সব
করলার স্বাদ তিক্ত, তাই করলার কথা শুনলে অনেকে শিউরে উঠেন। তবে জানেন কী! করলা তিক্ত হলেও পুষ্টি গুণে এটি পরিপূর্ণ। করলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি ও সি রয়েছে। একই সঙ্গে এতে বিটা-ক্যারোটিন, লুটেইন, আয়রন, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। এ জন্য করলার জুস শরীরের জন্য অনেক বেশী উপকারী।
উপমহাদেশ ও চীনের গ্রামাঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস ও বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তির জন্য ওষুধ হিসেবে করলা ও এর রস বা এখন আমরা যাকে জুস বলে থাকি সেটি পান করে আসছেন।
করলা আকারে বড় ও ছোট হলেও পুষ্টি গুণের দিক থেকে কোনো তারতম্য নেই। জুস তৈরি করার জন্য গাঢ় সবুজ রঙের কাঁচা করলা সব থেকে উপযুগি। প্রথমে করলাকে পরিষ্কার পানি দিয়ে ভাল করে ধুতে হবে। এরপর টুকরো টুকরো করে কাটতে হবে এবং কাটা শেষে বিচিগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে। তিতা কমাতে চাইলে করলা কেটে ঠাণ্ডা লবণ পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ব্লেন্ডারে জুস তৈরি করে নিতে হবে। প্রয়োজন মত লবণ দেয়া যেতে পারে। আর যদি করলার জুসকে একটু মিষ্টি করতে চান তাহলে দু-এক ফোঁটা মধু মেশাতে পারেন।
উপকারিতা
গবেষকরা জানিয়েছেন, করলার রস নিয়মিত পানে অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের কোষ ধ্বংস হয়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করলার রস সহায়তা করে। করলার আয়রন হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। দাঁত ও হাড় ভালো রাখে। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে ও চোখের সমস্যা সমাধানে করলার বিটা ক্যারোটিন খুবই উপকারী। ত্বক ও চুল ভালো রাখার জন্যও একান্ত জরুরি। চর্মরোগ সারাতে সাহায্য করে। এছাড়া করলার রস ক্রিমিনাশক।