×

জাতীয়

স্বজনের মিলনমেলা ঠেকাতে পারেনি কাঁটাতার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:৪৫ এএম

স্বজনের মিলনমেলা ঠেকাতে পারেনি কাঁটাতার
কাঁটাতারের বেড়া আটকাতে পারেনি দুই বাংলার মানুষের রক্তের টান। ঠাকুরগাঁওয়ের কোঁচল ও চাঁপাসার এবং ভারতের নাড়গাঁও ও মাকারহাট সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দুই বাংলার হাজারো মানুষের উপস্থিতি যেন তারই প্রমাণ দিচ্ছে। বর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী প্রতি বছর শ্রী শ্রী জামর কালীর জিউ (পাথরকালী) পূজা উপলক্ষে মেলা আয়োজন করে থাকেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। আর এ পূজা উপলক্ষে প্রতি বছর এ দিনে দূরদূরান্ত থেকে দুদেশের স্বজনরা ভিড় জমান ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা চাঁপাসার ও রানীশংকৈল উপজেলার কোঁচল সীমান্তের ৩৪৫ ও ৩৪৬নং পিলার এলাকায়। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দুদেশের স্বজনরা সীমান্তে সমবেত হতে থাকেন। স্বজনদের সঙ্গে দেখা ও কথা বলার জন্য সকাল থেকে সীমান্তের দুপাড়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায় দুদেশের হাজার হাজার মানুষকে। শেষমেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী গেট না খুললেও তারকাঁটার বেড়ার দুপাড়ে দাঁড়িয়েই স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন অপেক্ষারতরা। আদান-প্রদান করেন নানা রকমের খাদ্য ও পণ্যসামগ্রী। স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে আসা নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বাসিন্দা মরিয়ম বেগম (৫০) জানান, এবার তার ছোট বোন সেফালীর সঙ্গে দেখা করেছেন। ১৬ বছর আগে সেফালীর বিয়ে হয় ভারতের মাল্দা জেলার চানমুনী গ্রামে। বিয়ের পর এই প্রথম বোন ও বোনের স্বামীর দেখা পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে তার বোন ও বোনের ছেলে-মেয়ে ও স্বামীকে কাপড় এবং মিষ্টি উপহার দেন। দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার প্রতীমা রাণী (৬০) জানান, ২০ বছর আগে আমার ছোট মেয়ে কমলা রাণীর বিয়ে হয় ভারতের গোয়ালপুকুর থানার পাঁচঘরিয়া গ্রামে। বিয়ের পর আর কথা হয়নি তার সঙ্গে। কিন্তু আজ মেয়ের সঙ্গে তারকাঁটার এপারে দাঁড়িয়েই কথা হলো। এতেই অনেক শান্তি পেয়েছি। হরিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আমিরুজ্জামান বলেন, কড়া প্রহরা সত্তে¡ও অনেকে তারকাঁটার দুই পাড়ে দাঁড়িয়ে কথা বলেছেন ও খাদ্য বিনিময় করেছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App