সময়ক্ষেপণকারী ব্যবস্থা বলে প্রমাণিত হয়েছে। এতেও খুব বেশি সংখ্যক মেধাবী যোগ্য শিক্ষকের নিয়োগ হচ্ছে বলে মনে হয় না। বিষয়টি যদি বিসিএস পরীক্ষার মতো যাচাই-বাছাইপূর্বক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ-সুবিধাসহ নিয়োগের বাধ্যবাধকতা হৃদ্য হতো তাহলে উচ্চশিক্ষিত অনেক তরুণ-তরুণী এতে যুক্ত হতে আগ্রহী হতো।

কিন্তু বর্তমান এনটিআরসিএর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের যে প্রক্রিয়া চলছে তা অত্যন্ত ঢিলেঢালা মানহীন এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আক্রান্ত। অথচ দেশে হাজার হাজার বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদ শূন্য হয়ে পড়েছে কিন্তু এনটিআরসি শিক্ষক চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। এর ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষাক্রম দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

দেশে উচ্চশিক্ষা লাভে শিক্ষার্থীদের প্রথম চয়েস থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর প্রতি। তবে বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, কৃষি, চুয়েট, কুয়েট, রুয়েট ইত্যাদি কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত অন্যগুলোতে উচ্চশিক্ষায় পাঠদানে অভিজ্ঞ শিক্ষকের যথেষ্ট অভাব বিরাজ করছে। নতুন প্রজন্মের বেশিরভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আঞ্চলিকতা ও স্থানীয় নানা ধরনের প্রভাবে পিছিয়ে পড়েছে।

তারপরও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার খরচ তুলনামূলক কম হওয়ায় অপেক্ষাকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীরা সেদিকেই ভর্তি হতে প্রথম চেষ্টা করে থাকে। ব্যর্থ হলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কিছু সরকারি কলেজ, হাতেগোনা কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করে। তবে উচ্চশিক্ষায় সিংহভাগ শিক্ষার্থী দেশে প্রায় আটশ বেসরকারি ও সরকারি কলেজে ভর্তি হয়। দুঃখজনক অভিজ্ঞতা হচ্ছে এসব কলেজে বেশিরভাগই পর্যাপ্ত সংখ্যক দক্ষ শিক্ষক নেই।

লেখাপড়ার পরিবেশ প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। কলেজগুলো বিরামহীনভাবে নানা ধরনের পরীক্ষা গ্রহণে ব্যস্ত থাকে। পাঠদানে বাধ্যবাধকতা প্রায় নেই। বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সুযোগ-সুবিধা নেই। বাণিজ্যিকভাবে শিক্ষা সনদ প্রদানে নানা ব্যবস্থা এগুলোতে রয়েছে। বেসরকারি চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষা লাভ বেশ ব্যয়বহুল এবং ত্রুটিপূর্ণ। ফলে দেশের গোটা উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা চলছে মানের নানা সংকটে। এগুলো থেকে সনদপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই উচ্চশিক্ষায় যে ধরনের পঠন-পাঠন ও গবেষণা পদ্ধতির বাধ্যবাধকতায় থাকা আবশ্যকীয় ছিল তার ধারেকাছেও যাওয়ার মধ্যে নেই।

বিশেষত উচ্চশিক্ষায় যে ধরনের মৌলিক বই পুস্তক ও চিন্তাধারা, দক্ষতা ও মেধার বিকাশ ঘটানো সম্ভব, তার সঙ্গে আমাদের সিংহভাগ শিক্ষার্থীর পরিচয় প্রায় ঘটেই না। বাজারের কিছু মানহীন গাইড বই ছাড়া এদের পুস্তক পরিচিতি নেই বললেই চলে। এ কারণেই দেশে লাখ লাখ শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার সনদ নিয়ে হয় বেকার জীবনযাপন করছে নতুবা ব্যবসাবাণিজ্য অথবা অপেশাদারিত্ব জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। বস্তুত আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা শেষ পর্যন্ত আমাদের তরুণদের দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার মতো সুযোগ-সুবিধা কিংবা জীবন দক্ষতা গড়ে তুলতে সহায়ক হচ্ছে না।

আমাদের তরুণদের অসংখ্যই রয়েছে যারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে কেজি স্কুলে নামমাত্র বেতন কিংবা কোচিং সেন্টারে যুক্ত থেকে কোনোরকমে জীবনযাপন করছে। এর ফলে আমাদের উচ্চশিক্ষার কার্যকারিতা সফল না হওয়ার দৃষ্টান্ত সম্মুখে উপস্থাপন করলেও আমরা এতে যুগোপযোগী পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা, মানসম্মত শিক্ষা ও গবেষণা ইত্যাদি কার্যকর করার উদ্যোগ নিতে পারেনি। এখন সময় এসেছে শিক্ষাব্যবস্থার তৃণমূল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সর্বত্র শৃঙ্খলা, নিয়ম-নীতি, মান ও আধুনিকায়নের আবশ্যকীয় উপাদানসমূহকে শিক্ষাব্যবস্থায় বিধিবদ্ধভাবে কার্যকর করা। দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষামন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ এখনই যদি নেন তাহলে এর পরিবর্তন অচিরেই ঘটতে পারে।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App