×

জাতীয়

কুমিল্লা-১ আসনে মূল লড়াই হবে নৌকা ও ধানের শীষে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৩:২৩ পিএম

কুমিল্লা-১ আসনে মূল লড়াই হবে নৌকা ও ধানের শীষে
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের বাকি আর মাত্র একদিন। শীতকে উপেক্ষা করে গণ- সংযোগ, পথসভা, উঠান বৈঠকসহ অবিরাম প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন প্রার্থীরা। প্রচারণায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা সরব থাকলেও ধরপাকড় আতঙ্কে ছিলেন বিএনপি সমর্থক নেতাকর্মীরা। গায়েবি মামলায় ধরপাকড়, হুমকি ও হয়রানিসহ নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন অনেকে। কুমিল্লা-১ আসনে দাউদকান্দি ও মেঘনা উপজেলার একটি পৌরসভা ও ২৩ ইউনিয়নের মোট ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৯ জন ভোটার ভোটের মাধ্যমে ৫বছরের জন্য তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন। এ আসনে ৮ জন প্রার্থী থাকলেও ভোটযুদ্ধে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের মহাজোট প্রার্থী মেজর জেনারেল(অবঃ) সুবিদ আলী ভূইয়া ও বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের মধ্যে লড়াই হবে বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন সমাজ। এ আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আবু জায়েদ আল মাখন সরকার লাঙ্গল প্রতীক, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের রিকশা প্রতীকে মোহসিন উদ্দিন বেলালী, ইসলামী ঐক্যজোটের মিনার প্রতীকে মাওলানা মোঃ আলতাফ হোসাইন বাংলাদেশ, খেলাফত আন্দোলনের (বটগাছ প্রতীকে মাওলানা সুলতান মহিউদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাত পাখা প্রতীকে বশির আহমেদ ও সিংহ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: আল আমিন নির্বাচন করছেন। জানা গেছে, বিগত তিন বছর ধরে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে যে বিভক্তি ও বৈরিতা ছিল তা এখন নেই। এখন নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে সবায় একাট্টা। প্রতীক বরাদ্ধের পর থেকে প্রচারণার শেষদিন পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মীদের পথসভা, জনসভা, উঠান বৈঠকের জোয়ারে মুখরিত ছিল দাউদকান্দি ও মেঘনার জনপদ। সবকিছু মিলিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষের কর্মী সমর্থকদের তৎপরতা নির্বাচন পরিচালনা সেলের সার্বিক কৌশল প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের প্রচারণাকে একেবারে ¤øান করে দিয়েছে। গত তিন দিনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী দাউদকান্দি ও মেঘনা উপজেলায় দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। বিভিন্ন পথসভা ও উঠান বৈঠকে বিগত দশ বছরে দেশের অকল্পনীয় উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তাঁর বক্তব্যে বলছেন, নৌকা জিতলে দেশ ও দেশের জনগণ জিতবে। আর উন্নয়নের জন্য নৌকার কোনো বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগের প্রতি দেশের উন্নয়ন ও শান্তিকামী জনগণের ভালবাসা দেখে নৌকার বিজয় রুখতে স্বাধীনতা বিরোধী চক্ররা উঠেপড়ে লেগেছে। তারা আবারো ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। যতই ষড়যন্ত্র হোক না কেন নৌকার বিজয় ঠেকাবার সাধ্য তাদের নেই। অপরদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন তাঁর হারানো আসন পেতে মরিয়া হলেও মামলা হামলা ও পুলিশী হয়রানীতে ঠিকমতো গনসংযোগ করতে না পারার অভিযোগ করছে দলটি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জনগণ ভোট দিতে পারলে নির্বাচনে আ.লীগ প্রার্থীর পাত্তা থাকবে না। তাই সারা দেশের মতো দাউদকান্দি ও মেঘনায় বিএনপির স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ক্যাডাররা প্রচারে বাধার সৃষ্টি করছে, হুমকি-ধামকি দিচ্ছে, রাতের অন্ধকারে আমাদের ব্যানার ও পোষ্টার ছিড়ে ফেলছে। বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি অফিস ভাংচুর করছে। এগুলো গণতান্ত্রিক আচরণ নয়। ড. মোশাররফ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, জনগণ আ.লীগের ষড়যন্ত্র ও হুমকি-ধামকিতে ভয় পায় না। জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে, ভোট দিবে। ইনশাআল্লাহ্ বিপুল ভোটে সর্বত্র ধানের শীষের বিজয় হবে। বড় দুই জোটের সাথে পাল্লা দিয়ে জাতীয় পার্টির মাখন সরকার ও ইসলামী ঐক্যজোট প্রার্থী মাওলানা আলতাফ হোসেনও বিরামহীনভাবে প্রচারণা চালিয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য প্রতিদ্বব›িদ্ব প্রার্থীদের উল্লেখযোগ্য কিছু এলাকায় পোস্টার ব্যানার দেখা গেলেও প্রচারণায় তেমন দেখা যায়নি। জাতীয় পার্টির মাখন সরকার বলেন, দাউদকান্দি মেঘনার জনগণ আ’লীগ বিএনপির শাসনামলে দেখেছে যারা এসেছে তারা জনগণকে কিছুই দিতে পারেনি শুধু নিজেদের আখের গুছিয়েছে । এখানাকার সাধারণ মানুষ আর তাদেরকে দেখতে চায় না, পরিবর্তন চায় এবং তারা নতুন মুখ চায়। দাউদকান্দি নাগরিক ফোরামের সভাপতি কৃষিবিদ মতিন সৈকত বলেন, ৯০দশকের পর থেকে এখানে মূলত দ্বিমুখি লড়াই দেখে আসছি। এবারও ব্যতিক্রম হবে বলে আমি মনে করিনা। কারণ একসময় জাতীয় পার্টিও আ’লীগ বিএনপির সমমনা ছিলো। কিন্ত জোট মহাজোটের কারনে ছোট ছোট দলগুলোর মতো জাতীয় পার্টির নামও ভূলে যাচ্ছে নতুন প্রজন্ম ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App