এলাকার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাব
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:২৮ পিএম
আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল বলেছেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে এলাকার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাব। এমন প্রত্যাশা থেকেই এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। নেত্রকোনা-৩ (আটপাড়া-কেন্দুয়া) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় চূড়ান্ত মনোনয়ন লাভের পর গতকাল শুক্রবার ভোরের কাগজকে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার উকিল নবম সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের লক্ষ্যে ২০০৬ সালে তৃণমূল আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ সমর্থন পেয়েছিলেন। তিনি বলেন, এবার নির্বাচিত হলে রাজনীতি জীবনের অর্জনটুকু কাজে লাগাতে কেন্দুয়া ও আটপাড়াবাসীর কল্যাণে কাজ করব। এমপি নির্বাচিত হলে জন্মস্থান কেন্দুয়াসহ পাশর্^বর্তী আটপাড়া উপজেলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাব।
উন্নত-সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশের একজন কারিগর হতে চান অসীম কুমার উকিল। তিনি বলেন, একজন রাজনীতিবিদের লক্ষ্যই থাকে এমপি হওয়া। এটা না হলে পরিপূর্ণ রাজনীতিবিদ বলা যায় না। সেই লক্ষ তো আছেই, এ ছাড়া উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কারিগরদের নিয়ে একটি সমৃদ্ধশালী পার্লামেন্ট হবে। আমিও আগামী দিনের উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের একজন কারিগর হতে চাই। এ জন্যই মূলত এবারের একাদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করেছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দীর্ঘ সময়ে রাজনীতিতে নিপীড়ন-নির্যাতন, হামলা-মামলা এবং কারাবরণেও বিচ্যুত হইনি বরং রাজনীতির অগ্রযাত্রাকে আরো শানিত করছি। নৌকা মার্কার নির্বাচনটা সবাই মিলেই একসঙ্গে করতে হবে, সফল হতে হবে নির্বাচনে। আগামী নির্বাচনটা কারো মনে কষ্ট না রেখে সবাই মিলেই একসঙ্গে সম্পন্ন করতে সহযোগিতা চাই।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচিত হয়ে আমার এলাকার সামগ্রিক উন্নয়ন করতে চাই। উন্নয়নের প্রথম ধাপ হচ্ছে কানেক্টিভিটি। আমি আমার এলাকার প্রতিটি গ্রামে যাওয়ার সড়ক ব্যবস্থা উন্নত করতে চাই। সম্পূর্ণ সেনেটারি সিস্টেমটাকে ডেভেলপ করতে চাই। প্রত্যেকের বাড়িতে বাড়িতে বিদ্যুৎ দিতে চাই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যাতে সত্যিকার অর্থে মানুষ গড়ার কারিগর হয়, তা করতে চাই। আমি মনে করি এই জায়গাগুলোতে কাজ করতে পারলে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ হয়ে যাবে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ঠিক থাকলে শিক্ষিত ছেলেরা গ্রামে কৃষি, পোল্ট্রি, ডেইরিতে মনোযোগ দিতে পারবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত থাকলে গ্রামের কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য শহরে সহজে পৌঁছে যাবে। এর সুফল সবাই ভোগ করবে।