×

মুক্তচিন্তা

এখন শ্রমিকদের কাজে মনোযোগী হতে হবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০১৯, ০৮:৪৬ পিএম

পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বেড়েছে ছয় গ্রেডে। প্রথম থেকে ষষ্ঠ গ্রেড পর্যন্ত বেসিক বা মূল মজুরিও বাড়ানো হয়েছে বিভিন্ন হারে। সপ্তম গ্রেডে মজুরি বোর্ড ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। শ্রম মন্ত্রণালয়ে মজুরি পর্যালোচনায় গঠিত কমিটির বৈঠকে গত রবিবার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সংশোধিত মজুরি কাঠামো গত ডিসেম্বর থেকেই কার্যকর ধরা হবে। আগামী মাসের মজুরির সঙ্গে বকেয়া হিসেবে বাড়তি অর্থ পাবেন শ্রমিকরা।

তৈরি পোশাক শ্রমিকদের জন্য এটি একটি বড় সুখবর। কয়েকদিন ধরে মজুরি নিয়ে পোশাক শ্রমিকদের ভেতর অসন্তোষ বিরাজ করছে। ঢাকা ও আশপাশের পোশাক-শিল্পাঞ্চলের সামগ্রিক পরিবেশ অশান্ত হয়ে ওঠে। শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে একজন শ্রমিকের মৃত্যুর মতো দুঃখজনক ঘটনাও ঘটেছে। সরকার অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

জানা গেছে, সংশোধিত কাঠামো অনুসারে এক নম্বর গ্রেড মজুরি এখন থেকে হবে ১৮ হাজার ২৫৭ টাকা। আগে এই গ্রেডে মজুরি ছিল ১৭ হাজার ৫১০ টাকা। দুই নম্বর গ্রেডে মজুরি হবে ১৫ হাজার ৪১৬ টাকা। আগে এই গ্রেডে মজুরি ছিল ১৪ হাজার ৬৩০ টাকা। তিন নম্বর গ্রেডে এখন থেকে মজুরি হবে ৯ হাজার ৮৪৫ টাকা। আগে এই গ্রেডে ছিল ৯ হাজার ৫৯০ টাকা।

চার নম্বর গ্রেডে সংশোধিত কাঠামো অনুযায়ী শ্রমিকদের মজুরি হবে ৯ হাজার ৩৪৭ টাকা। আগে ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ২৪৫ টাকা। পাঁচ নম্বর গ্রেডে সংশোধিত কাঠামো অনুযায়ী মজুরি হবে ৮ হাজার ৮৭৫ টাকা যা আগে ছিল ৮ হাজার ৮৫৫ টাকা। ৬ষ্ঠ গ্রেডে নতুন মজুরি নির্ধারণ হয়েছে ৮ হাজার ৪২০ টাকা। আগে ছিল ৮ হাজার ৪০৫ টাকা।

তবে ৭ম গ্রেডের মজুরি কাঠামোতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। এই গ্রেডে ৮ হাজার টাকা রাখা হয়। তৈরি পোশাক শিল্পকে বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। বর্তমানে তৈরি পোশাক শিল্পের বাজারে চীন প্রথম অবস্থানে রয়েছে এবং আমরা দ্বিতীয় স্থানে। বাংলাদেশের সামনে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য শ্রমিকদের মূল্যায়নের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।

পাশাপাশি তাদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। পোশাক খাত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোসহ সবাই যদি ইতিবাচক কথা বলেন তাহলে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়া কঠিন কিছু নয়। অস্বীকার করা যাবে না বাংলাদেশের পোশাক শিল্প নিয়ে এক ধরনের চক্রান্ত রয়েছে। চক্রান্তের গতি-প্রকৃতি কি তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা দরকার।

মূলত বাংলাদেশের অর্থনীতি যারা ধ্বংস করতে চায় তারাই এ দেশের পোশাক শিল্পের বিকাশ সহ্য করতে পারছে না। এটি বেতন-ভাতার আন্দোলনের সঙ্গে কতটা সম্পৃক্ত তা অবশ্যই দেখার বিষয়। বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে। এখন কাজের মৌসুম।

বিদেশ থেকে যারা অর্ডার পেয়েছেন তারা যদি সময় মতো অর্ডার সরবরাহ করতে না পারেন তাহলে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে বাধ্য। জাতীয় স্বার্থেই পোশাক কারখানাগুলো খোলা রাখার আন্তরিক উদ্যোগ প্রয়োজন। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না করে শ্রমিকদের কাজে মনোযোগীও হতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App