বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করলো যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ
শামীম আহমেদ
প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:২৪ এএম
যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ। আজ শনিবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের একটি পার্টি হলে এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহবুবুর রহমান। ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদের পরিচালনায় আলোচনায় অংশ নেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা ড. মাসুদুল হাসান এমডি, জয়নাল আবেদীন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান, প্রচার সম্পাদক হাজী এনাম, প্রবাসী কল্যান সম্পাদক সোলাইমান আলী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিরিন আক্তার দিবা, মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব সরকার, আলী গজনবী, সেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাখাওয়াত বিশ্বাস, আওয়ামীলীগ নেতা কফিল উদ্দিন চৌধুরী, প্রফেসর আনিসুর রজমান, সেচ্ছাসেবক লীগের কবীর আলী, কাপাসিয়া পৌর আওয়ামীলীগরে সভাপতি আইয়ুব আলী, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক শিক্ষা সাংস্কৃতিক সম্পাদক, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, ১০ জানুয়ারী যদি বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে না আসতেন তবে স্বাধীনতার স্বাদ বাঙালি জাতি পুরোপুরি পেতোনা। বঙ্গবন্ধু এতোটাই দুরদর্শী ছিলেন যে, তিনি ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে প্রথম দেখাতেই ভারতীয় সৈন্য কবে ভারত ফেরৎ নেবেন তা তার কাছে জানতে চেয়েছিলেন। জবাবে ইন্দিরা বলেছিলেন, আপনি যেদিন চান সেদিনই সৈন্য ফিরিয়ে নেবো।
বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু ফিরে এসে যখন দেশ গড়ার কাজে কাজ শুরু করেন, ঠিক তখনই তাকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। ভাগ্যক্রমে দেশের বাইরে থাকায় বেচে যান তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। এরপর জীবনের ঝুকি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
আজ তিনি রাষ্ট্র ক্ষমতায়। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তারই নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। বাংলাদেশ যাতে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হতে পারে সেজন্য ৭০ নির্বাচনের মতো ভোট বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশর জনগন তাকে আবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসিয়েছে। বক্তারা বলেন, স্বপ্নের সেই দেশ গড়তে এখন সকল আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। অন্যের দিকে তাকিয়ে না দেখে সবাই যে যার যতটুকু দায়িত্ব তা তার পালন করে যেতে হবে। প্রয়োজনে অর্থ দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে, শ্রমদিয়ে দেশকে গড়ে তুলতে সরকারের পাশে থাকতে হবে। জননেত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে। দুর্নীতি, সন্ত্রাস থেকে নিজেদের দুরে রাখতে হবে। অন্যদেরও তা বলতে হবে।