×

জাতীয়

ডোমারে প্রাচীন বৌদ্ধ মূর্তি উদ্ধার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ০৪:৪৯ পিএম

ডোমারে প্রাচীন বৌদ্ধ মূর্তি উদ্ধার

ডোমারে প্রাচীন কালের বৌদ্ধদেব মূর্তি উদ্ধার

নীলফামারীর ডোমারে প্রাচীন কালের বৌদ্ধদেবের মূর্তি উদ্ধার করেছে ডোমার থানা পুলিশ। আজ রবিবার সকাল ১১ টায় মুর্তিটি উদ্ধার নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করে ডোমার থানা পুলিশ ।মুর্তি উদ্ধার ও সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান , তার পুত্রের আত্মসাতের চেষ্টার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চ্যেলের সৃষ্টি করেছে । সরেজমিনে ও ডোমার থানা সুত্র জানায় ,গত ৫ই জানুয়ারী উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নে মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের অধীনে জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় চোমুয়ার বিল পূর্ণঃ খনন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক বেগম নাজিয়া শিরিন। খনন কালে গত ১১ই জানুয়ারী শুক্রবার দুপুরে সেখান থেকে একটি প্রাচীন কালের বৌদ্ধদেবের মুর্তি পায় এলাকার শিশুরা। সোনারায় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের ছেলে ফরহাদ হোসেন কৌশলে মূর্তিটি হাতিয়ে নিয়ে চলে যায়। ঘঁটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে চেয়ারম্যান ও তার পুত্র ফরহাদ হোসেন আসল মূর্তিটি লুকিয়ে রেখে গত ১২ জানুয়ারী পুরাতন ইট ও কাঠের টুকরা থানায় জমা দেয়। স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘঁটনাস্থলে গিয়ে মুর্তিটি পাওয়ার সত্যতা পেলে প্রশাসনকে জানায় ।ডোমার থানা পুলিশ সরেজমিনে তদন্ত করে জানতে পারে আসল মূর্তিটি তারা আত্মসাতের চেষ্টা করছে। গত শনিবার গভীর রাতে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) জয়ব্রতপালের নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ মোকছেদ আলী চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করে। এ বিষয়ে রবিবার সকাল ১১টায় ডোমার থানায় প্রেসব্রিফিং করে সাংবাদিকদের বিষয়টি অবগত করেন। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল বলেন, মূর্তিটি ফেরত দিতে চেয়ারম্যান ও তার ছেলে ফরহাদ গড়িমসি করে এবং আত্মসাতের চেষ্টা চালায়। স্থানীয় সাংবাদিক ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আমরা তা উদ্ধার করতে পেরেছি। মূর্তিটি প্রাচীন কালের এবং কষ্টি পাথরের হতে পারে বলে তিনি ধারনা করেন। মূর্তিটি ওজন ৭ শত ৫০ গ্রাম, দৈর্ঘ্য সাড়ে ছয় ইঞ্চি, প্রস্থ আড়াই ইঞ্চি । ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মোকছেদ আলী বেপারী বলেন, মূর্তিটি আত্মসাতের চেষ্টার অপরাধে চেয়ারম্যান ও তার পুত্র ফরহাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের অধিনে জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় খনন কাজ করা হয়, প্রকল্পটির বরাদ্ধ-১৫লক্ষ ৫৪হাজার টাকা বলে জানা যায়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App