×

জাতীয়

স্বাভাবিক প্রবাহ হারিয়ে মরাখালে পরিনত আন্ধারমানিক নদী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০৫:২১ পিএম

স্বাভাবিক প্রবাহ হারিয়ে মরাখালে পরিনত আন্ধারমানিক নদী

স্থাপনার পর স্থাপনা তুলে দখল করা হচ্ছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার আন্ধারমানিক নদী

স্বাভাবিক প্রবাহ হারিয়ে মরাখালে পরিনত আন্ধারমানিক নদী
স্বাভাবিক প্রবাহ হারিয়ে মরাখালে পরিনত আন্ধারমানিক নদী
স্থাপনার পর স্থাপনা তুলে দখল করা হচ্ছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার আন্ধারমানিক নদী। নদীর দূ-পাড়ে প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ফ্রি-স্টাইলে তোলা হচ্ছে স্থাপনা। নদীর তীর দখলের কারনে দূষণ হচ্ছে পানি। একদিকে স্থাপণা নির্মাণ অন্যদিকে বালু ব্যবসায়ীদের দখলে স্কুল মাঠসহ নদীর পাড়ের ফাঁকা জায়গা। সারা দিনের কর্ম ব্যস্ততা শেষে নির্মল বাতাস এখন শহরবাসীর জন্য দিবা স্বপ্ন মাত্র। অপরদিকে নদীর পাড় ঘেঁষে গড়ে উঠেছে অন্তত: ১০টি ইটভাঁটা। ফলে দখল দুষনে এক সময়ের খর¯্রােতা আন্ধারমানিক এখন হারিয়ে ফেলছে তার স্বকীয়তা। নব্যতা হারিয়ে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে আন্ধার মানিক নদী। সরজমিনে দেখা যায়, কলাপাড়া লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকায় পশ্চিক পাশে স্থাপনা তুলে নদী দখলের পর এখন বর্ধিত করনের মাধ্যমে নদী দখল করছে একাধিক প্রভাবশালীরা। একইভাবে পূর্বদিকে নদীর মধ্যে টিনের ছাপড়া দিয়ে নদী দখল করে পাকা স্থাপনা তুলছে নদীর পাড়ে অবস্থিত ব্যবসায়ীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রকাশ্যে এভাবে স্থাপনা তোলা হলেও পাউবো সহ সংশ্লিস্ট প্রশাসন রয়েছে নীরব। এভাবেই বহুতল পাকা-আধাপাকা ভবনসহ টিনশেড স্থাপনা তোলা হয়েছে আন্ধারমানিকের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় জুড়ে। সবচেয়ে বেশি স্থাপনা তোলা হয়েছে আন্ধারমানিকের উত্তর পাড়ে। কলাপাড়া পৌরশহর এলাকার নাচনাপাড়া ফেরিঘাট থেকে ফিশারি পর্যন্ত আন্ধারমানিক নদী তীরসহ নদী দখল করে তোলা হয়েছে এসব স্থাপনা। দুই পাড়ে পলিতে ভরাট হয়ে গেছে। এসব চর ভরাটের আগেই গোপনে অনেকেই চাষযোগ্য খাস কৃষিজমি দেখিয়ে বন্দোবস্ত নিয়ে রেখেছে আবার কেউ কেউ। কলাপাড়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ শহরের ময়লা-আবর্জনা ফেলছে আন্ধারমানিক নদী পাড়ের লঞ্চঘাট এলাকায়। ফলে দুষণের কবলে পড়ে বিপর্যয় নেমে আসছে আশেপাশের এলাকায়। এসব ময়লা আবর্জনার দূর্গন্ধে আশে পাশে বসবাসকারী ও ব্যবসায়ীরা পরেছে বিপাকে। রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু কিশোররা। আন্ধারমানিক নদীর পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় ইতোমধ্যে অন্তত: সাতটি স্নুইস সংযুক্ত খাল ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এর বিরুপ প্রভাব পড়ছে কৃষিকাজে। ওইসব স্নুইস সংযুক্ত নদীর সংযোগ খালটি বাইরে থেকে ভরাট হয়ে গেছে। ভাটার সময় পানি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকছে। ফলে নীলগঞ্জ, চাকামইয়া, তালতলীর চাউলাপাড়া, কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের প্রায় কুড়ি হাজার একর জমি চাষাবাদে ভয়াবহ সমস্যার শঙ্কা করছেন কৃষক। কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুপ দাশ জানান, নদী-খাল কিংবা সরকারের খাস জমি উদ্ধারে দখলদার উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে। আন্ধারমানিক নদী রক্ষায় এসব দখলদারদেরও উচ্ছেদ করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App