২০০৮ সালে তিনি দেশকে ডিজিটাল ও মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি ইতোমধ্যে দেশকে ডিজিটাল মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করেছেন। দেশে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। আগামী পাঁচ বছরে তিনি বাংলাদেশকে অন্য রকম উচ্চতায় নিয়ে যাবেন। ইতোমধ্যে গ্রামের মানুষ শহরের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন তিনি। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি দেশের মানুষ আস্থা রেখেছেন এবং ৩০ ডিসেম্বর উন্নয়নের পক্ষে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন। শেখ হাসিনা এমন একজন নেত্রী যিনি স্বপ্ন দেখান এবং সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন। ২০০৮ সালে তিনি দেশকে ডিজিটাল ও মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি ইতোমধ্যে দেশকে ডিজিটাল মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করেছেন। দেশে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। আগামী পাঁচ বছরে তিনি বাংলাদেশকে অন্য রকম উচ্চতায় নিয়ে যাবেন। ইতোমধ্যে গ্রামের মানুষ শহরের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ড. কামাল হেসেনের নেতৃত্বে ঐক্যজোটকে দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি স্বাধীনতাবিরোধী দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন, দেশের মানুষ তা গ্রহণ করেননি, ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশের নতুন প্রজন্মসহ সব ভোটার নিজেদের মনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তাদের প্রার্থীদের সঙ্গে ভোটারদের সম্পর্ক ছিল না, মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তার চেয়ে অর্থের ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। এসব কারণেই তাদের এ ভরাডুবি। আগামী পাঁচ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য হবে ঐতিহাসিক। এ সময়ে জাতি উদযাপন করবে জাতির জনকের জন্মশত বার্ষিকী এবং ২০২১ সালে দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশের মানুষ ৩০ ডিসেম্বরের জন্য অপেক্ষা করছিল। এদিন দেশের মানুষ মনের আশা ব্যালটের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যারা দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, মুক্তিযোদ্ধা-বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল, মা-বোনদের উজ্জত হরণ করেছিল জিয়াউর রহমান তাদের এবং বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুনর্বাসন করেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেনেট হামলা করে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আইভি রহমানসহ ১৪ জন নেতাকর্মী এ সময় জীবন দিয়েছিল। দেশের মানুষ ব্যালটের মাধ্যমে তার জবাব দিয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে ছিল এবং এখনো আছে। শেখ হাসিনার সরকার মুক্তিযোদ্ধা-ভাতা, বয়স্ক-ভাতা, বিধবা-ভাতা, প্রতিবন্ধী-ভাতা, বিনামূল্যে বই বিতরণ ও শিক্ষা-ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। দেশে যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। দেশে ব্যাপক উন্নতি হচ্ছে, বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। আগামী পাঁচ বছরে দেশে ব্যাপক উন্নতি হবে হবে। শেখ হাসিনার প্রতি দেশের মানুষের আস্থা আছে। সে কারণেই দেশের মানুষ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে।