প্রকৃতিতে শীত চলে এসেছে। শীতকাল হলেই অন্যান্য খাবারের সাথে পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায় চারদিকে। আর এই ধুমটা যদি হয় গরম গরম ভাপা পিঠা খাওয়ার তাহলে তো কোন কথায় নেই। খেজুর গুড় দিয়ে তৈরি গরম গরম ভাপা পিঠা খেতে খুব মজা লাগে।
আগের দিনে দাদি নানী রা রাত জেগে চাল কুটে সেই চাল দিয়ে সকাল বেলা পিঠা বানাতেন। কুয়াশা ভেজা সেই সব সকালে ধোয়া ওঠা গরম ভাপা পিঠার কোন তুলনা নেই। এখন শহুরে ব্যস্ত জীবনে এসব করার কারো সময় হয়ে উঠে না। তাই অনেকেই ঘরে বানানো পিঠার চেয়ে বাজারে কিনতে পাওয়া পিঠাকেই বেশি ভাল মনে করেন।
আজ আমরা আপনাদের এই সব ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতে , কি করে খুব সহজেই কম সময় এবং কম ঝামেলায় সুস্বাদু পিঠা ঘরে বসেই বানাতে পারেন সেই কথাই বলবো। যাই হোক, কথা অনেক হলো, চলুন ঝটপট দেখে নেয়া যাক রেসিপি টি-
উপকরণ :
২ কাপ চালেরগুঁড়া,
১ কাপ খেজুরগুঁড়া,
১ কাপ কোড়ানো নারিকেল,
স্বাদ মতো লবণ,
পিঠা বানানোর বাটি,
একটি পাতিল,
একটি ছিদ্রযুক্ত ঢাকনা।
যদি আপনার বাসায় ভাপা পিঠা তৈরির মাটির পাত্র থাকে তাহলে সেটাও নিতে পারেন।
প্রণালি :
প্রথমে চালের গুড়া চালুনিতেকরে চেলে নিতে হবে।
এরপর চালের গুঁড়োর সাথে পানি ছিটিয়ে দিন।
লবণ দিয়ে হালকা ভাবে মেখে নিন।
খেয়াল রাখবেন যেন দলা না বাঁধে।
বড় ছিদ্র যুক্ত প্লাস্টিকের ঝুড়িতে করে আবার চেলে নিন।
হাড়িতে পানি দিয়ে গরম করে নিন।
পিঠা বানানোর ছাচ অথবা ঢাকনা টি হাড়ির উপর বসিয়ে দিন।
আটার গোলা অথবা মাটি গুলিয়ে পিঠার ছাচ বা ঢাকনার চারপাশ টা হাড়ির সাথে লাগিয়ে দিন যাতে বাতাস বের না হয়ে যেতে পারে।
ছোট বাটিতে মাখানো চালের গুঁড়ো নিয়ে তার মাঝখানে পরিমাণ মত গুড় দিন।
গুড়ের উপর নারকেল ছড়িয়ে দিন।
এরপর ওপরে অল্প চালের গুঁড়ো দিয়ে পাতলা কাপড় দিয়ে বাটির মুখ ঢেকে পিঠার ছাচ বা ছিদ্রযুক্ত ঢাকুনির ওপর বাটি উল্টে রাখুন।
বাটি টা সরিয়ে নিন।
২ থেকে ৩ মিনিট অপেক্ষাকরুন।
পছন্দমত গরম গরম পরিবেশন করুন।
যদি আপনার বাসায় উচ্চ রক্তচাপ বা হার্টের সমস্যা জনিত রোগি থাকে তাহলে পিঠার ভেতরে নারকেল দেবেন না। পরিবেশনের সময় পিঠার উপরে নারকেল ছড়িয়ে দিন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।