×

শিক্ষা

জাবিতে মুক্তিযুদ্ধের জন ইতিহাস' বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০১:৪১ পিএম

জাবিতে মুক্তিযুদ্ধের জন ইতিহাস' বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ‘মুক্তিযুদ্ধের জন-ইতিহাস’ শীর্ষক এক আর্ন্তজাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিতত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে ও ইতিহাস বিভাগে ৯ টি সেশনে দিনব্যাপী সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়েছেে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে দেশের আপামর জনসাধারণ অংশগ্রহণ করেছেন। কৃষক-কৃষানী, মজুর-শ্রমিক সকল পেশা ও শ্রেণির মানুষ বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে জীবনবাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। এমন জনযুদ্ধ করে বিশ্বের অন্য কোনো দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেনি। এই জনযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আরিফা সুলতানার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিলো জনতার যুদ্ধ। ৩০ লক্ষ লোকের প্রাণহানি যে যুদ্ধে ঘটে, সেই যুদ্ধকে জনযুদ্ধ ছাড়া অন্য কিছু বলা যায় না। বঙ্গবন্ধুর কথায় বাংলার জনসাধারণ এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। তিনি বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের জনসাধারণকে এক এবং অভিন্ন হিসেবে অভিহিত করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের জন-ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ আয়োজিত এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জন-ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল তাঁর বক্তব্যে বলেন, ইতিহাসকে জনগণের কাছে নিতে হবে। জনগণকে কেন্দ্র করে ইতিহাস চর্চা করতে হবে। জনগণ ইতিহাসের অংশ। তাই ইতিহাস রচনায় জনগণের কথা থাকতে হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোজাহিদুল ইসলাম এবং কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশের যুদ্ধশিশু বিষয়ক গবেষক মুস্তাফা চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মেলনের আহবায়ক অধ্যাপক ড. এটিএম আতিকুর রহমান। এদিকে `ইনটেলেকচুয়াল ও কালচারাল এক্টিভিটিস' সেশনে আমন্ত্রিত বক্তার ভাষণে মুক্তিযুদ্ধ একাডেমির সভাপতি ড. আবুল কালাম আজাদ মুক্তিযুদ্ধে নিজের লৈমহর্ষক বাস্তবতা তুলে ধরেন। আবুল আজাদের চাক্ষুষ ঘটনার বর্ণনা উপস্থিত সকলকে পাকিস্তানিদের ভয়াবহতা আবেগ আপ্লুত করে তোলে। এসময় আবুল আজাদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে স্বাধীন বাংলা বেতার ভুমিকা পালন করে। তবে তিনি এসময় সাধারণ মানুষের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড তুলে ধরেন এবং বলেন বাস্তবতা আর বইয়ের পাতা ভিন্ন। সবশেষে তিনি ২১ সালের মধ্যে তথা স্বাধীনতার ৫০ বৎসর উদযাপনে বাংলাদেশকে একটি সভ্য, অসাম্প্রদায়িক ও উন্নত জাতি হিসাবে গড়ে তোলার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এসময় মুক্তিযোদ্ধা ও কবিগানের গায়ক লাল মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী পর্ব শেষে ৯টি সেশনে ৪০টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। সম্মেলনে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক এবং ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ অংশগ্রহণ করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App