চলে গেছে ২০১৮ সাল। নতুন বছরের নতুনত্বের আমেজ এখন সবার মাঝে। পুরাতনকে ফেলে নতুনের পিছনে ছুটতে মরিয়া সবাই। নতুন বছরে মানুষের চাওয়া-পাওয়ারও কমতি নেই। পূর্বের তুলনায় নতুন বছরে ভালো কিছু পাওয়ার প্রত্যাশা রাখেন তারকা খেলোয়াড়রাও। তেমনি একজন জুভেন্টাসের পর্তুগিজ ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ২০১৯ সালে তার চাওয়া একটাই। তা হলো তার বিরুদ্ধে আমেরিকান শিক্ষিকা ক্যাথরিন মায়োরগার করা ধর্ষণের অভিযোগ থেকে মুক্তিলাভ। এ বছর ধর্ষণের এ অভিযোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে জুভেন্টাস ফরোয়ার্ড খুবই আশাবাদী। ২০১৮ সাল চলে গেলেও কাঁধে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে বছর শেষ করেছেন রোনালদো। তিনি ২০০৯ সালে ক্যাথরিন মায়োরগাকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে স্বয়ং মায়োরগাই সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এনেছিলেন। অভিযোগে তিনি বলেন, রোনালদো আমাকে ২০০৯ সালে লাস ভেগাসের একটি হোটেলের পার্টিতে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছিল। দীর্ঘদিন তা বলার সাহস না পেলেও এবার তা মানুষের সম্মুখে আনলাম। এখন আমাকে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। লোকজন আমাকে এখন ভিন্ন চোখে দেখে। আমি এর থেকে পরিত্রাণ চাই। এদিকে ধর্ষণ করার কারণে রোনালদোর উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে মায়োরগা আইনজীবীদের দ্বারস্থ পর্যন্ত হয়েছেন। প্রয়োজনে তিনি ইউরোজয়ী তারকার বিরুদ্ধে মামলা করতেও রাজি। তবে রোনালদো এক তুরিতেই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমি এমন কোনো কাজ করিনি। ফাঁসানোর জন্য আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে। আমার খ্যাতি নষ্ট করার জন্য হয়তো এটা পরিকল্পিত একটি ঘটনা। সবাই জানে এবং বিশ্বাস করে আমার দ্বারা এমন একটি ঘটনা কখনোই সংঘটিত হতে পারে না। তবে হ্যাঁ, আমি তার সঙ্গে ওই হোটেলে কিছু সময় কাটিয়েছিলাম। তারকা খ্যাতির জন্যই মূলত তার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছিল এবং কথাবার্তার একপর্যায়ে আমি তার পরিবার সম্পর্কে জানতে পারি। মায়োরগার সঙ্গে আমার এর চেয়ে বেশি কিছু ঘটেনি। এবার আমি এই মিথ্যা অভিযোগ থেকে মুক্তি চাই, আর তা নতুন বছরেই। এই অভিযোগের কারণে পারিবারিকভাবে আমাকে অস্বস্তিতে দিন কাটাতে হচ্ছে। অতি শিগগিরই এমন পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তি পাব বলে আশা রাখি।